আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
80 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (7 points)
আসসালামু আলাইকুম। আমি জেনারেল লাইনে পড়ি। পাশাপাশি সময় হলে, ইসলামিক বুকও পড়ার চেষ্টা করি,দ্বীনি বিষয় নিয়ে এড থাকার ট্রাই করি। কিন্তু, আমার একটা বিষয় নিয়ে মনে হচ্ছে আমি নেক সুরতে শয়তানের ধোকায় পড়ে যাচ্ছি না তো?
~ ক) সেটা হলো - আমি দাওয়াতের কাজে খুব আগ্রহ করে থাকি। আমি জানি যে, আমার পড়াশোনা শেষ করে তা অনুযায়ী উম্মতের খেদমত করা যাবে সেটাই ভালো রাস্তা হবে। কিন্তু,আমি এতো বেশি দাওয়াহর কাজ করতে যায় যে,আমার পড়াশোনাকে আমি পরে স্থান দিয়ে ফেলি।এটা মোবাইলের মাধ্যমে দাওয়াতের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ হয়ে থাকে।যেমন : what's app এ ডে দেওয়া,ইমোতে / পরিচিতজনদের শেয়ার দেওয়া হয় ইত্যাদি (এফ বি নাই)। মনেে হয় যে,এটা এখন বলা উচিত/প্রচারণা করা উচিত, পোস্ট করা উচিত, আমার উছিলায় কত জনে জানতে পারবে,সাওয়াব হবে,এখনের জেনারেশন এর লাভ হবে ইত্যাদি ইত্যাদি।
~ খ) আর অফলাইনে ক্লাসের মধ্যে স্যারকেও প্রশ্ন করে বসি বইয়ের বাহিরের, স্যারও সত্য কথাটাই বলে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে,মনে হয় যে এ কথার উছিলায়  স্টুডেন্টরা একটু হলেও ভাববে ইসলাম নিয়ে,বর্তমানের বিষয় নিয়ে। কিন্তু আসলে তা ঠিক করছি আমি জেনারেল লাইনে পড়ার কাজ কোনমতে শেষ করে না এসে আবার পাশাপাশি দ্বীনের খেদমতের নামে অতিরিক্ত কথা /ফেতনা সৃষ্টি করছি না তো?? যেহেতু আমি মেয়ে আমার কন্ঠের পর্দা ভঙ্গ করছি না তো?????

 এর বাহিরে আর কিছুতে দাওয়াতের সঙ্গে যুক্ত নয়। ফ্যামিলিতে,বান্ধবীদের সাথে কথা উঠলে তখন কথার মাঝেই দাওয়াত দেওয়ার ট্রাই করি /কারো সাথে কথা হলে তখন।

#এখন প্রশ্ন হলো- আমি কি এসব ঠিক করছি??? ইন্ডিকেট করে বললে, আমি অনলাইন এ বেশি টাইম দিয়ে ফেলছি দ্বীনের কাজ করছি এই মনে করে,যার জন্য এই কারনে আমার পড়াশোনার দিকে কম সময় দিচ্ছি। আমার মনে হচ্ছে, আমি ভুল পথে হাটছি, ছোট খেদমত করতে গিয়ে শয়তান আমাকে বৃহৎ খেদমত /আমল হতে দূরে সরাচ্ছে। এবার বলুন, আমি কিভাবে চলবো??? যার মাধ্যমে আমি আমার লাইফও ঠিকভাবে আগাতে পারবো এবং দ্বীনের কাজও।

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

قُلْ لِلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ۚ ذَٰلِكَ أَزْكَىٰ لَهُمْ ۗ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا يَصْنَعُونَ [٢٤:٣٠] 

وَقُلْ لِلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا ۖ وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَىٰ جُيُوبِهِنَّ ۖ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوْ آبَائِهِنَّ أَوْ آبَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ أَبْنَائِهِنَّ أَوْ أَبْنَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي أَخَوَاتِهِنَّ أَوْ نِسَائِهِنَّ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ أَوِ التَّابِعِينَ غَيْرِ أُولِي الْإِرْبَةِ مِنَ الرِّجَالِ أَوِ الطِّفْلِ الَّذِينَ لَمْ يَظْهَرُوا عَلَىٰ عَوْرَاتِ النِّسَاءِ ۖ وَلَا يَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَا يُخْفِينَ مِنْ زِينَتِهِنَّ ۚ وَتُوبُوا إِلَى اللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَ الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ [٢٤:٣١] 

মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।

ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও। {সূরা নূর-৩০-৩১}

يَا نِسَاءَ النَّبِيِّ لَسْتُنَّ كَأَحَدٍ مِنَ النِّسَاءِ إِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلَا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ وَقُلْنَ قَوْلًا مَعْرُوفًا (32) وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى

হে নবীর স্ত্রীগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও [ইহুদী খৃষ্টান)। তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় পাও তবে আকর্ষণধর্মী ভঙ্গিতে কথা বলনা, যাতে যাদের মাঝে যৌনলিপ্সা আছে তারা তোমাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। বরং তোমরা স্বাভাবিক কথা বল। এবং তোমরা অবস্থান কর স্বীয় বসবাসের গৃহে, জাহেলী যুগের মেয়েদের মত নিজেদের প্রকাশ করো না। {সূরা আহযাব-৩২}

وَإِذَا سَأَلْتُمُوهُنَّ مَتَاعًا فَاسْأَلُوهُنَّ مِنْ وَرَاءِ حِجَابٍ ذَلِكُمْ أَطْهَرُ لِقُلُوبِكُمْ وَقُلُوبِهِنَّ

অর্থ : আর তোমরা তাঁর (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর স্ত্রীগণের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরের জন্য এবং তাঁদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্রতার কারণ। {সূরা আহযাব-৫৩}

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
উপরোক্ত আয়াত সমূহে পরিস্কার ভাষায় মেয়েদের অন্যের সামনে নিজেকে প্রকাশ করতে, অপ্রয়োজনে কথা বলতে, আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে। যা পরিস্কার ভাষায় জানাচ্ছে যে, প্রয়োজন ছাড়া মেয়েদের সাথে কথা বলা জায়েজ নয়।

দ্বীনী বা বৈধ কোন জরুরী বিষয় থাকলে পর্দার আড়ালে থেকে কম কথায় শেষ করে নিবে। অযথা কথা বলা হারাম।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনার কাজ অনেকটা বাড়াবাড়ি বলা চলে।
আপনি কন্ঠের পর্দা ভঙ্গ করছেন।

দ্বীনি বিষয় নিয়ে এভাবে শিক্ষককে মৌখিক প্রশ্ন করবেননা। বিশেষ প্রয়োজনে লিখিত প্রশ্ন করতে পারেন।

গায়রে মাহরাম পুরুষদেরকে দ্বীনের দাওয়াত দেয়া আপনার দায়িত্ব নয়।
এতে ফিতনার আশংকাই বেশি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম গুলোর মাধ্যমে শুধুমাত্র মহিলাদের মাঝে দাওয়াতের কাজ করতে পারেন,তবে সেটা লেখাপড়া ঠিক রেখে।

আপনি নিজের লেখাপড়াকে দাওয়াতের কাজ হতে সামনে রাখবেন।
যেহেতু আপনি স্টুডেন্ট, সুতরাং আপনার লেখাপড়া আগে।

দাওয়াতের জন্য মাহরাম পুরুষ এর মাধ্যমে মাস্তুরাত জামাতে যাওয়ার পরামর্শ থাকবে। 

মহিলাদের দাওয়াতের কাজের বিধান জানুনঃ- https://www.ifatwa.info/56156/


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...