আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
107 views
in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (4 points)
আমার হাজব্যান্ড একজন স্টুডেন্ট, সাথে ঢাকায় টিউশনি করেন  ৭০০০টাকা বেতনের, আমি বাবার বাড়িতে থাকি এবং আমার ভরণপোষণ সহ যাবতীয় খরজ আমার বাবা ই দিয়ে থাকেন। যেহেতু আমাকে নিয়ে বাসা নিয়ে থাকার মতো তার এখন সামর্থ্য নাই, তাই আমার বাবাই আমার যাবতীয় খরজ, চিকিৎসা, পড়াশুনা সব খরজ আমার বাবাই দিয়ে থাকেন।

 আমার হাজব্যান্ড এর যা ইনকাম এটা দিয়ে উনার মেস ভাড়া, খাওয়া খরজ এবং পড়াশোনায় পুরোটা লেগে যায়, এবং ৭০০০টাকা উনার যাবতীয় প্রোজনের জন্য যথেষ্ট না ঢাকায় থাকা খাওয়া এবং যাবতীয় প্রয়োজন পূরণে। কিন্তু বর্তমানে কিছু টাকা উনার হাতে এসেছে, আনুমানিক ১৫০০০ এর মতো জমা আছে, যা থেকে প্রতি মাসে কিছু কিছু করে প্রতিমাসে তিনি খরজ করে থাকেন। আপাতত এই মূহূর্তে উনার কোনো অভাব নাই, যেহেতু আমার খরজ আমার বাবাই দিচ্ছেন, সেক্ষেত্রে উনার আপাতত কোনো টাকার  অভাব নাই, কিন্তু উনি নিসাবের মালিক নন। অন্যদিকে আমার আম্মুর উপর জাকাত ফরজ হয়েছে, তাহলে আমার আম্মু কি এই মুহূর্তে আমার হাজব্যান্ড কে জাকাত দিতে পারবে? যেহেতু আমার হাজব্যান্ড এর আপাতত অভাব নাই, কিন্তু যে ১৫০০০টাকা আছে ঐটা শেষ হয়ে গেলেই উনার আবার অভাব দেখা দিবে, ১৫০০০টাকা থেকে ৩হাজার করে প্রতি মাসে খরজ করলে এই টাকা আনুমানিক উনার ৫মাস চলবে।
*তাহলে এই সময়ে আমার আম্মুর জাকাতের অর্থ টা কি ওনাকে দেওয়া যাবে? (বিঃদ্রঃ উনি নিসাবের মালিক নন এবং আপাতত উনার কোনো টাকার প্রয়োজন নাই, যেহেতু আমার খরজ আমার বাবাই দিচ্ছেন। কিন্তু কিছু কাল পরেই আবার আমার হাজব্যান্ড এর টাকার প্রয়োজন হবে, যেহেতু উনার ইনকাম যথেষ্ট নয়)

*যদি দেওয়া যায় তাহলে এই টাকা থেকে কি আমার হাজব্যান্ড আমার জন্য খরজ করতে পারবে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/71282/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে, 
কোনো ব্যাক্তির যাকাতের মাল তার দরিদ্র ভাই, বোন, চাচা, ফুফুসহ সকল দরিদ্র আত্মীয়-স্বজনকে দিতে কোন আপত্তি নেই। 

বরং তাদেরকে যাকাত দেওয়া হলে সেটা সদকা ও আত্মীয়তার হক আদায়।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْأَعَلَى، قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ عَوْنٍ، عَنْ حَفْصَةَ، عَنْ أُمِّ الرَّائِحِ، عَنْ سَلْمَانَ بْنِ عَامِرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ الصَّدَقَةَ عَلَى الْمِسْكِينِ صَدَقَةٌ، وَعَلَى ذِي الرَّحِمِ اثْنَتَانِ صَدَقَةٌ وَصِلَةٌ»

সালমান ইব্ন আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মিসকীনকে দান করার মধ্যে শুধু সাদাকা (র সওয়াব রয়েছে) আর আত্নীয়-স্বজনকে দান করা দুটি (সওয়াব রয়েছে) দান করা (র সওয়াব) এবং আত্নীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা (র সওয়াব)।
,
নিজ পিতা-মাতা, দাদা-দাদী, নানা-নানী, পরদাদা প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ যারা তার জন্মের উৎস তাদেরকে নিজের যাকাত দেওয়া জায়েয নয়। এমনিভাবে নিজের ছেলে-মেয়ে, নাতি-নাতিন এবং তাদের  অধস্তনকে নিজ সম্পদের যাকাত দেওয়া জায়েয নয়। স্বামী এবং স্ত্রী একে অপরকে যাকাত দেওয়া জায়েয নয়।-রদ্দুল মুহতার ২/২৫৮

মেয়ের জামাই যাকাত গ্রহনের উপযুক্ত হলে তাকে শশুর যাকাত দিতে পারবে, এটি জায়েজ আছে।

সুতরাং কোনো ব্যাক্তি যদি তার মেয়ের জামাইকে(যিনি যাকাত পাওয়ার যোগ্য)যাকাত দেয়, তাহলে যাকাত আদায় হবে।

وَيَجُوزُ دَفْعُهَا لِزَوْجَةِ أَبِيهِ وَابْنِهِ وَزَوْجِ ابْنَتِهِ تَتَارْخَانِيَّةٌ ابنته (رد المحتار، كتاب الزكاة، باب المصارف-12/69
সারমর্মঃ-
যাকাত তার ছেলের স্ত্রীকে দেয়া জায়েজ আছে,মেয়ের স্বামীকে যাকাতের টাকা দেয়াও জায়েজ আছে।
(ফাতাওয়ায়ে শামী ১২/৬৯)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার স্বামী যেহেতু নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক নয়,সুতরাং এই পরিস্থিতিতে তিনি যাকাত গ্রহনের উপযুক্ত।

সুতরাং আপনার আম্মু এই মুহূর্তে আপনার হাজব্যান্ড কে জাকাত দিতে পারবে।
সমস্যা নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (4 points)
এই টাকা থেকে আমার হাজব্যান্ড কি আমার জন্য খরজ করতে পারবেন? 
by (565,890 points)
হ্যাঁ, পারবেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...