আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
76 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (34 points)

আসসালামু আলাইকুম 

 

সূরা আস-সাজদাহ এর ১৩ নং আয়াতের ব্যাখা কি? 

 

আমি তো অনেক মুসলিমকে দেখি অনেক জিনিস জানে কিন্তু তা মানে না। বালেগ মুসলমানদের মধ্যে এ হার অনেক বেশি। পূর্বে ভাবতাম মুসলিমরা হয়তো জানে না। কিন্তুু পরে দেখি আমার ধারণা ভুল। এখন এরা কি হেদায়েত প্রাপ্ত নাকি পথভ্রষ্ঠ। এখন সূরা আস-সাজদাহ এর ১৩ নং আয়াত অনুযায়ী এ বিষয়টা ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে জানতে চাই? 

 

আর আস-সাজদাহ এর ১৩ নং আয়াত অনুযায়ী যারা হেদায়েত প্রাপ্ত হয়নি, তারা তাইলে ভাবতে পারে যে হেদায়েত প্রাপ্ত হয় নায় তাই তারা জাহান্নামে যাচ্ছে। আমি মানি আল্লাহ ন্যায়বিচারক। এখন এ বিষয়টা ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে জানতে চাই? 


 

জাযাকাল্লাহু খাইরান

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

وَ لَوۡ شِئۡنَا لَاٰتَیۡنَا کُلَّ نَفۡسٍ ہُدٰىہَا وَ لٰکِنۡ حَقَّ الۡقَوۡلُ مِنِّیۡ لَاَمۡلَـَٔنَّ جَہَنَّمَ مِنَ الۡجِنَّۃِ وَ النَّاسِ اَجۡمَعِیۡنَ ﴿۱۳﴾ 

আর আমি ইচ্ছে করলে প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার হেদায়াত দিতাম; কিন্তু আমার পক্ষ থেকে এ কথা অবশ্যই সাব্যস্ত যে, আমি নিশ্চয় কতেক জিন ও মানুষের সমন্বয়ে জাহান্নাম পূর্ণ করব।
(সুরা সাজদাহ ১৩)

কাতাদাহ রহঃ বলেন, যদি আল্লাহ চাইতেন তবে তারা সবাই ঈমান আনত। আর যদি আল্লাহ চাইতেন তবে তাদের উপর আসমান থেকে এমন কোন নিদর্শন নাযিল করতেন, যা দেখার পর তারা সবাই সেটার সামনে মাথা নত করে দিত। কিন্তু তিনি জোর করে ঈমানে নিয়ে আসতে চান না। কারণ, তাঁর কাছ থেকে তাদের উপর একটি বাণী সত্য হয়েছে যে, তিনি তাদের দিয়ে জাহান্নাম পূর্ণ করবেন।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
উক্ত আয়াতে আল্লাহ তায়ালা নিজের ক্ষমতা সম্পর্কে বান্দাদেরকে বুঝিয়েছেন যে যদি আল্লাহ চাইতেন তবে দুনিয়ার সমস্ত কাফেররাই ঈমান আনত। এটা আল্লাহ তায়ালার জন্য কোনো ব্যপার নয়।
কিন্তু তিনি জোর করে ঈমানে নিয়ে আসতে চান না। 

ঈমানের জন্য বান্দার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা, হক বুঝার ফিকির দরকার,নতুবা এমনিতেই আল্লাহ তায়ালা কাউকে হেদায়াত দেননা।

আর যেহেতু মানব আর জীন দিয়ে জাহান্নাম পূর্ণ করার ওয়াদা আল্লাহ তায়ালার আছে,তাই সেদিক লক্ষ্য করেও দুনিয়ার সমস্ত কাফেরদেরকে ঈমান আনার তওফিক দিবেননা।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তিরা এখনো পূর্ণ হেদায়া প্রাপ্ত হয়নি,তবে তারা যেহেতু মুসলিম,তাই তাদেরকে এভাবে ঢালাওভাবে পথভ্রষ্ট বলারও সুযোগ নেই। 

হ্যাঁ দ্বীন হতে বিচ্যুতি রয়েছে।

আস-সাজদাহ এর ১৩ নং আয়াত অনুযায়ী যারা হেদায়েত প্রাপ্ত হয়নি,তারা ভাববে যে আমার নিজের পক্ষ থেকে হেদায়াত এর পথে চলার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নেই,তাই আমি হেদায়াত প্রাপ্ত হইনি।
এখানে আল্লাহ তায়ালাকে দোষারোপ করার সুযোগ নেই।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

وَ الَّذِیۡنَ جَاہَدُوۡا فِیۡنَا لَنَہۡدِیَنَّہُمۡ سُبُلَنَا ؕ وَ اِنَّ اللّٰہَ لَمَعَ الۡمُحۡسِنِیۡنَ ﴿۶۹﴾ 

আর যারা আমাদের পথে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালায়, আমরা তাদেরকে অবশ্যই আমাদের পথসমূহের হিদায়াত দিব। আর নিশ্চয় আল্লাহ্ মুহসিনদের সঙ্গে আছেন।
(সুরা আনকাবুত ৬৯)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...