ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
বিশেষ প্রয়োজনে মহিলারা মাহরাম ব্যতিত কাছাকাছি জায়গা তথা একদিন এক রাতের দূরত্ব সমপরিমাণ জায়গা সফর করতে পারবে। অবশ্যই সম্পূর্ণ পর্দাকে রক্ষা করে যেতে হবে। তবে এর চেয়ে বেশী মাহরাম ব্যতিত পারবে না।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/212
হ্যা, বিশেষ জরুরত হলে, তথা ভিন্ন কোনো রাস্তা না থাকলে এবং সেখানে যাওয়া জরুরী হলে তখন নেককার মহিলাদের এক জামাতের সাথে মাহরাম ব্যতিত সফর করার অনুমোদন থাকবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/2127
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) যদি স্ত্রীর বোন এর সাথে স্ত্রীর বোন জামাই আসে, তাহলে এক্ষেত্রে স্ত্রীকে তাদের সাথে পাঠানোর ব্যাপারে আপনার এখতিয়ার থাকবে।যদি নিরাপদ মনে করেন,তাহলে পাঠাতে পারবে, নতুকা পাঠানো উচিত হবে না।
(২) নন-মাহরাম যে কেউ,স্ত্রীকে বাবার বাড়ী নিতে আসতে চাইলে, একজন মাহরাম পুরুষ অথবা কমপক্ষে একজন মহিলাকে সাথে নিয়ে আসতে বলবেন।
(৩) হযরত উকবাহ ইবনে আমের রাযি থেকে বর্ণিত,
عن عقبة بن عامر: أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: «إياكم والدخول على النساء» فقال رجل من الأنصار: يا رسول الله، أفرأيت الحمو؟ قال: «الحمو الموت»
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,তোমরা গায়রে মহিলাদের ঘরে প্রবেশ থেকে বেঁচে থাকো।একজন আনসারি সাহাবী জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ সাঃ! দেবরের সম্পর্কে আপনি কি মনে করেন/কি হুকুম?
রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন,দেবর হল,মৃত্যু।(সহীহ বোখারী-৫২৩২) এখানে দেবর বলা হলেও নিকটাত্মীয় গায়রে মাহরাম সকল প্রকার আত্মীয় উদ্দেশ্য।
(৪) একজন মেয়ের বিয়ের পর প্রধান অভিবাবক হল তার স্বামী।
(৫) বিয়ের পর স্বামীর কথাই অগ্রগণ্য হিসেবে বিবেচিত হবে। হ্যা, বাবা এবং স্বামী, উভয়ের হক কথার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করার যাবতীয় চেষ্টা করতে হবে।
(৬) স্ত্রী যদি স্বামীর হক কথার পক্ষ না নিয়ে বাবার বাতিল কথার পক্ষ নেয়, তাহলে স্বামীর উচিৎ স্ত্রীকে হেকমতের সাথে বুঝানো। মসজিদের ইমাম সাহেবকে বাড়িতে এনে উনার মাধ্যমে বুঝানোর চেষ্টা করা।
(৭) স্ত্রী তার স্বামীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে বাবার বাড়ি অতিরিক্ত থাকতে পারবে না।
(৮) বাবা মায়ের চেয়ে স্বামীর হকই প্রাধান্য পাবে।