জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
বিয়েতে কবুল বলার পর পরই ছেলে মেয়ে উভয়ের নিজেদের চেহারা দেখা বাধ্যতামূলক নয়। এটা তাদের নিজস্ব ব্যাক্তিগত ব্যপার।
মূলত সাক্ষীদের সামনে ইজাব কবুলের পর তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। এখন তারা বৈধ স্বামী স্ত্রী। তারা চাইলে এখন একে অপরের চেহারা দেখতেও পারে,চাইলে পরেও দেখতে পারে,এর সাথে বিবাহের কোনো সম্পর্ক নেই।
আরো জানুনঃ-
(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُا قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ اَلَّذِيْ يَقْرَأُ القُرْآنَ وَهُوَ مَاهِرٌ بِهِ مَعَ السَّفَرَةِ الكِرَامِ البَرَرَةِ وَالَّذِي يَقْرَأُ الْقُرْآنَ وَيَتَتَعْتَعُ فِيهِ وَهُوَ عَلَيْهِ شَاقٌّ لَهُ أجْرَانِ متفقٌ عليه
আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কুরআনের (শুদ্ধভাবে পাঠকারী ও পানির মত হিফযকারী পাকা) হাফেয মহাসম্মানিত পুণ্যবান লিপিকার (ফিরিশতাবর্গের) সঙ্গী হবে। আর যে ব্যক্তি (পাকা হিফয না থাকার কারণে) কুরআন পাঠে ’ওঁ-ওঁ’ করে এবং পড়তে কষ্টবোধ করে, তার জন্য রয়েছে দু’টি সওয়াব। (একটি তিলাওয়াত ও দ্বিতীয়টি কষ্টের দরুন।)
(বুখারী ৪৯৩৭, মুসলিম ১৮৯৮)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এইক্ষেত্রে আপনি যদি সেই স্থানে থেমে কিছুক্ষণ ঠিক করার পিছনে সময় দেন বা কয়েকবার সেই কালিমাটা উচ্চারণ করতেই থাকেন,সেক্ষেত্রে সমস্যা নেই।
তবে সর্বশেষ বার পড়ার সময় উক্ত কালেমার পূর্বের আরো ২/১ টি কালেমাহ মিলিয়ে নিয়ে পড়বেন।
যেমন, সুরা বাকারাহ'র ৩নং আয়াতে الصلوٰة বারবার উচ্চারণ করে সর্বশেষ বার আগের কালেমা ويقومون الصلوٰة থেকে পড়া শুরু করবেন।
এভাবে যেকোনো আয়াতের ক্ষেত্রে পড়তে পারবেন। আয়াতের অর্থের বিকৃতি হয়ে যাবেনা।
তবে নামাজের মধ্যে এমনটি করবেননা।
নামাজের মধ্যে সবচেয়ে শুদ্ধ ভাবে মুখস্ত থাকা সুরাগুলি পড়বেন।
প্রয়োজনে নামাজের আগে কয়েকবার মশক করে নিবেন।