আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
114 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)
edited by
১. আসসালামু আলাইকুম। আমি একটা পেজের সাথে যুক্ত হয়েছি যাদের সাথে কাজ করে সহজে উপার্জন করা যাবে। কিন্তু এটা জায়েজ হবে কিনা বুঝতেছিনা। যেহেতু আমার বাইরে যেয়ে বা প্রোডাক্ট সংগ্রহ করে সেল করার সুযোগ নেই তাই। আমি তাদের পোস্ট টা সংক্ষেপে উল্লেখ করছি।
( আপনার কি অনলাইন বুকশপ আছে?
যদি উত্তর হয় 'হ্যাঁ' তাহলে পোস্টটি আপনার জন্যই।
অনেকেই আছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনলাইনে বইয়ের ব্যবসা করছেন। কিন্তু! সমস্যা বেঁধে যায় অন্য জায়গায়! বইগুলো পাইকারি পেতে হলে যেতে হয় নীলক্ষেত বা বাংলাবাজার। তাই আমরা আপনাদের কথা ভেবে ব্যবসাটাকে আরেকটু সহজ করার জন্যই এক ধরণের সার্ভিস নিয়ে এসেছি। আপনার প্রতিষ্ঠানের যে অর্ডারগুলো আসবে সেগুলোর বই কালেক্ট করা, প্যাকেট করা, এবং কুরিয়ারে পৌঁছে দেয়া এগুলো সব আমরাই করে দিব। ব্যান্ডিংও হবে আপনার প্রতিষ্ঠানের। এতে করে আপনি শুধু ঘরে বা কর্মক্ষেত্রে বসেই ব্যবসাটা রানিং রাখতে পারবেন।
আমাদের সার্ভিসটা বলা যায় কুরিয়ার কোম্পানিগুলোর মত, যেমন কাস্টমার এবং সেলারের মাঝের সম্পর্কটা। অর্থাৎ কুরিয়ার যেমন বইগুলো কাস্টমারের কাছে পৌঁছে দেয় ঠিক আমরাও আপনার বইগুলো কাস্টমার পর্যন্ত পৌঁছাতে যা যা করার সবই করে দিব। বিনিময়ে প্রতিমাসে একটা সার্ভিস চার্জ প্রদান করতে হবে। যেটা কথা বলে নির্ধারণ হবে। বিস্তারিত জানতে চলে আসুন আমাদের ঠিকানায়!)
তারা মূলত একটা গ্রুপে আগ্হীদের এড করে। এবং গ্রুপে সকলেই সকলের পেজে রিচ বাড়াতে কমেন্ট, লাইক দেয় যাতে সেল হয়। যাতে বুস্ট না করলেও হয়। ওনাদের বইয়ের ছবি বা ছবি কালেক্ট করে পোস্ট করতে হবে আমাদের প্রত্যেককে নিজের পেজ এ। অর্ডার আসলে আমরা তাদের বলে বা তাদের ওয়েবসাইট থেকে অর্ডার কনফার্ম করলে তারাই বই কিনে বা কালেক্ট করে(বই তাদের স্টক করা আছে কিনা জানিনা, হয়ত সবসময় সব বই নাও থাকতে পারে) প্যাক করে বই কাস্টমারকে পাঠিয়ে দিবে।ডেলিভারি চার্জ বা কিছু টাকা আমাকে অগ্রিম নিতে হবে কনফার্ম করার জন্য অর্ডার।  আর টাকার ক্ষেত্রে ওনাদের ওয়েবসাইটে আমাদের জন্য নির্দিষ্ট দাম দেয়া থাকবে তার থেকে বেশি যা দামে বিক্রী করব সেটা আমার। কোনো প্রকাশনী যদি পাইকারি ডিস্কাউন্ট দেয় ৫০% আর খুচরা ৪৫% । তখন তারা হয়ত আমাদেরকে ৪৮% মানে কম বেশি করে আমাদের দাম নির্ধারন করে দিবে । এখন আমরা ৫০% বা তার কম বেশি যত কাস্টমারকে সেল করি সেটা আমার। সম্পূর্ণ টাকা অগ্রিম নিলে আমার লাভ রেখে বাকিটাকা ওনাদের ফেরত , আর ক্যাশ অন হলে সব খরচ বাদে বাকি টাকা আমাকে ফেরত দিবে।ওনাদের সাথে কাজ করা জায়েজ হবে মানে উপার্জন টা হালাল হবে ?

২. আমি কিছু পেজ এ নক দিয়েছিলাম যে যদি তাদের ছবি ব্যবহার করি আর অর্ডার আসলে তাদের থেকে এনে সেল করব( যেহেতু আমার কাছে প্রোডাক্ট নেই) । তারা হ্যা বলেছে। তাই আমি কিছু ছবি ওনাদের পেজ থেকে কালেক্ট করে এবং নিজের জানা অনুযায়ি বা ওনাদের থেকে ডিটেইলস নিয়ে পোস্ট করেছি। পেজ এ নক দিলে দেখা যায় অনেক সময় আমাকে তারা মনেও হয়ত রাখেনা আমি যে ছবি নেয়ার বা পাইকারি এনে সেল করার অনুমতি নিয়েছি । (হয়ত যেহেতু ওনাদের পেজ বড় তাই ) এক্ষেত্রে ঐ প্রোডাক্ট কতটুকু ভাল তা আমি অর্ডার কনফার্ম না হলে এবং আমার কাছে আনার পূর্বে জানতে পারবনা। এভাবে ব্যবসা করা যাবে কি ?

৩. রিসেলিং কি জায়েজ হবে ? অনেক পেজ এ রিসেলিং এর আলাদা গ্রুপ থাকে বা কিছু গ্রুপ হয়ত এই রিসেলিং নিয়েই কাজ করে। কারও পেজ এর বা নির্দিষ্ট গ্রুপে একটা দাম ফিক্সড করে প্রোডাক্ট ডিটেইলস দিয়ে দেয়া হয়। সে অনুযায়ী আমার পেজ এ সেম ডিটেইলস লিখে পোস্ট করে অনেকসময় বুস্ট করে( ফেসবুকে টাকা দিয়ে এড দিয়ে) বা বুস্ট ছাড়া অর্ডার আসলে কনফার্ম করে ওদের জানালে ওরা নির্দীষ্ট কমিশন দিয়ে দেয় এবং ওরাই কাস্টমারকে প্রোডাক্ট পাঠিয়ে দেয়। এক্ষেত্রে আমার দেখার সুযোগ নেই প্রোডাক্ট কেমন।

৪.এ্যাফলিয়েট মার্কেটিং কি জায়েজ ? এড, ভিডিও থেকে কিছুটা জেনেছি। আমি রকমারি এ্যাফলিয়েট, টেন মিনিট স্কুল এগুলোতে কাজ করতে চাইছিলাম। আমার ডিটেইলস ধারনা নেই এ্যাফলিয়েট মার্কেটিং কি। হালাল হলে ডিটেলস জেনে কাজ করা শুরু করব।

৫.আমার বাবার পাইকারি কাপড়ের ব্যবসা আছে। কিন্তু যেহেতু আমি যেহেতু মেয়ে বাইরে কাজ করতে পারছিনা। আমি বিবাহিত। আমার ভাইকে বললে বা জোর করলে ও আমাকে কিছু জামার ছবি তুলে দেয় এবং ডিটেইলস বলে দেয়, পাইকারি দামও । আমি কি সেগুলো আমার পেজ এ পোস্ট করে সেল করতে পারব। আগের থেকে কোনো ড্রেস এনে রাখা সম্ভব না আমার কাছে। অর্ডার আসলে কারখানা বা দোকান থেকে ঐ নির্দীষ্ট ড্রেস বাসায় এনে পাঠিয়ে দিব কাস্টমারকে। যেহেতু বাবার ব্যবসা কিছু ড্রেস সম্পর্কে কিছুটা আইডিয়া থাকে অনেকসময় ড্রেস কেমন হতে পারে কিন্তু সবক্ষেত্রে নয়। অর্ডার আসলে হয়ত ওদের পাইকারি দাম টা বা একটু বেশি কম দাম ভাইকে দিয়ে দিবো কিন্তু যেহেতু ভাই ঐভাবে হয়ত কড়ায় কড়ায় দাম ফিক্সড করা হবেনা।  এভাবে ব্যবসা করা কি জায়েজ হবে ?
আর যদি দোকান থেকে কাপর এনে ভিডিও করে আবার তা পাঠিয়ে দেই বা রেখে দেই। তারপর অর্ডার আসলে সেগুলো কাস্টমারকে পাঠিয়ে দিব। না আসলে ফেরত দিয়ে দিব। আর কাস্টমার থেকে টাকা পাওয়ার পর টাকা ভাই কে দিব । এক্ষেত্রে কি হালাল হবে ?
যদি কোনোভাবে না হয় তাহলে কীভাবে করলে হালাল হবে ?

৬. অনলাইন ব্যবসায়ে অনেক সময় কাস্টমার কল ধরে না বা পার্সেল ফেরত আসে বিশেষ করে ঢাকার বাইরে।  সেক্ষেত্রে ডেলিভারি চার্জ অগ্রিম নিয়ে তারপর প্রোডাক্ট পাঠানো হয়। এটা কি করা জায়েয হবে ?

দয়া করে লিংক না দিয়ে আমাকে বুঝিয়ে বললে আশা করি উপকৃত হব। আসলে আমার কনফিউশন বেশি। নাহলে আবার বেশি প্রশ্ন জাগতে পারে মনে।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। 
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ قَالَ أَنْبَأَنَا ابْنُ الْقَاسِمِ عَنْ مَالِكٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ ابْتَاعَ طَعَامًا فَلَا يَبِعْهُ حَتَّى يَقْبِضَهُ 
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন খাদ্যবস্তু ক্রয় করে, যেন তা কবজা করার আগে বিক্রয় না করে(সুনানু নাসায়ী-৪৫৯৬)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- 60300 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
পণ্য হস্তগত করার পূর্বে বিক্রয় করা যাবে না। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত পদ্ধতিতে বিক্রয় করা জায়েয হবে না। হ্যা, আপনি কোনো প্রতিষ্টানের এজেন্ট হয়ে নিজেকে সেই প্রতিষ্টানের এজেন্ট ঘোষণার করে উক্ত প্রতিষ্টানের লেভেলে  ক্রয়বিক্রয় করতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (1 point)
সবগুলো ক্ষেত্রেই কি জায়েজ হবেনা ? বিশেষ করে ১,৪,৫ নং প্রশ্নে ?
by (590,550 points)
কোনো ক্ষেত্রেই জায়েয হবে না। শুধুমাত্র এজেন্ট হয়ে কাজ করতে পারবেন। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...