আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
141 views
in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (40 points)
edited by

আসসালামু আ'লাইকুম উস্তায,

 

আমি হঠাৎ জানতে পারলাম যে, আমার উপর যাকাত ফরজ। কারণ আমার সাড়ে ৭ ভরি কম সোনার সাথে ১ টা রুপার নুপুর আছে। কিন্তু এখন নুপুরটি খোঁজে পাচ্ছি না (অল্প এক টুকরা পেয়েছি)। আমার মনে আছে নুপুরটি আমি ২০২৩ সালে দেখেছিলাম। কিন্তু ২০২৪ এ দেখেছি কিনা মনে নাই। সাধ্য অনুযায়ী অনেক খোঁজেও পাইনি। নুপুরটা ছেড়া ছিল তাই এত যত্ন করে রাখা হয়নি।

 

প্রশ্ন: ১. নুপুর কখনো মাপা হয়নি। তাই নুপুরটি কত তোলার তা জানা নেই। এক্ষেত্রে কত তোলা ধরে যাকাত দিবো? 

 

২. ৭ ভরির মত সোনা, অল্প নুপুর এক্ষেত্রে কিভাবে হিসাব করে যাকাত আদায় করবো?

 

৩. ৯ বছরের কাযা যাকাত দিবো, এক্ষেত্রে কিভাবে হিসাব করবো সোনা + রুপার? 

 

৪. নুপুরটি যদি ঘরের কোনো চিপায় লুকিয়ে থাকে কিন্তু আমি তা জানি না, তাহলে কি আমার উপর প্রতি বছর যাকাত আসবে? সোনার সাথে যুক্ত হয়ে। 

 

৫. আমি যদি জিলহজ্জ্ব মাস আসার আগে সব যাকাত আদায় করে ফেলি, তাহলেও কি আমার উপর কুরবানি ওয়াজিব হবে? আর যদি কুরবানি ওয়াজিব হয়, এক্ষেত্রে অনলাইনে কোন নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানকে যদি টাকা দিয়ে দেই, আর তারা আমার পক্ষে থেকে কুরবানি দিয়ে দেন তাহলে কি আমার কুরবানি আদায় হবে? আমার কুরবানি দেওয়ার বিষয়টি আমার পরিবার মানবেন না। কারণ আমি অবিবাহিত ও ছাত্রী। তাই লুকিয়ে কুরবানি দিতে চাচ্ছি।

 

৬. যেহেতু বিগত কয়েক বছর আমার উপর যাকাত ফরজ ছিল সেহেতু কুরবানীও ওয়াজিব ছিল। এক্ষেত্রে কুরবানীরও কি কাযা আদায় করতে হবে? আদায় করতে হলে যত বছরের যাকাত দিবো তত বছরের কুরবানিও দিবো, বিষয়টি কি এইরকম উস্তায?

 

জাযাকুমুল্লাহু খাইরান। 

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
সোনা, রূপা,টাকা,এবং ব্যবসায়িক মালে যাকাত আসে, যদি তা নেসাব পরিমাণ হয়।
স্বর্ণের নেসাবঃ৭.৫ ভড়ি।
রূপার নেসাবঃ৫২.৫ ভড়ি।
এখানে একটি বিষয় লক্ষণীয় যে, কারো কাছে শুধুমাত্র স্বর্ণ বা শুধুমাত্র রূপা থাকলে সেটার নেসাব পূর্ণ হলেই যাকাত আসবে, অন্যথায় যাকাত আসবে না। তবে হ্যাঁ, যদি কারো নিকট স্বর্ণ এবং রূপা অথবা টাকা এভাবে থাকে যে, কোনোটিরই নেসাব পূর্ণ হয়নি, তাহলে এক্ষেত্রে রূপার নেসাবকেই মানদন্ড ধরে নেয়া হবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- 121

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) যেই দিন থেকে হারিয়ে গেছে বলে আপনি নিশ্চিত হবেন, সেই দিন থেকে উক্ত নুপুরের যাকাত দিতে হবে না। তবে এর পূর্বের দিন সমূহের (স্বর্ণের সাথে মিলিয়ে নুপুরের) যাকাত আপনাকে দিতে হবে। পরবর্তীতে যদি পাওয়া যায়, তাহলে তখন পূর্বের সকল বৎসরের যাকাত আপনাকে দিতে হবে যদি সব মিলিয়ে নেসাব পরিমাণ মাল থাবে। 
 
(২) ৭ ভরির মত সোনা, অল্প নুপুর, এক্ষেত্রে সবকিছুর বিক্রয় মূল্যর উপর যাকাত আসবে।বর্তমান বাজারমূল্যই গ্রহণযোগ্য। 
 
(৩) স্বর্ণ রূপার বিক্রয় মূল্যর ২.৫% যাকাত প্রতি বৎসর দিবেন। যদি এই স্বর্ণ রূপা ব্যতিত আর কোনো টাকা পয়সা আপনার নিকট না থাকে, এবং এগুলো বিক্রয় করে আপনি যাকাত দিয়ে থাকেন, তাহলে ঐগুলি বিক্রি করে করে যাকাত দেয়ার পর যখন আর নেসাব পরিমাণ মাল থাকবে না, তখন আর যাকাত ফরয হবে না।
لما في بدائع الصنائع:
"إذا كان لرجل مائتا درهم أو عشرون مثقال ذهب فلم يؤد زكوته سنتين يزكي السنة الأولى و كذا هكذا في مال التجارة و كذا في السوائم". (بدائع الصنائع، كتاب الزكوة ۲/ ۷ ط: سعيد) فقط والله أعلم

(৪) নুপুরটি যদি ঘরের কোনো কোনায় লুকিয়ে থাকে, তাহলে আপাতত ঐ নুপুরের যাকাত দিতে হবে না। পরবর্তীতে যখন পাবেন, তখন পূর্বের সকল বৎসরের যাকাত আপনাকে দিতে হবে যদি সব মিলিয়ে নেসাব পরিমাণ মাল হয়। 

(৫) আপনি যদি জিলহজ্জ্ব মাস আসার আগে সব  যাকাত আদায় করে ফেলেন, এবং নুপুরও বিক্রি করে দেন বা খুজে না পান, এবং এছাড়া প্রয়োজন অতিরিক্ত কোনো সম্পদ আপনার নিকট না থাকে, তাহলে আপনার উপর কুরবানি ওয়াজিব হবে না। হ্যা, অতীতের বৎসর সমূহের কুরবানি আদায় করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...