আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
4,611 views
in সালাত(Prayer) by (1 point)
edited by
আসসালামু আলাইকুম
১. দুখুলুল মসজিদ নামাজ না কেয়ামতের আলামত একটা হাদীসে দেখলাম, আরেকটা হাদীস শুনছি মাগরিবের আগে ২ রাকাত নামাজ পড়ার সময় দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তাহলে মাগরিবের আগে নামাজ আদায় মাকরুহ কেন?

২. ফজরের সুন্নতের পরে নফল পড়া মাকরুহ কেন?

৩. মাকরুহ তাহরীমী কি হারামের নিকটতম নাকি নাজায়েজের নিকটতম?

1 Answer

0 votes
by (657,800 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ   
عَن عَبد اللَّهِ بْنِ بُرَيدة، عَن أَبيهِ، رَضِي اللَّهُ عَنْهُ، أَنَّ النَّبيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيه وَسَلَّم قَالَ: بين أَذَانَيْنِ صَلاةٌ إلاَّ الَمْغَرِب
 হযরত আব্দুল্লাহ বিন বারিদাহ তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-প্রতিটি দুই আজান [আজান ও ইকামত] এর মাঝে [নফল] নামায আছে মাগরিব নামায ছাড়া। {মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-৪৪২২,আলমুজামুল আওসাত,হাদীস নং-৮৩২৮,সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১০৪০, সুনানে কুবরা বায়হাকী, হাদীস নং-৪১৭২}
মুহাদ্দিস বাজ্জার রহঃ বলেন, এতে হিব্বান বিন উবায়দুল্লাহ রয়েছেন। যিনি মাশহুর। যার মাঝে কোন সমস্যা নেই। [আলবাহরুর যুখার-১০/৩০৩}

عَنْ طَاوُسٍ، قَالَ: سُئِلَ ابْنُ عُمَرَ، عَنِ الرَّكْعَتَيْنِ قَبْلَ الْمَغْرِبِ، فَقَالَ: «مَا رَأَيْتُ أَحَدًا عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّيهِمَا،
হযরত তাউস থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন-হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ কে প্রশ্ন করা হল-মাগরিবের [ফরজের আগে ও আজানের পর] আগে কোন নামায আছে কি? তিনি বললেন-আমি নবীজী সাঃ এর সময় থেকে আজ পর্যন্ত কাউকে এ সময় নামায পড়তে দেখিনি।
{সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-১২৮৪, মুসনাদে আবদ বিন হুমাইদ, হাদীস নং-৮০৪, সুনানে কুবরা বায়হাকী, হাদীস নং-৪১৮৪}

আল্লামা বদরুদ্দীন আইনী রহঃ বলেন, হাদীসটির সনদ সহীহ। {উমদাতুল কারী-৭/৩৫৮}

আল্লামা ইবনুল মুলাক্কিন রহঃ বলেন, এটি হাসান। {আলবাদরুল মুনীর-৪/২৯২}

সুতরাং মাগরিবের আজানের পর ফরজ নামাযের আগে কোন নফল নামায পড়া নিষিদ্ধ। তবে প্রত্যেক নামাযের আজান ও ইকামতে মাঝামাঝি সময়ে দুই রাকাত নামায পড়া নফল। আবশ্যক নয়। শুধু মাগরিব নামাযের ক্ষেত্রে হাদীসে নিষেধাজ্ঞা এসেছে। অর্থাৎ মাগরীবের আজান দিলে ফরজের আগে অন্য কোন নামায নেই।
,
,
(০২)
সুবহে সাদিকের পর ফজরের ফরয নামাযের আগে দুই রাকাত সুন্নাত ছাড়া অন্য নফল নামায পড়া প্রমানিত নয়। নিষিদ্ধ।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
عَنْ حَفْصَةَ قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- إِذَا طَلَعَ الْفَجْرُ لاَ يُصَلِّى إِلاَّ رَكْعَتَيْنِ خَفِيفَتَيْنِ وفى رواية إلا ركعتي الفجر

অনুবাদ-হযরত হাফসা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ফজর উদিত হবার পর ফজরের দুই রাকাত সুন্নাত ছাড়া অন্য কোন নামায পড়তেন না। {সহীহ মুসলিম হাদীস নং-১৭১১, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-১৫৮৭, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২৪২২৫, সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং-৪২২৭, সুনানে বায়হাকী, হাদীস নং-৯৭৯, আল মু’জামুল কাবীর হাদীস নং-৩৮৫}
,
(০৩) মাকরুহে তাহরিমি হারাম হওয়ার নিকটবর্তী।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
প্রত্যেক আযান ও ইকামাতের মাঝে দুই রাকাত নামায পড়া মুস্তাহাব:
আব্দুল্লাহ্ বিন মুগাফ্ফাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “প্রত্যেক দুই আযানের মাঝে নামায আছে, প্রত্যেক দুই আযানের মাঝে নামায আছে। তিনি তৃতীয়বারে বলেছেন: যে ব্যক্তি চায়।”[সহিহ বুখারী (৬২৭) ও সহিহ মুসলিম (৮৩৮)]

হাদিসে দুই আযান দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে আযান ও ইক্বামত।

খাত্তাবী বলেন: “দুই আযান দ্বারা উদ্দেশ্য করেছেন: আযান ও ইক্বামত। এখানে দুটো নামের একটিকে অপরটির ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে। যেমন: খেজুর ও পানিকে বলা হয় কালো জিনিসদ্বয়; অথচ কালো হচ্ছে দুটোর একটি। অনুরূপভাবে আবু বকর ও উমর (রাঃ) দুইজনের জীবনী বুঝাতে বলা হয়: দুই উমরের জীবনী।

তবে এ সম্ভাবনাও রয়েছে যে, এ দুটোর প্রত্যেকটির প্রকৃত নাম আযান। যেহেতু আযানের বুৎপত্তিগত অর্থ হচ্ছে অবহিতকরণ। আযান হচ্ছে নামাযের ওয়াক্ত উপস্থিত হওয়ার বিষয়টি অবহিতকরণ; আর ইক্বামত হচ্ছে নামাযের কর্ম সংঘটিত হওয়ার বিষয়টি অবহিতকরণ।”[সমাপ্ত]

হাদিসটি প্রত্যেক আযানদ্বয়ের মাঝে দুই রাকাত নামায পড়া মুস্তাহাব হওয়ার পক্ষে দলিল।
by
মুহাদ্মদিসগণ এ মর্মে অধ্যায় এনেছেনঃ

* ইমাম বুখারী তাঁর সহীর মধ্যে অধ্যায়

এনেছেন ‘’কেউ ইচ্ছা করলে আযান ও ইকামতের

মধ্যবর্তী সময়ে সলাত আদায় করতে পারে’’

* ইমাম নববী সহীহ মুসলিমের মধ্যে অধ্যায়

এনেছেন ‘’মাগরিবের (ফরয) সলাতের পূর্বক্ষণে

দু’ রাকা’আত পড়া মুস্তাহাব’’

* ইবন হাজার আসকালানি তাঁর বুলুগুল মারামে

অধ্যায় এনেছেন ‘’মাগরিব সলাতের পূর্বে দু’

রাকা’আত নফলের বিধান’’

* ইমাম নাসায়ী তাঁর সুনানের মধ্যে অধ্যায়

এনেছেন ‘’আযান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ে

নামাজ প্রসঙ্গে’’

* ইমাম তিরমিযি তাঁর সুনানে অধ্যায় এনেছেন

‘’সূর্যাস্তের পর মাগরিব নামাজের পূর্বে নফল

আদায় করা’’

* ইমাম আবু দাউদ তাঁর সুনানের মধ্যে অধ্যায়

এনেছেন ‘’মাগরিবের পূর্বে নফল সলাত’’

* মুসনাদ আহমাদে আহমাদ ইবন আব্দুর রহমান

ইবন মুহাম্মাদ আল-বান্না অধ্যায় এনেছেন

‘’মাগরিবের পূর্বে দু’ রাকা’আত (নফল) সম্পর্কে

যা এসেছে’’

মাগরিবের (ফরয) সলাতের পূর্বে দু’ রাকাআত

সলাত আদায় করা মুস্তাহাবঃ

দলীল নঃ ১

আবদুল্লাহ ইবন মুগাফফাল মুযানী (রাঃ) হতে

বর্ণিত। রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ প্রত্যেক আযান

ও ইকামতের মধ্যে সলাত রয়েছে। একথা তিনি

তিনবার বললেন, (তারপর বললেন) যে চায় তার

জন্য’’ বুখারী ৬২৪, ৬২৭; মুসলিম ৮৩৮; আবু

দাউদ ১২৮৩; ইবন মাযাহ ১১৬২; তিরমিযি

১৮৫; নাসায়ী ৬৮১; রিয়াদুস স্বা-লিহীন

১১০৬; মুসনাদ আহমাদ ৯৭১; ইবন খুজায়মাহ

১২৮৭; দারিমী ১৪৪৭

আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রাঃ) হতে বর্ণিত।

রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ ‘’এমন কোনো ফরয

নামাজ নেই, যার আগে দু’ই রাকা’আত সুন্নাত

নামাজ পড়া যায় না’’ ইবন হিব্বান ৬১৫;

তাবারানী, মুজামুল কাবীর ২/২১০/৬৯); ইবন

আদী, কামিল (২/৪৬); আত-তারাকুকী (১/৪১);

ইবন নাসর, কিয়ামুল লাইল পৃষ্ঠা নঃ ২৬; আর-

রুয়ানী, মুসনাদ (১/২৩৮); দারাকুতনী, সুনান

পৃষ্ঠা নঃ ৯৯; সাহীহাহ ২৩২ (আলবানি

হাদিসটিকে সহীহ বলেছেন)

উবাই ইবন কা’ব, জাবির ইবন আবদুল্লাহ, আবু

হুরায়রাহ ও সালমান ফারসী রাদিয়াল্লাহু

আনহুমা থেকে বর্ণিত। রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ

‘’তোমরা আযান ও ইকামতের মধ্যে এতটুকু

সময়ের অবকাশ দাও যাতে কোনো পায়খানা-

প্রস্রাবকারী (আযান শোনার পরও) ধীরে-সুস্থে

প্রয়োজন সারতে পারে এবং কোনো আহারকারী

তার খানা খাওয়া থেকে ধীরে-সুস্থে বিরত হতে

পারে’’ সাহীহাহ ৮৮৭ (আলবানি হাদিসটিকে

হাসান বলেছেন)

দলীল নঃ ২

আবদুল্লাহ মুযানী (রাঃ) সুত্রে বর্ণিত। নাবী

(সঃ) বলেছেনঃ ”তোমরা মাগরিবের (ফরযের)

পূর্বে (নফল) সলাত আদায় করবে; লোকেরা এই

আমলকে সুন্নাত হিসাবে গ্রহন করতে পারে, এই

কারনে তৃতীয়বারে বললেনঃ এটা তাঁর জন্য যে

ইচ্ছা করে’’ বুখারী ১১৮৩,৭৩৬৮; আবু দাউদ

১২৮১; বুলুগুল মারাম ৩৬০; মুসনাদ আহমাদ

৯৭০; রিয়াদুস স্বা-লিহীন ১১২৯; মিশকাতুল

মাসাবীহ ১১৬৫

ইবন হিব্বানের একটি বর্ণনায় আছে, ‘’নাবী

(সাঃ) মাগরিবের পূর্বে দু’ রাকা’আত সলাত আদায়

করেছিলেন’’ বুলুগুল মারাম ৩৬০ (তাহক্বীক

প্রয়োজন)

দলীল নঃ ৩

মুখতার ইবন ফুলফুল (রহঃ) হতে বর্ণিত। আনাস

(রাঃ) বলেনঃ আমরা রাসুল (সঃ)-এর যুগে

সূর্যাস্তের পর মাগরিবের সলাতের পূর্বে দু’

রাকাআত সলাত আদায় করতাম। আমি তাঁকে

জিজ্ঞেস করলাম, রাসুল (সঃ) কি তা পড়তেন?

তিনি বলেন, তিনি আমাদেরকে এই সলাত আদায়

করতে দেখতেন, কিন্তু তিনি তা পড়তে

আমাদেরকে নির্দেশও করতেন না এবং নিষেধও

করতেন না’’ মুসলিম ৮৩৬; আবু দাউদ ১২৮২;

রিয়াদুস স্বা-লিহীন ১১৩১

দলীল নঃ ৪

আনাস ইবন মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি

বলেন, মুয়াজ্জিন যখন মদিনার মসজিদে

দাঁড়িয়ে মাগরিবের আযান দিতেন তখন যার

ইচ্ছা সে দাঁড়াতো এবং নামাজ পড়তে শুরু করতো

এমনকি মাগরিবের নামাজ দাঁড়িয়ে যেত। আর

যে ইচ্ছা করতো সে দু’ রাকা’আত আদায় করে বসে

পড়ত। আর এ সব কিছু নাবী (সাঃ)-এর চোখের

সামনে ঘটতো’’ মুসনাদ আহমাদ ৯৬৭ (রাবীগন

নির্ভরযোগ্য)

দলীল নঃ ৫

আনাস ইবন মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি

বলেনঃ ‘’আমি নাবী (সাঃ)-এর বিশিষ্ট

সাহাবীদের পেয়েছি। তাঁরা মাগরিবের সময়

(ফরজের পূর্বে দু’ রাকা’আত সলাত আদায়ের

উদ্যেশ্যে) দ্রুত (মসজিদের) খুঁটির কাছে

যেতেন’’ বুখারী ৫০৩; রিয়াদুস স্বা-লিহীন

১১৩০

দলীল নঃ ৬

আনাস ইবন মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি

বলেনঃ মুয়াজ্জিন যখন আযান দিতো, তখন

নাবী (সাঃ)-এর কতিপয় সাহাবী নাবী (সাঃ)-

এর বের হওয়া পর্যন্ত (মসজিদের) খুঁটির কাছে

গয়ে মাগরিবের (ফরজের) পূর্বে দুই রাকা’আত

সলাত আদায় করতেন’’ বুখারী ৬২৫; মুসলিম

৮৩৭; নাসায়ী ৬৮২; মুসনাদ আহমাদ ৯৬৮;

সাহীহাহ ২৩৪

দলীল নঃ ৭

আনাস ইবন মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি

বলেনঃ রাসুল (সাঃ)-এর জমানায় মুয়াজ্জিন

মাগরিবের আযান দিলে মনে হতো তা যেন

ইকামত। কারন প্রচুর সংখ্যক লোক দাঁড়িয়ে

মাগরিবের আগে দু’ রাকা’আত সলাত আদায় করতো’’

ইবন মাযাহ ১১৬৩ (আলবানি হাদিসটিকে

সহীহ বলেছেন)

দলীল নঃ ৮

আনাস ইবন মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি

বলেন আমরা মদিনায় ছিলাম। মুয়াজ্জিন

মাগরিবের সলাতের আযান দিলে তারা তাড়াহুড়া

করে স্তম্ভের নিকট গিয়ে দু’ রাকাআত সলাত

আদায় করতেন। এমনকি কোন আগন্তুক মসজিদে

প্রবেশ করলে অধিক সংখ্যক সলাত আদায়কারীর

কারনে তাঁর মনে হতো যে, (ফরয) সলাত শেষ হয়ে

গেছে’’ মুসলিম ৮৩৭; রিয়াদুস স্বা-লিহীন

১১৩২

দলীল নঃ ৯

মারসাদ ইবন আবদুল্লাহ ইয়াযানী (রঃ) হতে

বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি উকবাহ ইবন

জুহানী (রাঃ)-এর নিকট গিয়া তাঁকে বললাম,

আমি তামিম (রঃ) সম্পর্কে একথা বললে

আপনাকে বিস্মিত করে দিবো না যে, তিনি

মাগরিবের (ফরয) সলাতের পূর্বে দু’ রাকাআত

(নফল) সলাত আদায় করে থাকেন। উকবাহ (রাঃ)

বললেন, (এতে বিস্ময়ের কি আছে?) আল্লাহ্র

রাসুল (সঃ)-এর সময় আমরা তা আদায় করতাম।

আমি প্রশ্ন করলাম, তাহলে এখন কিসে আপনাকে

বাধা দিচ্ছে? তিনি বললেন, কাজকর্মের

ব্যস্ততা’’ বুখারী ১১৮৪; মুসনাদ আহমাদ ৯৬৯



রমজান মাসে রোজাদার ব্যাক্তি যেন ধীরে-

সুস্থে ইফতারি করে মসজিদে এসে মাগরিবের

নামাজ জামা’আতে আদায় করতে পারে সেজন্য

প্রায় দশ মিনিট সময় দেয়া হয়। রমজান মাস

শেষ হয়ে গেলেই আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে

যায় অর্থাৎ আযান দেয়ার প্রায় সাথে সাথেই

জামা’আত দাঁড়িয়ে যায়।



উবাই ইবন কা’ব, জাবির ইবন আবদুল্লাহ, আবু

হুরায়রাহ ও সালমান ফারসী রাদিয়াল্লাহু

আনহুমা থেকে বর্ণিত। রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ

‘’তোমরা আযান ও ইকামতের মধ্যে এতটুকু

সময়ের অবকাশ দাও যাতে কোনো পায়খানা-

প্রস্রাবকারী (আযান শোনার পরও) ধীরে-সুস্থে

প্রয়োজন সারতে পারে এবং কোনো আহারকারী

তার খানা খাওয়া থেকে ধীরে-সুস্থে বিরত হতে

পারে’’ সাহীহাহ ৮৮৭ (আলবানি হাদিসটিকে

হাসান বলেছেন)
by
edited
বিশুদ্ধ সূত্রে প্রমানিত হাদিস না দিয়ে
দুর্বল সনদের হাদিস দেন তাও আবার পূরাটা দেন না।মানুষ ধোঁকা খাচ্ছে।কিছু কিছু হানিফা মুফতিদের কাজ এটা।

গ্রন্থঃ সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
অধ্যায়ঃ ২/ সালাত (كتاب الصلاة)
হাদিস নম্বরঃ ১২৮৪

 
৩০০. মাগরিবের পূর্বে নফল সলাত আদায় করা প্রসঙ্গে 

১২৮৪। তাঊস (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইবনু ‘উমার রাযিয়াল্লাহু ‘আনহুমা-কে মাগরিবের পূর্বে দু’ রাক‘আত সলাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে আমি কাউকে এ সলাত আদায় করতে দেখিনি। তবে ‘আসরের পরে দু’ রাক‘আত সলাত আদায়ের অনুমতি আছে।[1]

দুর্বল।

[1] আবূ দাউদ এটি এককভাবে বর্ণনা করেছেন। এর সানাদ দুর্বল। হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f) http://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=58602



বিশুদ্ধ সূত্রে প্রমানিত হাদিস :
মাগরিব আযানের পর ফরজের পূর্বে নফল সালাতের প্রমান:


গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন )
অধ্যায়ঃ ১৯/ তাহাজ্জুদ বা রাতের সালাত (كتاب التهجد)
হাদিস নম্বরঃ ১১১২

 
৭৪৯. মাগরিবের আগে সালাত । 

১১১২। আবূ মা’মার (রহঃ) ... আবদুল্লাহ মুযানী (রাঃ) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেনঃ তোমরা মাগরিবের (ফরযের) আগে (নফল) সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করবে; (এ কথাটি তিনি তিনবার ইরশাদ করলেন) লোকেরা আমালকে সুন্নাতের মর্যাদা গ্রহন করতে পারে, এ কারণে তৃতীয়বারে তিনি বললেনঃ এ তার জন্য যে ইচ্ছা করে। (সহীহ বুখারী হাদিস নং ১১৮৩,৭৩৬৮ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন হাদিস নং:১১১২,৬৮৬২)

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) http://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=1119


গ্রন্থঃ সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ২/ সালাত (নামায) (كتاب الصلاة)
হাদিস নম্বরঃ ১২৮১

 
৩০৫. মাগরিবের আগে নফল নামায আদায় সম্পর্কে। 

১২৮১. উবায়দুলল্লাহ ইবন উমার (রহঃ) .... আবদুলল্লাহ ইবনুল-মুযানী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ তোমরা যে ইচ্ছা কর মাগরিবের পূর্বে দুই রাকাত নামায আদায় করতে পার। তিনি দুইবার এরূপ বলেন এবং তিনি তা আদায়ে কঠোরতা না করার কারণ এই ছিল, যাতে লোকেরা এটাকে সুন্নাত হিসাবে মনে না করে। (বুখারী)

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) http://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=33160

গ্রন্থঃ বুলুগুল মারাম
অধ্যায়ঃ পর্ব - ২ঃ সালাত (كتاب الصلاة)
হাদিস নম্বরঃ ৩৬০

 
৯. নফল সালাত-এর বিবরণ - মাগরিব সলাতের পূর্বে দুরাক’আত নফলের বিধান 

৩৬০. ‘আবদুল্লাহ বিন মুগাফফাল আল মুযান্নী (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছেনঃ তোমরা মাগরিবের (ফরযের) পূর্বে (নফল) সালাত আদায় করে; তোমরা মাগরিবের (ফরযের) পূর্বে (নফল) সালাত আদায় করো। লোকেরা এ ‘আমালকে সুন্নাত হিসেবে গ্রহণ করতে পারে, এ কারণে তৃতীয়বারে তিনি বললেন, : এ হুকুম তার জন্য যে ইচ্ছা করে। যেন তিনি নিয়মিত আদায় করা অপছন্দ করলেন।

ইবনু হিব্বানের একটি বর্ণনায় আছে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাগরিবের পূর্বে দু’রাক’আত সালাত আদায় করেছিলেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) http://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=70171

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...