আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
228 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম

আমি বর্তমনে একটি প্রাইভেট ভার্সিটি তে সি এস ই তে পড়াশুনা করছি , নবম সেমিস্টার চলছে বার সেমিস্টার এর মাঝে । আমার বয়স 25 চলছে , আমার ভার্সিটি তেই আমার একজন ক্লাসমেট কে আমার পছন্দ হয় তার দীনদারিতা দেখে ,উনি পরিপূর্ণ পর্দা করেন , যদিও আমি কখনোই তাকে দেখি নি কিন্তু রসুল্লাহ সাল্লাহহু আলাইহিস সালাম মেয়ে পছন্দ করার জন্য যে বিষয় টি অধিক গুরুত্ব দিতে বলেছেন তথা দিনদারিতা আমি সেটি কে প্রাধান্য দিয়ে তাকে পছন্দ করি এবং তাকে জানাই , উনি ইস্তিখাড়া করে একাধিক বার সব সময় আমার বিষয়ে পজিটিভ পায় এবং ইস্তিখাড়া তে পসিটিভ পাবার দরুন তার মন এ বিষয়ে সায় দেয় , আমি ইস্তিখাড়া করি আমিও পজিটিভ  পাই । আমি এ বিষয়ে আমার আব্বু আম্মুর সাথে পরামর্শ করি , এরপর আমার আম্মু ও এ বেপারে ইস্তিখাড়া করেন উনিও পজিটিভ পান , এখন বর্তমান সিচুয়েশন এমন যে আমি নিজে পসিটিভ , আমার ফ্যামিলি ও পজিটিভ , মেয়ে যেহেতু ইস্তিখাড়া করে পজিটিভ পেয়েছে এক্ষেত্রে মেয়ে ও পজিটিভ হিসেবে কন্সিডার করা যায় , কিন্তু আমি এখন ও স্টুডেন্ট আর আমার ভার্সিটি শেষ হতে হতে 1 বছর 6 মাস এর মত লাগবে তবে আমি চেষ্টা করলে আশা করা যায় আগামী 6 মাস এর মাঝে জব পেয়ে যেতে পরি আল্লাহ এর কৃপায় ইনশা আল্লাহ , মেয়ে তার ফ্যামিলি তে আমার বিষয়ে জানালে তারা বলছে ছেলে এখনও স্টুডেন্ট । আর মেয়ের বাসায় অন্য জায়গা থেকেও প্রস্তাব এসেই যাচ্চে কিন্তু অন্য প্রস্তাব গুলো নিয়ে ইস্তিখাড়া করার পর মেয়ে রেজাল্ট পসিটিভ পায় না দেখা যায় তখনও আমার বেপারে পজিটিভ  ভাইব পায় এবং অন্য কোথাও তার মন সায় দেয় না । এমতাবস্থায় সেই মেয়ে যদি আমার জন্য অপেক্ষা করে এবং অন্য কোথাও না করে দেয় এটা কি জায়েজ হবে কি না  । আর আমার জন্য অপেক্ষা করা ঠিক হবে কি না ।  আর আমাদের মাঝে কুফু ব মিলে যায় শুধুমাত্র মেয়েদের ফিনান্সিয়াল অবস্থা ছেলেদের থেকে একটু ভাল বলা যায় তবে মেয়ের সাথে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করে জানতে পেরেছি সে উচ্চবিলাসী নয় এবং এ বিষয় নিয়ে কোন সমস্যা হবে না ইনশা আল্লাহ (এখানে বলে রাখা প্রয়োজন মনে করছি ছেলে মেয়ে উভয়ই দীনদার উভয়এই আল্লাহকে ভয় করেন ,  যেহেতু আমরা একই ব্যাচ এ  প্রথমের দিকে খুবই অল্প কথা হয়েছে টেলিগ্রাম এ কিন্তু এই বিষয় টি উপলব্ধি করার সাথে সাথে আমি একদম টেলিগ্রাম ডিলেট করে দেয় যাতে কথা না হয় পরবর্তীতে আমি মেয়ের সমন্ধে জানতে এবং বিয়ের বিষয়ে মেইল এ প্রশ্ন করি এবং সে ও প্রশ্ন করে কোন অপ্রয়োজনীয় কথা বলা হয় না )   
এমতাবস্থায় আমি এই বিষয় টির কোন একটি ডিসিসনে এ আসতে কাচ্চি কেননা বর্তমান অবস্থা এই যে  কয়দিন পর পর ই মেয়ের বসে প্রস্তাব আসে এবং সে ইস্তিখাড়া করে আমার বেপারে পজিটিভ পায় এবং উক্ত প্রস্তাব এ আগাতে পারে না এবং আমার তখন অনেক গিলটি ফিল হয় যে আমার জন্য আরেকজন এর সভাবিক জীবন যাপন ব্যাহত হচ্ছে , একারণে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি( বাস্তবতা অনুযায়ী যেহেতু আমি স্টুডেন্ট এখনও এখন  আমার বাসা থেকে প্রস্তাব দিলে না করে দেয়ার সম্বাবনা বেশি তারপর ও আমি বাস্তবতা কে আল্লাহর উপর ছেড়ে দিয়ে ) আমার পরিবার কে বলতে চাচ্ছি ফ্যামিলি গত ভাবে আগাতে এবং আব্বু আম্মুকে তার ফ্যামিলি সাথে কথা বলতে । আমার সিদ্ধান্ত এর পেছনে অন্যতম একটি কারণ হল এখানে যদি তারা হ্যা বা না করে দেয় তাহলে একটি ডিসিসন এ আসা যাবে বর্তমান যে অবস্থা তাতে আমি নিজেও পেরেশন এবং মেয়ে ও পেরেশন , যেহেতু আমরা উভয় এই আল্লাহ কে ভয় করি তার  জন্যই একে অপরকে পছন্দ করি তাই যদি এক্ষেত্রে তার ফ্যামিলি না ও করে দেয় আমি সেটা মেনে নিতে প্রস্তুত শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি এর জন্য ।
আমার এই সিদ্ধান্ত কি ঠিক হবে >?  আর মেয়ের জন্য অপেক্ষা করা কি ঠিক হবে কি না এবং অন্য কোথাও থেকে প্রস্তাব আসলে সেখানে না করা ঠিক হবে কি না । আর আমাদের এভাবে মেইল এ কথা বলা কি গুনাহ হবে কি না ,এখানে প্রশ্ন এবং বিয়ের বিষয়ে জানার জনই কথা হয়েছে ,উভয়য়েই এ বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন অবলম্বন  করি ,
প্রিয় উস্তায দয়া করে এ বিষয়ে আমাকে নাসিহা করুন , আমার কোন বিষয় ভুল থাকলে সেটি বলুন আমি আল্লাহর জন্য সেটি শুধরে নিব ইনশাআল্লাহ ,আর আমার জন্য দুয়া করবেন প্রিয় উস্তায
উত্তর পেলে খুবই উপকৃত হব বলে আশা করছি উস্তায

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
‘আলক্বামাহ (রহ.) হতে বর্ণিত। 

عن علقمة، قال: كنت مع عبد الله، فلقيه عثمان بمنى، فقال: يا أبا عبد الرحمن إن لي إليك حاجة فخلوا، فقال عثمان: هل لك يا أبا عبد الرحمن في أن نزوجك بكرا، تذكرك ما كنت تعهد؟ فلما رأى عبد الله أن ليس له حاجة إلى هذا أشار إلي، فقال: يا علقمة، فانتهيت إليه وهو يقول: أما لئن قلت ذلك، لقد قال لنا النبي صلى الله عليه وسلم: «يا معشر الشبابمن استطاع منكم الباءة فليتزوج، ومن لم يستطع فعليه بالصوم فإنه له وجاء»

তিনি বলেন, যখন আমি ‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ)-এর সঙ্গে ছিলাম, ‘উসমান (রাঃ) তাঁর সঙ্গে মিনাতে দেখা করে বলেন, হে আবূ ‘আবদুর রহমান! আপনার সাথে আমার কিছু দরকার আছে। অতঃপর তারা দু’জনে এক পাশে গেলেন। তারপর ‘উসমান (রাঃ) বললেন, হে আবূ ‘আবদুর রহমান! আমি কি আপনার সঙ্গে এমন একটি কুমারী মেয়ের বিয়ে দিব, যে আপনাকে আপনার অতীত কালকে স্মরণ করিয়ে দিবে? ‘আবদুল্লাহ্ যখন দেখলেন, তার এ বিয়ের দরকার নেই তখন তিনি আমাকে ‘হে ‘আলক্বামাহ’ বলে ইঙ্গিত করলেন। আমি তাঁর কাছে গিয়ে বলতে শুনলাম, আপনি আমাকে এ কথা বলছেন (এ ব্যাপারে) রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে বলেছেন, হে যুবকের দল! তোমাদের মধ্যে যে বিয়ের সামর্থ্য রাখে, সে যেন বিয়ে করে এবং যে বিয়ের সামর্থ্য রাখে না, সে যেন ‘সওম’ পালন করে। কেননা, সওম যৌন ক্ষমতাকে দমন করে।(সহীহ বোখারী-৫০৬৫)

«النِّكَاحُ حَالَةَ الِاعْتِدَالِ سُنَّةٌ مُؤَكَّدَةٌ مَرْغُوبَةٌ، وَحَالَةَ التَّوَقَانِ وَاجِبٌ، وَحَالَةَ الْخَوْفِ مِنَ الْجَوْرِ مَكْرُوهٌ.» - «الاختيار لتعليل المختار»
 (3/ 82)

স্বাভাবিক অবস্থায় বিয়ে করা সুন্নতে মু’আক্কাদা। আর যিনা ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনায় বিয়ে করা ওয়াজিব। আর স্ত্রীর জুলুম করার আশংকা থাকলে তখন বিয়ে করা মাকরুহ।(আল-এখতিয়ার লি তা’লিলিল মুখতার-৩/৮২)

অথবা এভাবেও বলা যায়,
বিবাহের সামর্থ রয়েছে, আর্থিক শারিরিক উভয় রকম সামর্থ্য রয়েছে,এবং যিনা ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে,তাহলে এমতাবস্থায় বিয়ে ওয়াজিব। বিবাহের সামর্থ্য রয়েছে,তবে যিনা-ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা নাই এমতাবস্থায় বিয়ে করা সুন্নত। এবং স্ত্রীর হক আদায় না করার আশংকা থাকলে তখন বিয়ে করা মাকরুহ।

বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/2276

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কোনো প্রকারের সিদ্ধান্তে না এসে বিষয়টিকে এভাবে ঝুলন্ত অবস্থায় রাখা ঠিক হবেনা।

প্রশ্নের বিবরন মতে যেহেতু আপনি চেষ্টা করলে আশা করা যায় আগামী 6 মাস এর মাঝে জব পেয়ে যাবেন,সেই হিসাবে পরামর্শ থাকবে, পারিবারিক ভাবে এখনই বিবাহের প্রস্তাব দেয়ার। দেখা দেখি হওয়ার পর উভয় পরিবারের সম্মতি থাকলে বিবাহ পড়িয়ে রাখবেন। প্রয়োজনে মেয়ের বাবার সম্মতিতে মেয়েকে জব পাওয়ার পর উঠিয়ে নিয়ে আসবেন।
আর এখন আপনার বাবা মা উঠিয়ে নিয়ে আসতে চাইলে সেটিও করতে পারেন।

★এমতাবস্থায় যদি জব পাওয়া ছাড়া মেয়েটির পরিবার যদি মেয়েটিকে কোনো ভাবেই আপনার সাথে বিবাহ না দেয়,সেক্ষেত্রে পাত্রী দেখার পর উভয়ের পছন্দ হলে বিবাহে রাজী বলে কনফার্ম করে রাখবেন।
যাতে পাত্রীর অন্যত্রে আর বিবাহ নিয়ে তারা না আগায়।

এরপর জব পেলে কথা মোতাবেক দ্রুত বিবাহ করে নিবেন।

★এ ছুরতের উপরেও যদি পাত্রী পক্ষ রাজী না হয়,সেক্ষেত্রে আপনি তাদেরকে তাদের মতের উপর ছেড়ে দিবেন।
মেয়েটিকে নিয়ে চিন্তা মাথা থেকে সম্পূর্ণ ঝেড়ে ফেলবেন।
নিজ লেখাপড়ায় মনোযোগ দিবেন।

জব পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাবেন।
জব পেলে সেই মেয়েটির বিবাহ না হলে তাকে বিবাহ করতে পারেন,আর বিবাহ হয়ে গেলে অন্য মেয়েকে বিবাহ করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...