আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,
আমি আমার পরিবারের একমাত্র মেয়ে। বয়স তেইশ। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ আমাকে ক্লাস সেভেন এ হেদায়েত দেন। কিন্তু নামায সবসময় পড়া হতো না। আমার পরিবার বেদ্বীন তারাও কিছু বলত না। নামাজ না পড়লে যে কাফির হয়ে যায় ওইটা ও জানতাম না শুধু এতটুকু বুঝতাম একজন মুসলিম হিসাবে নামাজ পড়া দরকার কারন আল্লাহ আমাদের সৃষ্টি করেছেন৷ আখিরাত সম্পর্কে তেমন কোনো ধারনাই ছিল না। সেভেন থেকে ক্লাস টেন পর্যন্ত আমার যখন ইচ্ছে হত নামায পরতাম আর রমযানে অথবা পরীক্ষার সময়। তারপর মহিলা কলেজে ভর্তি হই কিন্তু বেশি ক্লাস করতে পারি নাই। কলেজ অফ হয় এর মধ্য আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ আমাকে আবার হেদায়েত দেন। তারপর থেকে নামায কাযা করতাম না। ভাবলাম কলেজ আর পড়বোনা সবকিছু বাদ এখন যদি কলেজে যাই তাহলে পর্দার খেলাফ হবে নামায কাজা হবে আর লেখাপড়া না করলে হয়ত বিয়ে দিয়ে দিতে পারে কিন্তু আমার চিন্তা ভাবনা পুরাটাই উল্টো হয়ে গেল। কলেজে যাই না দেখে পরিবারে অনেক সমস্যা হইছে। এই সমস্যার মধ্যে আরেকটা সমস্যা দেখা দিল আমি নামাজ পড়তে গেলে নামায পড়তে পারি না অযু করতে গেলে অযু করতে পারি না কারো সাথে বেড শেয়ার করতে পারি না এগুলা দেখে আমার পরিবার হতাশ তারপর একটা কবিরাজ দেখায় কিন্তু কোনো কাজ হইনি আসলে রোগটা যে সূচিবায়ু আমি বুঝতে পারি নি। তারপর পথভষ্ট্র হয়ে যাই। তারপর আবার হেদায়েত পাই কিন্তু সূচিবায়ু কারনে বার বার দিন থেকে সরে যাই আর আমি বুঝতে ও পারি নাই। এইভাবে হেদায়েত পাই আর হারাই। এখন সূচিবায়ু রোগটা এমন পর্যায়ে গেছে আমি ফরজ গোসল পযন্ত করতে পারি না। অযু গোসল করতে করতে নামাজের ওয়াক্ত চলে যায়। আর কেউ যদি আমার কাছে না থাকে তাহলে নামায অযু করতে পারি না শুধু ওয়াসওয়সা আসে। কত ভিডিও দেখলাম তাও কাজ হইতেছে না। আমার পরিবার ভাবতেছে হয়ত আমাকে কোনো জ্বীন ধরছে।
আমি আমার পরিবার বলছি কোনো দ্বীনদার ছেলে দেখে বিয়ে দিয়ে দাও তাও দেয়না। তারপর বললাম নয়ত একটা মাদ্রসায় ভর্তি করাইয়া দেও তাও দেয় না। কয় মাদ্রসায় ভর্তি হলে বুঝি জ্বিনে নিয়া যাইব। এখন বলতেছে নামাজ পরলে যখন সমস্যা হয় তাহলে পরতে হবে না এখন পড়াশোনা মন দাও উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হও নয়ত জামাইয়ের কাছে হাত পাততে হবে আর অনেক কিছু বলে। আমি কয়েকদিন ধরে নামায পরতে পারি না। শুধু ডিপ্রেশন রোগি হইয়া গেছি। আপনি আমারে বলেন এখন কি করব?
আর একটা সমস্যা হইছে আমার পরিবার কোনো দ্বীনদার ছেলে সাথে বিয়ে দিবে না আর আমিতো দ্বীনদার ছেলে ছাড়া বিয়ে ও করবো না। এখন আমার কি করনীয় কি করা উচিত? আর একটা কথাই মনে আসে মরে গেলে হয়ত সমাধান হবে কিন্তু তা তো জায়েজ নাই।