আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
182 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (26 points)
১) আমি আমার বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে তারা দুজনেই জীবিত ,আমার ভাই নেই কোনো। আমার বাবার ও কোনো ভাই নেই,তিন বোন আছেন। আর দাদি জীবিত,দাদু মৃত,বাবার মৃত্যুর পরে (আল্লহ কল্যাণকর হায়াত দিক)সম্পদ ভাগ করার ক্ষেত্রে কীভাবে ভাগ হবে?
২) সম্পদ বলতে কি শুধু টাকা?  নাকি বাড়ি, জমি সবই আসবে?

৩) যদি আমার বাবা মা দুজনেই চান সবই আমার নামে দিতে,এক্ষেত্রে কী তাদের কোনো গুনাহ হবে?(আমার নিরাপত্তার উদ্দেশ্যে,কাউকে সম্পদ থেকে বঞ্চিত করার উদ্দেশ্যে নয়)

৪) তিন ভাই এবং এক বোন থাকলে বোন সম্পত্তির কত ভাগ পাবে মায়ের সম্পত্তি থেকে? আর বাবার সম্পত্তি থেকে কত ভাগ পাবেন?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
 
 يُوصِيكُمُ اللّهُ فِي أَوْلاَدِكُمْ لِلذَّكَرِ مِثْلُ حَظِّ الأُنثَيَيْنِ فَإِن كُنَّ نِسَاء فَوْقَ اثْنَتَيْنِ فَلَهُنَّ ثُلُثَا مَا تَرَكَ وَإِن كَانَتْ وَاحِدَةً فَلَهَا النِّصْفُ وَلأَبَوَيْهِ لِكُلِّ وَاحِدٍ مِّنْهُمَا السُّدُسُ مِمَّا تَرَكَ إِن كَانَ لَهُ وَلَدٌ فَإِن لَّمْ يَكُن لَّهُ وَلَدٌ وَوَرِثَهُ أَبَوَاهُ فَلأُمِّهِ الثُّلُثُ فَإِن كَانَ لَهُ إِخْوَةٌ فَلأُمِّهِ السُّدُسُ مِن بَعْدِ وَصِيَّةٍ يُوصِي بِهَا أَوْ دَيْنٍ آبَآؤُكُمْ وَأَبناؤُكُمْ لاَ تَدْرُونَ أَيُّهُمْ أَقْرَبُ لَكُمْ نَفْعاً فَرِيضَةً مِّنَ اللّهِ إِنَّ اللّهَ كَانَ عَلِيما حَكِيمًا
 
আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের সন্তানদের সম্পর্কে আদেশ করেনঃ একজন পুরুষের অংশ দু?জন নারীর অংশের সমান। অতঃপর যদি শুধু নারীই হয় দু' এর অধিক, তবে তাদের জন্যে ঐ মালের তিন ভাগের দুই ভাগ যা ত্যাগ করে মরে এবং যদি একজনই হয়, তবে তার জন্যে অর্ধেক। মৃতের পিতা-মাতার মধ্য থেকে প্রত্যেকের জন্যে ত্যাজ্য সম্পত্তির ছয় ভাগের এক ভাগ, যদি মৃতের পুত্র থাকে। যদি পুত্র না থাকে এবং পিতা-মাতাই ওয়ারিস হয়, তবে মাতা পাবে তিন ভাগের এক ভাগ। অতঃপর যদি মৃতের কয়েকজন ভাই থাকে, তবে তার মাতা পাবে ছয় ভাগের এক ভাগ ওছিয়্যতের পর, যা করে মরেছে কিংবা ঋণ পরিশোধের পর। তোমাদের পিতা ও পুত্রের মধ্যে কে তোমাদের জন্যে অধিক উপকারী তোমরা জান না। এটা আল্লাহ কতৃক নির্ধারিত অংশ নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, রহস্যবিদ। (সূরা নিসা-১১)       
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
মাসয়ালা হবে ৭২ দিয়ে। অর্থাৎ আপনার বাবার মৃত্যুর পর তার সমূদয় সম্পত্তি ৭২ ভাগ করা হবে।

★আপনি একমাত্র মেয়ে হিসেবে অর্ধেক সম্পদ পাবেন। অর্থাৎ মোট ৩৬ অংশ পাবেন।

★আপনার বাবার মা অর্থাৎ আপনার দাদি  ছয় ভাগের এক ভাগ হিসেবে ১২ অংশ পাবে।

★আপনার বাবার স্ত্রী অর্থাৎ আপনার মা
 এক অষ্টমাংশ হিসেবে ০৯ অংশ পাবে।

★আপনার বাবার তিন বোন অর্থাৎ আপনার ৩ ফুফু প্রত্যেকে ৫ ভাগ করে সব মিলে ১৫ অংশ পাবে।

(০২)
সম্পদ বলতে শুধু টাকা পয়সা নয়, বাড়ি, জমি,আসবাবপত্র, স্বর্ন,রুপা তথা সমূদয় সম্পত্তি সবই আসবে।

(০৩)
যদি আপনার বাবা মা দুজনেই চান সবই আপনার নামে লিখে দিতে,সেক্ষেত্রে আপনার বাবার এই অধিকার আছে।
তবে আপনার বাবার মা অর্থাৎ আপনার দাদি ও আপনার বাবার তিন বোন অর্থাৎ আপনার ৩ ফুফুর সন্তুষ্টি চিত্তে অনুমতি লাগবে। কেননা আপনার বাবার সম্পদে তাদেরও ভাগ আছে।

কোনো প্রকারের চাপ দিয়ে নয়,বরং তারা সন্তুষ্টি চিত্তে আপনার বাবার সম্পদ না নিতে চাইলে সেক্ষেত্রে আপনার নামে সমূদয় লিখে দিতে পারবেন।

তাদের অনুমতি ছাড়া লিখে দিলে সেক্ষেত্রে যদিও আপনি সমস্ত সম্পদের মালিক হয়ে যাবেন ঠিকই,তবে এর দরুন আপনার বাবা গুনাহগার হবেন।

আরো জানুনঃ- 

(০৪)
এক্ষেত্রে তাদের মায়ের সম্পত্তি থেকে হোক বা তাদের বাবার সম্পত্তি থেকে হোক উভয় ছুরতেই মাইয়্যিতের যদি আর কোনো ওয়ারিশ না থাকে,সেক্ষেত্রে মাইয়্যিতের সমূদয় সম্পত্তি ৭ ভাগ হবে।

তিন ছেলে প্রত্যেকে ২ অংশ করে সবমিলে ৬ ভাগ পাবে।
আর মেয়ে ০১ ভাগ পাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (26 points)
১)নিজের আপন চাচা নেই,কিন্তু আমার দাদুর নিজের ভাইয়ের ছেলে আছে, তারা কি কিছু পাবে?

by (565,890 points)
না,তারা পাবেনা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...