ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
নামাজে যদি হঠাৎ মনে মনে কনফিউশান হয় যে, সূরা মিলালাম কিনা? বা তাশাহুদ পরলাম কিনা? তাহলে তাহাররি তথা গভীর চিন্তাভাবনা করে কোনো একদিককে নির্দিষ্ট করে সেই অনুযায়ী নামায পড়া এবং শেষে সাহু সিজদা দেয়া।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1797
যদি সন্দেহের ভিত্তিতে সাহু সিজদা (যা ওয়াজিব হয়নি) দুই সালাম ফিরিয়ে দেয়া হয়ে থাকে, তাহলে নামায হয়ে যাবে।আর যদি এক সালাম ফিরিয়ে দেয়া হয়, তাহলে উক্ত নামাযকে দোহড়াতে হবে (কিতাবুন-নাওয়যিল-৩/৬৩৯)"
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আসসালামু আলাইকুম।
(১) আপনার উচিৎ প্রবল ধারণার উপর ভিত্তি করে দুইটি সিজদাহ ধরে নেওয়া এবং পরবর্তী রাকাতের কিরাতে সিজদাহ নিয়ে সন্দেহ আসলে, তাতে পাত্তা না দিয়ে নামাযকে চালিয়ে যাওয়া।
(২) যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে দুই হাত একসাথে নড়ে উঠে তাহলে এই শুধু নড়াচড়ার দ্বারা আমলে কাসির হবে না এবং নামাযও ফাসিদ হবে না।
(৩) যদি নামাজরত অবস্থায় অঙ্গের এক চতুর্থাংশের কম খুলে যায় এবং আমলে কাসীর হওয়ার ভয়ে তা ইচ্ছা করে ঠিক করা না হয়, তাহলে নামায ফাসিদ হবে না।
(৪) অনিচ্ছাকৃতভাবে কিঞ্চিৎ আওয়াজ হলে নামাজ ফাসিদ হবে কি না? সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/431
(৫) নামাযে ইচ্ছাকৃত যদি এক রুকন পরিমান চুপ থাকা হয়,তাহলে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে।
(৬) নামাযে সাহু সিজদা দেওয়ার পরে মনে পড়ছে যে, সে দুই সিজদার মাঝখানে বসেছিল কিন্তু ১ম সিজদাহ দিয়েছে বলে মনে পড়ছে না,তাহলে আর সাহু সিজদা দিতে হবে না। কেননা একই নামাযে দুইবার সাহু সিজদা ওয়াজিব হয় না। তবে যদি নামাযের সিজদা নিয়ে সন্দেহ হয়, তাহলে তখন প্রবল ধারণার উপরই আমল করবে। যদি সিজদা না দেওয়ার প্রবল ধারণা হয়, তাহলে শুধুমাত্র একটা সিজদা দিয়ে দিবে।