আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
79 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (11 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তাদ,এক বোনের পক্ষ থেকে প্রশ্ন।

আমার স্বামী আমাকে গত তিনদিন আগে হঠাৎ করে কোনো কারণ ছাড়াই বিকেলে কল দেয়। আমি তখন রংপুরে ছিলাম আর আমার স্বামী ছিল দিনাজপুরে। আর আমার স্বামী মানসিকভাবে প্রায় অসুস্থ থাকে,,,তার পরিবার এবং আমার ধারণা যে,তার উপর জিনের খারাপ প্রভাব আছে। এজন্য সে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে এমন অনেক কাজই করে যেটা করার পর যখন সে শান্ত হয় তখন তার মনে হয় যে সে এমন করা টা তার উচিত হয়নি, সে নিজের ইচ্ছায় তা করতে চায়নি কিন্তু সেই সময় টাতে সে নিজেকে ঠিক রাখতে পারেনি। এখন বিষয় হচ্ছে হুজুর যে, গত তিনদিন আগে তার ঠিক এমনই সমস্যা হয়েছিল তার বাসায় আর আমি সেই সময় রংপুর এ,,,সে ওইদিন তার বাবা মার সাথে বাসায় চিল্লাচিল্লি করে বাসা থেকে বের হয়ে কোনো কারণ ছাড়াই আমাকে কল দিয়ে বললো যে,  "" তুমি আমার সাথে আজকের পর থেকে কোনো কথা বলবা না, আমাকে কল দিবানা, তারপর বললো যে, তোমার যত প্রকার তালাক প্রয়োজন আমি তোমাকে দিয়ে দিলাম """"" এটা আমি শুনছি,,,,ঠিক তার ২/৩ ঘন্টা পর তাকে আমি কল দিয়ে বলি যে তুমি আমাকে এইসব কি বলছো? তুমি কি জানো যে আমাকে তুমি কি সব কথা বলছো? কিন্তু তখন সে আমাকে বললো যে সে এমন কিছুই আমাকে নিয়ত করে বলেনি আর সে আমাকে বলছে যে আমি নাকি তার কথা টা ভুল শুনছি। সে নাকি আমাকে বলছিলো যে তোমার যত প্রকার তালাক প্রয়োজন আমি তোমাকে দিয়ে দিবো তাও তুমি আমার সাথে কোনো প্রকার যোগাযোগ রাখবানা। সে আজ এই ৩ দিন পরেও একি কথাই আমাকে বলতেছে যে সে আমাকে তালাক দিলাম বলেনি তালাক দিবো বলছে,,,কিন্তু আমার মনেহয় আমি স্পষ্ট শুনছি যে সে আমাকে বলছে যে তোমার যত প্রকার তালাক প্রয়োজন আমি তোমাকে দিয়ে দিলাম। কিন্তু আমার স্বামী কোনোভাবেই আমার কথা টা মানতে নারাজ। তার এখন পর্যন্ত এটই কথা যে, সে আমাকে বলছে , তোমার যত প্রকার তালাক প্রয়োজন আমি তোমাকে দিয়ে দিবো তাও তুমি আমার সাথে কথা বলবানা। আর সে যখন আমাকে এই কথা বলতেছিলো তখন সে এখানে যত প্রকার তালাক বলতে বুঝাইছিলো যে তালাক দেয়ার জন্য যতো প্রকার কাগজ পএ রেডি করার দরকার এই বিষয় টা,,,,এটা সে যখন আমাকে বলতেছিলো তখন আমিও এটাই জানতাম আর আমার স্বামীও সেই বিষয় টাই এখানে রাখে আমাকে বলছিলো। কিন্তু আমার স্বামী এবং আমার সন্দেহ এই জায়গাতেই যে সে তালাক দিবো বলছে না দিলাম বলছে,,,, আমার স্বামীর কথা সেই শুরুর দিন থেকে আজ পর্যন্ত এটাই যে, সে বলছে,,""তোমার যতো প্রকার তালাক প্রয়োজন আমি তোমাকে দিয়ে দিবো তাও তুমি আমার সাথে কোনো প্রকার যোগাযোগ রাখবানা।"""" আর আমার যতদূর বিশ্বাস আমি এটাই শুনছি যে সে আমাকে বলছে যে, "" তোমার যত প্রকার তালাক প্রয়োজন আমি তোমাকে দিয়ে দিলাম।"""" এখন হুজুর আমার প্রশ্ন এটাই যে এটাতে তালাক পতিত হয়েছে কিনা? আর যদি হয়ে থাকে  তাহলে সেটা কত তালাক। আর হুজুর আমার মনের ব্যক্তিগত ভয় একটা বিষয়ে সেটা হচ্ছে যে সে আমাকে তালাক কথা টা বলার সময় ""যত প্রকার তালাক প্রয়োজন ""কথা টা উল্লেখ করছে,,,,যদিও আমি জানি যে সে মূলত এখানে তালাক দিতে কি কি কাগজ পএ লাগে সেগুলার কথা উল্লেখ করে আমাকে বলছে এবং সেও মূলত আমাকে একি কথাই বলতেছে যে সে আমাকে এখানে যত প্রকার তালাক প্রয়োজন বলতে বুঝাইছে তালাক দিতে যত কাগজ পএ রেডি করতে লাগে এই বিষয় টা,,, আর হুজুর আরেকটা বিষয় হচ্ছে যে আমার স্বামীকে আমি যখন বেশি কনফিডেন্স নিয়ে বলতেছি যে সে আমাকে তালাক দিয়ে দিলাম বলছে তখনই সে ভেঙে যাচ্ছে এবং তার মনে তখন এই দূর্বলতা কাজ করছে যে সে আমাকে দিলাম বলছে নাকি দিবো বলছে,,,তবে হুজুর তার মন থেকে এখনো এটাই কথা যে সে আমাকে তালাক দেয়ার কথা মন থেকে পরিপূর্ণ নিয়তে কখনো ভাবেনি এবং সেইদিনও সে আমাকে তালাকের নিয়ত করে কথা বলেনি,এটা  সেইদিন থেকে আজও তার যুক্তি,,, এখন এক্ষেত্রে হুজুর আমাদের সমস্যাটার পরিপূর্ণ সমাধান আমাদের দেন হুজুর,,,,আর একটু কষ্ট করে জলদি দিলে বেশি ভালো হয় হুজুর,, এইসব বিষয় নিয়ে খুব ভয় হচ্ছে,,,আর হুজুর এখনে আরেকটা বিষয় উল্লেখ্য যে আমরা দুইজনই হানাফী মাজহাবের।

1 Answer

0 votes
by (566,640 points)
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...