আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
56 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (13 points)
আসসালামু আলাইকুম ওস্তায,
মুখের আচিল চিকিৎসার মাধ্যমে দূর করা প্রসঙ্গে।
আমার বড় বোনের মুখে কিছু কালো কালো আচিল আছে, দেখতে খারাপ না লাগলেও ( কিন্তু তিনি মনে করেন তাকে দেখতে খারাপ লাগছে) তিনি চাচ্ছেন চিকিৎসার মাধ্যমে তা অপসারণ করতে। নিজের কাছে ভাল লাগার জন্য উক্ত আচিল অপসারন করা যাবে কিনা?
জাযাক্কাল্লাহু খাইরান। ওস্তায।

1 Answer

0 votes
by (567,180 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

ইসলামের দৃষ্টিকোণ হল, মানুষের শরীর আল্লাহর আমানত। এর স্রষ্টা আল্লাহ রাব্বুল আলামীন। মানুষকে শুধু ভোগ দখলের অধিকার দেয়া হয়েছে। তাই শরীরকে যাচ্ছেতাইভা্বে পরিবর্তন করার অধিকার মানুষ সংরক্ষণ করে না। হ্যাঁ, অসুস্থ্য হলে অঙ্গ বেশি হলে ভিন্ন কথা। কিন্তু সৌন্দর্যতার নামে শরীরের গঠন পরিবর্তন করা হারাম।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ   
عَنْ عَبْدِ اللهِ، قَالَ: «لَعَنَ اللهُ الْوَاشِمَاتِ وَالْمُسْتَوْشِمَاتِ، وَالنَّامِصَاتِ وَالْمُتَنَمِّصَاتِ، وَالْمُتَفَلِّجَاتِ لِلْحُسْنِ الْمُغَيِّرَاتِ خَلْقَ اللهِ

 আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ মানবদেহে চিত্র অঙ্কনকারিণী ও অঙ্কনপ্রার্থিণী নারী, (বড় দেখাবার জন্য) কপাল ভ্রুর চুল উৎপাটনকারিণী ও উৎপাটনকামী নারী এবং (সৌন্দর্য সুষমা বৃদ্ধির মানসে) দাঁতের মাঝে (সুষম) ফাঁক সৃষ্টিকারিনী, যারা আল্লাহর সৃষ্টিতে বিকৃতি সাধনকারিণী, এদের আল্লাহ তা’আলা লানত করেন। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২১২৫] 

عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «لَعَنَ الْوَاصِلَةَ وَالْمُسْتَوْصِلَةَ، وَالْوَاشِمَةَ وَالْمُسْتَوْشِمَةَ

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পরচুলা সংযোজনকারিণী ও সংযোজনপ্রার্থণী এবং মানবদেহে চিত্র (উল্কী) অঙ্কনকারিনী ও অঙ্কনপ্রার্থিনীদের লা’নত করেছেন। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২১২৪] 

أَبَا رَيْحَانَةَ يَقُولُ: «إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَرَّمَ الْوَشْرَ، وَالْوَشْمَ، وَالنَّتْفَ

হযরত আবূ রায়হানা রাঃ বলেন, নিশ্চয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁতকে চিকন করতে উল্কি আঁকতে এবং চুল উপড়ে ফেলাকে হারাম করেছেন। [সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং-৫১১০] 

عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: «لَعَنَ اللَّهُ الوَاشِمَاتِ وَالمُسْتَوْشِمَاتِ، وَالمُتَنَمِّصَاتِ وَالمُتَفَلِّجَاتِ لِلْحُسْنِ، المُغَيِّرَاتِ خَلْقَ اللَّهِ» مَا لِي لاَ أَلْعَنُ مَنْ لَعَنَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ فِي كِتَابِ اللَّهِ

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সৌন্দর্য বৃদ্ধিকল্পে যে নারী উলকী উৎকীর্ণ করে ও করায়, যে নারী ভ্রƒ উপড়ে ফেলে এবং যে নারী দাঁত কেটে সরু করে দাঁরে মাঝখানে ফাঁক বানায়, যে কাজগুলি দ্বারা আল্লাহর সৃষ্টির মাঝে পরিবর্তন সাধিত হয়, এদের উপর আল্লাহ তাআলা অভিশাপ বর্ষণ করুন। আমি কেন তার উপর অভিশাপ বর্ষন করবো না, যাদের উপর আল্লাহর রাসূল অভিশাপ বর্ষণ করেছেন। সেই সাথে তা আল্লাহ তাআলার কিতাবেই বিদ্যমান আছে। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৫৯৪৩, ৫৫৯৯, মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-১৪৬৭}

মহিলাদের শরীরের অতিরিক্ত লোম ও চুল উপড়ে ফেলা জায়েজ আছে। যেমন দাড়ি মোচ, লোম ইত্যাদি।

(قوله والنامصة إلخ) ذكره في الاختيار أيضا وفي المغرب.
النمص: نتف الشعر ومنه المنماص المنقاش اهـ ولعله محمول على ما إذا فعلته لتتزين للأجانب، وإلا فلو كان في وجهها شعر ينفر زوجها عنها بسببه، ففي تحريم إزالته بعد، لأن الزينة للنساء مطلوبة للتحسين، إلا أن يحمل على ما لا ضرورة إليه لما في نتفه بالمنماص من الإيذاء. وفي تبيين المحارم إزالة الشعر من الوجه حرام إلا إذا نبت للمرأة لحية أو شوارب فلا تحرم إزالته بل تستحب المخنث (رد المحتار على الدر المختارن كتاب الحظر والاباحة، فصل فى النظر والمس-6/373) 
যার সারমর্ম হলো মহিলার চেহারায় যদি চুল হয়, স্বামীর যদি এতে কষ্ট হয়,  তাহলে স্বামীর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে সেই চুল উপরে ফেলা,জায়েজ আছে। 
.
★জায়েয শারীরিক পরিবর্তনঃ

যদি কোনো মানুষ কষ্ট দূরীকরণার্তে বা কোনো দোষ দূরীকরণার্তে শারীরিক পরিবর্তন ঘটায়,তাহলে এমতাবস্থায় শারীরিক পরিবর্তন জায়েয।
,
বিস্তারিত জানুনঃ- 
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে স্বামীর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক উক্ত আচিল অপসারন করা যাবে। 

আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...