আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
71 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (23 points)
আস সালামু আলাইকুম হুজুর।

আমার লিখা পড়ার পর হয়তো আপনি ওসওয়াসা কোর্স করতে বললেন। কিন্তু দয়া আমাকে একটু নসিহা জাতীয় কিছু বলুন যাতে করে এই অবস্থা থেকে পরিত্রান পেতে পারি। আমি কি সত্যিই ওসওসার রুগি? কিছু দিন একটু চিন্তা কম আসে আবার চিন্তা বেড়ে যায়। আর এই সমস্ত রোগীর ক্ষেত্রে শরিয়ত এর হুকুম কি যদি একটু বলতেন।

আমি মারাত্মক কষ্টে আছি। প্রায় সব সময় তা..... এর চিন্তা আসে। কথা বলার সময় অনেক ভেবে চিনতে বলতে হয়। সংখ্যা বলতে বা লিখার সময় চিন্তা আসে। কথা বলার পর ভাবি আবার এরকম কিছু বুঝালো কিনা? যেমন বিল্ডিং এর কোন floor এ আছি এইটা বাংলায় বললে ভয় হয়। কেউ যদি কোন কথা জিজ্ঞেস করে যে উমুক কাজ (যে কোন সাধারণ কাজ) কি করছো কিনা। আমি তার কথা বুঝার পরো আবার জিজ্ঞেস করি আপনি এই কাজের কথা বললেন না? তারপর উত্তর দেই হ্যা অথবা না। কারণ সে যদি আমাকে ওইসব কিছু জিজ্ঞেস করে,  এই গুলা চিন্তায় আসে।

>> মাঝে মাঝে যখন এইগুলি চিন্তা আসে তখন জোরে জোরে নিশ্বাস বা কাশি দিলে মনে হয়, আবার এই রকম কিছু আমার মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেলো কিনা।

>> গত কাল আল্লাহ আল্লাহ জিকির করতেছিলাম হাটার সময়। তখন মনে হলো আল্লাহ বলতে যেয়ে যদি ওগুলা বলে ফেলি। এই কথা ভাবতে ভাববে "আ" উচ্চারণ করে কতক্ষণ থামি যে যদি অন্য শব্দ বের হয়। তার পর "ল্লাহ" উচ্চারণ করি। পরে আবার চিন্তা আসলো ওইসব কিছু যদি উচ্চারণ হয়ে থাকে।

>> তখন আমার সর্দি লাগছিলো তাই হয়ত হা করে ছিলাম নিশ্বাস নেওয়ার সময়। এই সময়ই ভাবতে ছিলাম আল্লাহ উচ্চারণ এর সময় জিহ্বা কই স্পর্শ হয়,  আর অই শব্দ উচ্চারণ এর সময় কই কই স্পর্শ হতে পারে। কিন্তু উচ্চারণ করে দেখি নি নিশ্চিত তার পরেও পেরেশানি লাগতেছে কেন আবার ভবাতে গেলাম আবার জিহ্বা নরলো কিনা?

>> পরে বাসায় যেয়ে আম খেলাম, আমের আশ সামনের দাতের গোড়ায় আটলে গেছিল। পরে জিহ্বা নাড়িয়ে নাড়িয়ে দাতের গোড়ায় খোচায়তে ছিলাম। তখই অই শব্দ আমার মাথায় আসে। তখন ই পেরেশান হায় হায় জিহ্বা নরলো আবার নিশ্বাস এর আওয়াজ বেরোলো। জিহ্বা নাড়িয়ে কি আবার ওই শব্দ উচ্চারণ করে ফেললাম কিনা?

>> পরে একবার কয়েকবার হাই আসলো।  পরে মুখ হা করে হাই তুলছিল,  হাই এর নিশ্বাস এর শব্দ আমার কানে আস্তেছিল। আর ওই শব্দ আমার মাথায় চিন্তা আস্তেছিল। তখন আবার পেরেশানি লাগতেছিল।

>> আমার কানে কেমন শব্দ শোনা যায় এটা বোঝার জন্য এগুলি শব্দ মাথায় চিন্তা করে জোরে জোরে নিশ্বাস নিচ্ছিলাম। এই নিশ্বাস এর শব্দ কানে আসার পর আবার পেরেশানি লাগতেছে।

এগুলি কি শুধুই বাজে চিন্তা বা অনর্থক চিন্তা?

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

ওয়াসওয়াসা থেকে বাঁচার আমলঃ 
ইবনে হাজার আল-হাইছামি তাঁর ‘আল-ফাতাওয়া আল-ফিকহিয়্যা আল-কুবরা’ গ্রন্থে (১/১৪৯) এসেছে, তাঁকে এর প্রতিকার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন,
له دواء نافع وهو الإعراض عنها جملة كافية ، وإن كان في النفس من التردد ما كان – فإنه متى لم يلتفت لذلك لم يثبت بل يذهب بعد زمن قليل كما جرب ذلك الموفقون , وأما من أصغى إليها وعمل بقضيتها فإنها لا تزال تزداد به حتى تُخرجه إلى حيز المجانين بل وأقبح منهم

অর্থাৎ, এর ঔষধ একটাই সেটা হচ্ছে– ওয়াসওয়াসাকে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যাওয়া; এমনকি মনের মধ্যে কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও। কেননা কেউ যদি সেটাকে ভ্রুক্ষেপ না করে তাহলে সেটা স্থির হবে না। কিছু সময় পর চলে যাবে; যেমনটি তাওফিকপ্রাপ্ত লোকেরা যাচাই করে পেয়েছেন। আর যে ব্যক্তি ওয়াসওয়াসাকে পাত্তা দিবে এবং সে অনুযায়ী কাজ করবে সে ব্যক্তির ওয়াসওয়াসা বাড়তেই থাকবে; এক পর্যায়ে তাকে পাগলের কাতারে নিয়ে পৌঁছাবে কিংবা পাগলের চেয়েও নিকৃষ্ট পর্যায়ে পৌঁছাবে।
 
এর সর্বোত্তম প্রতিকার হচ্ছে– বেশি বেশি আল্লাহর যিকির করা, لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ  পড়া, আউযুবিল্লাহ্ পড়া তথা বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা।
 
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
اَلْحَمْدُ لِلهِ الَّذِىْ رَدَّ اَمْرَهُ عَلَى الْوَسْوَسَة
 
‘সমস্ত প্রশংসা ওই আল্লাহর যিনি শয়তানের বিষয়টি কুমন্ত্রণা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রেখেছেন।’ (নাসাঈ )
 
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
এগুলো সবই ওয়াসওয়াসা জনিত বিষয়, তাই আপনি ওয়াসওয়াসাকে কোনো পাত্তা দিবেন না

ওয়াসওয়াসা থেকে মুক্তির আমল সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ 





(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (23 points)
আল্লাহ তা'আলা আপনার ঈলমে আ'মালে বারাকাহ দান করুণ, হুজুর
এই সমস্ত রোগীর ক্ষেত্রে শরিয়ত এর বিধান কি? আল্লাহ না করুণ, যদি উচ্চারণ করে ফেলে।
by
আল্লাহ আপনাকে ঈলমে আ'মালে বারাকাহ দান করুন হুজুর
হুজুর এই সমস্ত রোগীর ক্ষেত্রে শরিয়ত এর বিধান কি? আল্লাহ না করুণ, যদি এই সমস্ত রোগী মুখে উচ্চারণ করে ফেলে? 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...