ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আসরের পর লোখাপড়া নিষেধ মর্মে কুরআন হাদীসের কোথাও কিছু আসেনি। হ্যা, কিছু সংখ্যক মনীষী ক্লান্তিকে দূর করার নিমিত্বে আসরের পর হাটাচলার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তারা আসরের পর লোখাপড়াকে অপছন্দ করতেন।যাতেকরে মাগরিব পর থেকে প্রশান্তির সাথে লেখাপড়া করার সুযোগ হয়। অন্যদিকে কিছু সংখ্যক উলামাগণ আসরের পর লোখাপড়াকে পছন্দও করতে।(কিমাতুয-যামান ইনদারল উলামা-৭৩)
(قیمۃ الزمن عند العلماء، ذکر ابی حاتم الرازی، و ابنہ عبدالرحمٰن بن ابی حاتم، ص:73، طبعہ جدیدۃ)
في "المقاصدالحسنۃ ":
" حديث: من أكرم حبيبتيه فلايكتب بعد العصر، ليس في المرفوع، ولكن قد أوصى الإمام أحمد بعض أصحابه أن لاينظر بعد العصر في كتاب، أخرجه الخطيب أو غيره، وقال الشافعي فيما رواه حرملة بن يحيى كما أخرجه البيهقي في مناقبه: الوراق إنما يأكل دية عينيه". (1/626)
وفي "کشف الخفاء" :
" قال: وقد أوصى الإمام أحمد بعض أصحابه أن لاينظر بعد العصر إلى كتاب، أخرجه الخطيب قال: وهو من كلام الطب، كما قال الشافعي : الوراق إنما يأكل من دية عينيه". (2/222داراحیاء التراث)
আসরের পর লেখাপড়ার চেয়ে হাটাচলা করে তাসবিহাত পড়াই উচিত।হ্যা, বিশেষ প্রয়োজনে যেমন পরীক্ষা ইত্যাদির জন্য মাগরিবে পূর্বে পড়ালেখা করা যাবে।
আল্লাহ তা'আলা আরোও বলেন,
ﻭَﺳَﺒِّﺢْ ﺑِﺤَﻤْﺪِ ﺭَﺑِّﻚَ ﺑِﺎﻟْﻌَﺸِﻲِّ ﻭَﺍﻟْﺈِﺑْﻜَﺎﺭِ
এবং সকাল-সন্ধ্যায় আপনার পালনকর্তার প্রশংসাসহ পবিত্রতা বর্ণনা করুন।(সূরা মু'মিন-৫৫)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/452
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
এই সমস্ত আয়াত প্রমাণ করে, সাধারণত সকাল আর বিকালের মূহূর্তগুলোতে তাসবিহ পাঠ করা হবে। এই সময়ে লেখাপড়া করা যাবে, নিষেধ কোথাও আসোনি।তবে তাসবিহাত পাঠ করাই উত্তম।