আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
54 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
edited by
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ।

নারীদের ক্ষেত্রে আল্লাহর সতন্ত্র একটা হুকুম তো (وَ قَرۡنَ فِیۡ بُیُوۡتِکُنَّ)আর তোমরা নিজ গৃহে অবস্থান করবে। বিভিন্ন ইসলামিক সংগঠনে দেখা যায় নারীরা বাহিরে দাওয়াতি কাজ করে থাকে। দাওয়াতের উদ্দেশ্যে এক জায়গা থেকে ভিন্ন জায়গায় গিয়ে থাকে(রাত্রে অবস্থান করে না)।

এখন আমার প্রশ্ন হলো,

১. নারীদের ক্ষেত্রে কতোটুকু দাওয়াতি কাজ করা ফরয?

২.ফরয হলে কোন বিষয়ে আর কতোটুকু ফরয?

৩. পরিপূর্ণ পর্দা করে কি নারীরা নিজ অঞ্চলে এক জায়গা থেকে জায়গায় গিয়ে দাওয়াতী কাজ করতে পারবে?

৪.নারীদের দাওয়াতের ক্ষেত্র টা কতোটুকু?

এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানালে উপকৃত হতাম।যাঝাকাল্লহু খইরন ফিদ দুনিয়া ওয়াল আখিরহ।

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(১.২.৪)
https://www.ifatwa.info/56156/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمَرْأَةُ إِذَا صَلَّتْ خَمْسَهَا وَصَامَتْ شَهْرَهَا وَأَحْصَنَتْ فَرْجَهَا وَأَطَاعَتْ بَعْلَهَا فَلْتَدْخُلْ مِنْ أَيِّ أَبْوَابِ الْجَنَّةِ شَاءَتْ»

আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো মহিলা যদি পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করে, রমাযানের সিয়াম পালন করে, গুপ্তাঙ্গের হিফাযাত করে, স্বামীর একান্ত অনুগত হয়। তার জন্য জান্নাতের যে কোনো দরজা দিয়ে ইচ্ছা প্রবেশের সুযোগ থাকবে।
(মিশকাত ৩২৫৪)

পুরুষ-নারী প্রতিটি মানুষের জন্য দাওয়াতি কাজ করা আবশ্যক,  তার সাধ্য ও সামর্থ্য অনুযায়ী। 

একজন নারীর দাওয়াতি কাজের সর্ব শ্রেষ্ঠ ক্ষেত্রে হল তার পরিবার, সন্তান-সন্ততি। তাকে স্বামীর প্রতি দায়িত্ব পালন, তার ঘর গোছানো, সম্পদ হেফাজত, সন্তান-সন্ততিদের লালন-পালন ইত্যাদি নানা কাজে সময় দিতে হয়। এগুলো তার প্রধানতম দায়িত্ব।
,
সুতরাং এ সকল দায়িত্ব ফেলে দিয়ে ঘরের বাহিরে,বা দূর দূরান্তে তাকে দাওয়াতের কাজ করে বেড়াতে হবে- ইসলাম তাকে এ দায়িত্ব দেয় নি।

আল্লাহ তা'আলা পুরুষ এবং নারী দু'টি ভিন্ন জাতিকে তৈরী করেছেন।এবং তাদের কাজকেও বন্টন করে দিয়েছেন।

এভাবে যে, সাধারণত পুরুষ বাহিরে কাজে ব্যস্ত থাকবে এবং নারীরা ঘরের ভিতর সামাল দিবে।এবং সন্তানসন্ততি কে শিক্ষাদীক্ষা দেয়ার মত মহান কাজ আঞ্জাম দিবে।

আল্লাহ তা'আলা বলেন,

وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى وَأَقِمْنَ الصَّلَاةَ وَآتِينَ الزَّكَاةَ وَأَطِعْنَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ إِنَّمَا يُرِيدُ اللَّهُ لِيُذْهِبَ عَنكُمُ الرِّجْسَ أَهْلَ الْبَيْتِ وَيُطَهِّرَكُمْ تَطْهِيرًا

তোমরা গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করবে-মূর্খতা যুগের অনুরূপ নিজেদেরকে প্রদর্শন করবে না। নামায কায়েম করবে, যাকাত প্রদান করবে এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য করবে। হে নবী পরিবারের সদস্যবর্গ। আল্লাহ কেবল চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদেরকে পূর্ণরূপে পূত-পবিত্র রাখতে।(সূরা আহযাব-৩৩)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
নারীরা ইচ্ছে করলে নিজ বাড়িতেও দীনী তালিমের হালাকা করতে পারে সেখানে তার প্রতিবেশী মহিলারা অংশ গ্রহণ করবে। 

অথবা স্বামী বা অভিভাবকের অনুমতি সাপেক্ষে বাড়ির আশে পাশে নিরাপদ পরিবেশে অন্য কোথাও তালিমি বৈঠক করতে পারে যদি এতে নিজের বাড়ির দায়িত্বে ব্যাঘাত সৃষ্টি না হয় এবং ফেতনা থেকে নিরাপদ থাকে।

★মেয়েরা ঘরের বাহিরে দাওয়াতি কাজ করার জন্য যেতে বাধ্য নয়।

(০৩)
নারীরা স্বামীর প্রতি দায়িত্ব পালন, তার ঘর গোছানো, সম্পদ হেফাজত, সন্তান-সন্ততিদের লালন-পালন ইত্যাদি জরুরী কাজে সময় দেয়ার পর পরিপূর্ণ পর্দা করে নারীরা নিজ অঞ্চলে এক জায়গা থেকে জায়গায় গিয়ে দাওয়াতী কাজ করতে পারবে।
এক্ষেত্রে ফিতনাহ মুক্ত থাকতে হবে। রাস্তা পরিবেশ নিরাপদ থাকতে হবে।
বাহিরে রাত যাপন করা যাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...