জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
وَ لَوۡ شِئۡنَا لَاٰتَیۡنَا کُلَّ نَفۡسٍ ہُدٰىہَا وَ لٰکِنۡ حَقَّ الۡقَوۡلُ مِنِّیۡ لَاَمۡلَـَٔنَّ جَہَنَّمَ مِنَ الۡجِنَّۃِ وَ النَّاسِ اَجۡمَعِیۡنَ ﴿۱۳﴾
আর আমি ইচ্ছে করলে প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার হেদায়াত দিতাম; কিন্তু আমার পক্ষ থেকে এ কথা অবশ্যই সাব্যস্ত যে, আমি নিশ্চয় কতেক জিন ও মানুষের সমন্বয়ে জাহান্নাম পূর্ণ করব।
(সুরা সাজদাহ ১৩)
কাতাদাহ রহঃ বলেন, যদি আল্লাহ চাইতেন তবে তারা সবাই ঈমান আনত। আর যদি আল্লাহ চাইতেন তবে তাদের উপর আসমান থেকে এমন কোন নিদর্শন নাযিল করতেন, যা দেখার পর তারা সবাই সেটার সামনে মাথা নত করে দিত। কিন্তু তিনি জোর করে ঈমানে নিয়ে আসতে চান না। কারণ, তাঁর কাছ থেকে তাদের উপর একটি বাণী সত্য হয়েছে যে, তিনি তাদের দিয়ে জাহান্নাম পূর্ণ করবেন।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
উক্ত আয়াতে আল্লাহ তায়ালা নিজের ক্ষমতা সম্পর্কে বান্দাদেরকে বুঝিয়েছেন যে যদি আল্লাহ চাইতেন তবে দুনিয়ার সমস্ত কাফেররাই ঈমান আনত। এটা আল্লাহ তায়ালার জন্য কোনো ব্যপার নয়।
কিন্তু তিনি জোর করে ঈমানে নিয়ে আসতে চান না।
ঈমানের জন্য বান্দার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা, হক বুঝার ফিকির দরকার,নতুবা এমনিতেই আল্লাহ তায়ালা কাউকে হেদায়াত দেননা।
আর যেহেতু মানব আর জীন দিয়ে জাহান্নাম পূর্ণ করার ওয়াদা আল্লাহ তায়ালার আছে,তাই সেদিক লক্ষ্য করেও দুনিয়ার সমস্ত কাফেরদেরকে ঈমান আনার তওফিক দিবেননা।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তিরা এখনো পূর্ণ হেদায়া প্রাপ্ত হয়নি,তবে তারা যেহেতু মুসলিম,তাই তাদেরকে এভাবে ঢালাওভাবে পথভ্রষ্ট বলারও সুযোগ নেই।
হ্যাঁ দ্বীন হতে বিচ্যুতি রয়েছে।
আস-সাজদাহ এর ১৩ নং আয়াত অনুযায়ী যারা হেদায়েত প্রাপ্ত হয়নি,তারা ভাববে যে আমার নিজের পক্ষ থেকে হেদায়াত এর পথে চলার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নেই,তাই আমি হেদায়াত প্রাপ্ত হইনি।
এখানে আল্লাহ তায়ালাকে দোষারোপ করার সুযোগ নেই।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
وَ الَّذِیۡنَ جَاہَدُوۡا فِیۡنَا لَنَہۡدِیَنَّہُمۡ سُبُلَنَا ؕ وَ اِنَّ اللّٰہَ لَمَعَ الۡمُحۡسِنِیۡنَ ﴿۶۹﴾
আর যারা আমাদের পথে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালায়, আমরা তাদেরকে অবশ্যই আমাদের পথসমূহের হিদায়াত দিব। আর নিশ্চয় আল্লাহ্ মুহসিনদের সঙ্গে আছেন।
(সুরা আনকাবুত ৬৯)