আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
48 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (24 points)
উস্তাদ, আমি হাতখরচের জন্য বা বিভিন্ন প্রয়োজনে হালকা খরচের জন্য রিসেলিং এ যুক্ত হয়েছিলাম দুটি ব্যবসায়িক ফেসবুক পেইজে । একটি বোরকার পেইজ এবং আরেকটি খিমারের পেইজ । দুটি পেইজেরই সেল পোস্ট করা হতো বিভিন্ন সেলিং গ্রুপে এবং আমার জন্য রুলস্ এমন ছিলো যে *উদাহরণস্বরূপ আমি যদি ৭০০ টাকার প্রোডাক্ট ৫০/৬০/৮০/১০০+ বেশি দামে বিক্রি করি, ঐ বেশির অংকটাই আমার কমিশন ও মূল প্রাইসের পেইজ মালকিনের । মানে কোনো নির্ধারিত কমিশন ছিলো না । পরবর্তীতে, রিসেলিং কী এবং জায়েয/নাজায়েয  এ ব্যাপারে খোজখবরাদি নেই , এরপর জানতে পারি যে পণ্য মালিকানাধীন না থাকলে , কমিশন নির্ধারিত না থাকলে রিসেলিং জায়েয হবে না । পরে Ifatwa & Hanafi fiqh নামক গ্রুপের ফাতওয়া পড়ি । দুই জায়গার ফাতওয়ার মিনিং  সেইম বলা চলে ।
খিমারের পেইজটি থেকে ইতোমধ্যে আমি একটি খিমার অর্ডার করি যার গুণগত মান অসাধারণ লেগেছে । তবে বোরকার পেইজ থেকে এখনো নিজে কিছু ক্রয় করিনি, তবে ১৫০/- কমিশন পেয়েছিলাম যা আমারই নির্ধারণ করা ছিলো, কতৃপক্ষ থেকে নির্দিষ্ট কমিশন ছিলো না ।

আমার প্রশ্ন এরূপ - ১. একটি পেইজের পণ্য সম্পর্কে আমি জানি + পরখ করে দেখেছি তবে সব কাপড়ের পণ্য ব্যাপারে অবগত নই কিন্তু রিভিউ ভালো তাদের এবং বোরকার পেইজেরও রিভিউ সব ভালো কিন্তু তাদের পণ্য পরখ করে দেখিনি । এখন দুই পেইজ কতৃপক্ষ যদি পণ্য বিক্রি বাবদ কমিশন তারা নিজেরাই নির্দিষ্ট করে দেয়, তাহলে কী রিসেলারের কাজ অব্যাহত রাখা জায়েয হবে? নাজায়েযও যদি হয় তাহলে তাদের পেইজ কিভাবে সেলার হিসেবে কাজ করলে রিসেলিং করা যাবে? এবং আগে বোরকা  ১৫০/- বেশি বিক্রয় করার জন্য ঐটা কমিশন পেয়েছিলাম, তখন তো এর নাজায়েযের ব্যাপারে জানতাম না , ঐ ১৫০/- টাকা কি করবো??

উত্তর দিলে ভালো হতো উস্তাদ ।

জাযাকুমুল্লহু খইরন

1 Answer

0 votes
by (714,080 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। 
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ قَالَ أَنْبَأَنَا ابْنُ الْقَاسِمِ عَنْ مَالِكٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ ابْتَاعَ طَعَامًا فَلَا يَبِعْهُ حَتَّى يَقْبِضَهُ 
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন খাদ্যবস্তু ক্রয় করে, যেন তা কবজা করার আগে বিক্রয় না করে(সুনানু নাসায়ী-৪৫৯৬)

’’( وأما ) بيع المشتري العقار قبل القبض فجائز عنه عند أبي حنيفة ، وأبي يوسف استحسانا‘‘
স্থাবর সম্পত্তি কবজা করার পূর্বে বিক্রয় করা জায়েজ আছে।(বাদায়ে সানায়ে-১১/২৫৯)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
পণ হস্তগত হওয়ার পূর্বে বিক্রয় করা নাজায়েয।  তাছাড়া সালাম ক্রয় বিক্রয়ের জন্য বিক্রেতার আয়ত্বে বাস্তবে অথবা অর্থগতভাবে মাল উপস্থিত থাকা শর্ত। তাই প্রশ্নে বর্ণিত ক্রয়-বিক্রয়ের পদ্ধতিকে সালাম ক্রয় বিক্রয়ও বিবেচনা করা যাবে না। হ্যা, ঐ আপনি কম্পানির নির্ধারিত কমিশন এজেন্ট হয়ে ক্রয় বিক্রয় করতে পারবেন। কম্পানির এজেন্ট হিসেবে আপনার লভ্যাংশ সুনির্ধারিত থাকতে হবে। 
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/44


আপনি যদি নিজেকে বিক্রেতা বলে পরিচয় না দিয়ে বরং নিজেকে এজেন্ট বলে পরিচয় দেন। এবং পার্সেন্টিজ আকারে ইনকাম নির্ধারিত থাকে,
তাহলে ইনকাম জায়েয হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...