আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
128 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (13 points)
closed by

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ 

আমি IOM এর ২৪১১ ব্যাচ এর একজন ছাত্র। 
সাম্প্রতিক সময়ে আমি বিয়ে করেছি।  আমার স্ত্রী ঘরে ও বাইরে পর্দা করে। 
কিন্তু স্ত্রীর পরিবার এর বাকি সদস্যরা পর্দার ব্যাপারে ততটা সচেতন নয়। 
আমার ধারণা আমার শ্বশুর-শাশুড়ি হয়তো কখনো  তাদের বড় জামাই/নন-মাহরাম কে  পাঠাতে পারে তাদের মেয়ে কে একা আনার জন্য (আমাকে ছাড়া )

কিন্তু আমি নন-মাহরাম এর সাথে আমার স্ত্রীকে তার বাবার বাড়ি একা পাঠাবো না। 

  1. ১. যদি স্ত্রীর বোন এর সাথে স্ত্রীর বোন জামাই আসে তাহলে কি পাঠাবো কিংবা পাঠানো উচিত হবে কি?
  2. ২.  নন-মাহরাম যে কেউ নিতে আসতে  চাইলে কি একজন মাহরাম পুরুষ অথবা যেকোনো একজন মহিলা আসতে বলবো ?
  3. ৩. স্ত্রীর পরিবার  এই ব্যাপারে সামাজিকতার অজুহাত দেখালে আমি কিভাবে  কুরআন এবং হাদিস উল্লেখ করে তাদের বুঝানোর চেষ্টা করবো ? কুরআন এবং হাদিস এর কিছু সর্বাধিক প্রাসঙ্গিক কিছু রেফারেন্স উল্লেখ করবেন। 
  4. ৪. একজন মেয়ের বিয়ের পর প্রধান অভিবাবক কে ? স্বামী নাকি বাবা ?
  5. ৫.   বিয়ের পর কার কথা আগে প্রাধান্য পাবে যদি স্বামী ও  বাবা দুজনই হক কথা বলে ? স্ত্রী এক্ষেত্রে কিভাবে দুজনের হক কথার ভারসাম্য রাখবে ?
  6. ৬. স্ত্রী যদি স্বামীর হক কথার পক্ষ না নিয়ে বাবার বাতিল কথার পক্ষ নেয় তাহলে স্বামীর করণীয় কি ?
  7. ৭. স্ত্রী কি স্বামীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে বাবার বাড়ি অতিরিক্ত থাকতে পারবে ? যেমন : মনে করুন স্ত্রী বাবার বাড়ি বেড়াতে গেছে। স্বামী তার স্ত্রীকে ৩ দিন এর বেশি বাবার বাড়ি থাকতে দিবে না। কিন্তু স্ত্রী স্বামীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে ৩ দিন জায়গায় ৬-৭ দিন থাকতে চাচ্ছে কিংবা স্ত্রী আসতে চাচ্ছে কিন্তু বাবা মা ৬-৭ দিন এর আগে আসতে দিবে না। এক্ষেত্রে কার হক প্রাধান্য পাবে স্বামী নাকি বাবা মা ?
  8. ৮. আর এমন বিষয় যেখানে স্ত্রীর ওপর তার বাবা মার চেয়ে আমার হক প্রাধান্য পাবে ?
closed

1 Answer

+1 vote
by (589,140 points)
selected by
 
Best answer


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
বিশেষ প্রয়োজনে মহিলারা মাহরাম ব্যতিত কাছাকাছি  জায়গা তথা একদিন এক রাতের দূরত্ব সমপরিমাণ জায়গা সফর করতে পারবে। অবশ্যই সম্পূর্ণ পর্দাকে রক্ষা করে যেতে হবে। তবে এর চেয়ে বেশী মাহরাম ব্যতিত পারবে না।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/212
হ্যা, বিশেষ জরুরত হলে, তথা ভিন্ন কোনো রাস্তা না থাকলে এবং সেখানে যাওয়া জরুরী হলে তখন নেককার মহিলাদের এক জামাতের সাথে মাহরাম ব্যতিত সফর করার অনুমোদন থাকবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/2127

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) যদি স্ত্রীর বোন এর সাথে স্ত্রীর বোন জামাই আসে, তাহলে এক্ষেত্রে স্ত্রীকে তাদের সাথে পাঠানোর ব্যাপারে আপনার এখতিয়ার থাকবে।যদি নিরাপদ মনে করেন,তাহলে পাঠাতে পারবে, নতুকা পাঠানো উচিত হবে না।

(২) নন-মাহরাম যে কেউ,স্ত্রীকে বাবার বাড়ী নিতে আসতে চাইলে, একজন মাহরাম পুরুষ অথবা কমপক্ষে একজন মহিলাকে সাথে নিয়ে আসতে বলবেন।

(৩) হযরত উকবাহ ইবনে আমের রাযি থেকে বর্ণিত,
عن عقبة بن عامر: أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: «إياكم والدخول على النساء» فقال رجل من الأنصار: يا رسول الله، أفرأيت الحمو؟ قال: «الحمو الموت»
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,তোমরা গায়রে মহিলাদের ঘরে প্রবেশ থেকে বেঁচে থাকো।একজন আনসারি সাহাবী জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ সাঃ! দেবরের সম্পর্কে আপনি কি মনে করেন/কি হুকুম?
রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন,দেবর হল,মৃত্যু।(সহীহ বোখারী-৫২৩২) এখানে দেবর বলা হলেও নিকটাত্মীয় গায়রে মাহরাম সকল প্রকার আত্মীয় উদ্দেশ্য।

(৪) একজন মেয়ের বিয়ের পর প্রধান অভিবাবক হল তার স্বামী।

(৫)  বিয়ের পর স্বামীর কথাই অগ্রগণ্য হিসেবে বিবেচিত হবে। হ্যা, বাবা এবং স্বামী, উভয়ের হক কথার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করার যাবতীয় চেষ্টা করতে হবে।

(৬) স্ত্রী যদি স্বামীর হক কথার পক্ষ না নিয়ে বাবার বাতিল কথার পক্ষ নেয়, তাহলে স্বামীর উচিৎ স্ত্রীকে হেকমতের সাথে বুঝানো। মসজিদের ইমাম সাহেবকে বাড়িতে এনে উনার মাধ্যমে বুঝানোর চেষ্টা করা।

(৭) স্ত্রী তার স্বামীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে বাবার বাড়ি অতিরিক্ত থাকতে পারবে না।

(৮) বাবা মায়ের চেয়ে স্বামীর হকই প্রাধান্য পাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...