আমার হাজব্যান্ড একজন স্টুডেন্ট, সাথে ঢাকায় টিউশনি করেন ৭০০০টাকা বেতনের, আমি বাবার বাড়িতে থাকি এবং আমার ভরণপোষণ সহ যাবতীয় খরজ আমার বাবা ই দিয়ে থাকেন। যেহেতু আমাকে নিয়ে বাসা নিয়ে থাকার মতো তার এখন সামর্থ্য নাই, তাই আমার বাবাই আমার যাবতীয় খরজ, চিকিৎসা, পড়াশুনা সব খরজ আমার বাবাই দিয়ে থাকেন।
আমার হাজব্যান্ড এর যা ইনকাম এটা দিয়ে উনার মেস ভাড়া, খাওয়া খরজ এবং পড়াশোনায় পুরোটা লেগে যায়, এবং ৭০০০টাকা উনার যাবতীয় প্রোজনের জন্য যথেষ্ট না ঢাকায় থাকা খাওয়া এবং যাবতীয় প্রয়োজন পূরণে। কিন্তু বর্তমানে কিছু টাকা উনার হাতে এসেছে, আনুমানিক ১৫০০০ এর মতো জমা আছে, যা থেকে প্রতি মাসে কিছু কিছু করে প্রতিমাসে তিনি খরজ করে থাকেন। আপাতত এই মূহূর্তে উনার কোনো অভাব নাই, যেহেতু আমার খরজ আমার বাবাই দিচ্ছেন, সেক্ষেত্রে উনার আপাতত কোনো টাকার অভাব নাই, কিন্তু উনি নিসাবের মালিক নন। অন্যদিকে আমার আম্মুর উপর জাকাত ফরজ হয়েছে, তাহলে আমার আম্মু কি এই মুহূর্তে আমার হাজব্যান্ড কে জাকাত দিতে পারবে? যেহেতু আমার হাজব্যান্ড এর আপাতত অভাব নাই, কিন্তু যে ১৫০০০টাকা আছে ঐটা শেষ হয়ে গেলেই উনার আবার অভাব দেখা দিবে, ১৫০০০টাকা থেকে ৩হাজার করে প্রতি মাসে খরজ করলে এই টাকা আনুমানিক উনার ৫মাস চলবে।
*তাহলে এই সময়ে আমার আম্মুর জাকাতের অর্থ টা কি ওনাকে দেওয়া যাবে? (বিঃদ্রঃ উনি নিসাবের মালিক নন এবং আপাতত উনার কোনো টাকার প্রয়োজন নাই, যেহেতু আমার খরজ আমার বাবাই দিচ্ছেন। কিন্তু কিছু কাল পরেই আবার আমার হাজব্যান্ড এর টাকার প্রয়োজন হবে, যেহেতু উনার ইনকাম যথেষ্ট নয়)
*যদি দেওয়া যায় তাহলে এই টাকা থেকে কি আমার হাজব্যান্ড আমার জন্য খরজ করতে পারবে?