আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
91 views
in সালাত(Prayer) by (18 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১/আমার প্রতিনিয়ত সালাতে সিজদাহ সংখ্যা নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়ি।প্রবল ধারণা বেশিরভাগ সময় দুটি সিজদা দিয়েছি বলে মনে হয়। তারপরও যখন পরবর্তী   রাকাতের জন্য কিরাত পড়া শুরু করি তখন আবার ওয়াসওয়াসা আসে আমি ১টি সিজদাহ দিয়েছি মনে হয়।প্রতিনিয়ত আমার সাথে এরকম হয়। যার ফলে দুটি সিজদা দেওয়ার প্রবল ধারণা থাকলেও আবার একটি সিজদা দিতে হয় যেন কিরাত পড়ার সময় সন্দেহ না আসে। এখন আমার কি করণীয়? আমার কি উচিৎ প্রবল ধারণার উপর ভিত্তি করে দুইটি সিজদাহ দেওয়া এবং পরবর্তী রাকাতের  কিরাতে সিজদাহ নিয়ে সন্দেহ আসলে তাতে পাত্তা না দেওয়া?

২/যদি অনিচ্ছাকৃত ভাবে দুই হাত একসাথে নড়ে উঠে তাহলে কি আমলে কাস্যার হয়ে নামাজ ভাংবে?

৩/যদি নামাজরত অবস্থায় অঙ্গের এক চতুর্থাংশের কম  খুলে যায় এবং আমলে কাসীর হওয়ার ভয়ে তা ইচ্ছা করে ঠিক না করা হয়, তাহলে নামায হবে?

৪/অনিচ্ছাকৃত ভাবে কিঞ্চিৎ আওয়াজ হলে নামাজ ভাংবে?

৫/ইচ্ছা করে যদি এক রুকন পরিমান চুপ থাকা হয়,নামাজ ভাংবে?

৬/নামাযে সাহু সিজদা দেওয়ার পরে মনে পড়ছে যে সে দুই সিজদার মাঝখানে বসেছিল কিন্তু ১ম সিজদাহ দিয়েছে বলে মনে পড়ছে না,সে সাভাবিক ভাবে নামাজ শেষ করল। নামাজ কি হয়েছে?

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
নামাজে যদি হঠাৎ মনে মনে কনফিউশান হয় যে, সূরা মিলালাম কিনা? বা তাশাহুদ পরলাম কিনা? তাহলে তাহাররি তথা গভীর চিন্তাভাবনা করে কোনো একদিককে নির্দিষ্ট করে সেই অনুযায়ী নামায পড়া এবং শেষে সাহু সিজদা দেয়া।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1797

যদি সন্দেহের ভিত্তিতে সাহু সিজদা (যা ওয়াজিব হয়নি) দুই সালাম ফিরিয়ে দেয়া হয়ে থাকে, তাহলে নামায হয়ে যাবে।আর যদি এক সালাম ফিরিয়ে দেয়া হয়, তাহলে উক্ত নামাযকে দোহড়াতে হবে (কিতাবুন-নাওয়যিল-৩/৬৩৯)"

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আসসালামু আলাইকুম।
(১) আপনার উচিৎ প্রবল ধারণার উপর ভিত্তি করে দুইটি সিজদাহ ধরে নেওয়া এবং পরবর্তী রাকাতের কিরাতে সিজদাহ নিয়ে সন্দেহ আসলে, তাতে পাত্তা না দিয়ে নামাযকে চালিয়ে যাওয়া।

(২) যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে দুই হাত একসাথে নড়ে উঠে তাহলে এই শুধু নড়াচড়ার দ্বারা আমলে কাসির হবে না এবং নামাযও ফাসিদ হবে না।

(৩) যদি নামাজরত অবস্থায় অঙ্গের এক চতুর্থাংশের কম খুলে যায় এবং আমলে কাসীর হওয়ার ভয়ে তা ইচ্ছা করে ঠিক করা না হয়, তাহলে নামায ফাসিদ হবে না।

(৪) অনিচ্ছাকৃতভাবে কিঞ্চিৎ আওয়াজ হলে নামাজ ফাসিদ হবে কি না? সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/431

(৫) নামাযে ইচ্ছাকৃত যদি এক রুকন পরিমান চুপ থাকা হয়,তাহলে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে।

(৬) নামাযে সাহু সিজদা দেওয়ার পরে মনে পড়ছে যে, সে দুই সিজদার মাঝখানে বসেছিল কিন্তু ১ম সিজদাহ দিয়েছে বলে মনে পড়ছে না,তাহলে আর সাহু সিজদা দিতে হবে না। কেননা একই নামাযে দুইবার সাহু সিজদা ওয়াজিব হয় না। তবে যদি নামাযের সিজদা নিয়ে সন্দেহ হয়, তাহলে তখন প্রবল ধারণার উপরই আমল করবে। যদি সিজদা না দেওয়ার প্রবল ধারণা হয়, তাহলে শুধুমাত্র একটা সিজদা দিয়ে দিবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 113 views
0 votes
1 answer 249 views
...