আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
118 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
reshown by
প্রায় ৩ বছর আগে হঠাত করে কোন কারন ছাড়াই সারাদিন কান্না করতাম, নিজের রুমে ভয় পেতাম, ভয়ংকর সব স্বপ্ন দেখতাম, কেমন শরীরে মনে হত কেউ সুই ফুরে দিচ্ছে, বিভিন্ন জাগায় ব্যাথা করত।
পরে রুকাইয়া করি প্রায় ১.৫ বছর এবং সুস্থ হই।
পরবর্তীতে কয়েকমাস ধরে কিছু কারনে বাসায় তাবিজ সহ বিভিন্ন জিনিস বাসায় আসে আর সেটা ঘরে ঢুকলে আমি না জানলেও আমার শরীরে আগের মতন শুরু হয়, বিভিন্ন জায়গায় ব্যাথা করে মনে হয় সুই ফুরে দিচ্ছে কেউ, বাসায় থাকতেও ভয় লাগে তখন। আবার বাসা থেকে সব সরিয়ে ফেললে আমি সুস্থ হয়ে যাই। এই কাহিনি বার বার হয়েছে। (আমি অনেক চেষ্টা করেছি কেউ যেন এসব না আনে বাসায় কিন্ত আমি কাউকে থামাতে পারিনি)
এভাবেই চলছিল..  কিন্ত প্রায় ১০/১২ দিন আগে একটা বড় ভুল হয়ে যায়। আমি চেষ্টা করি পূর্ণ পর্দা মেইন্টেন করার, নামাজ পড়ার কিন্ত কিভাবে এই ভুল আমার দ্বারা হয়েছে আমি জানিনা। জিনিসটা ইচ্ছেকৃতভাবেও না এবং এখানে ব্যাপারটা উপভোগও হয়নি থামিয়ে দেয়া হয়েছে, জেনা করে ফেলেছি।
আল্লাহর কাছে মাফ চাই, আমি অনুতপ্ত। কিন্ত সেদিন ওই ঘটনার পরেই দেখি আমার গালে অনেক আচরের দাগ, এরপর ওইদিন রাতেই ঘটে যাওয়া ব্যাপারগুলো ভয়ংকএ ভাবে স্বপ্নে দেখি, এরপর থেকেই আমার আবার ওভাবে শুরু হয় যে শরীরে বিভিন্ন জায়গায় ব্যাথা মনে হয় সুই ফুরে দিচ্ছে কেউ, গালে গোটা গোটা উঠে যায় । এরপরে বদনজরের গোসল করলে ব্যাপারটা কমে কিন্ত এখন কন্টিনিউয়াসলি ব্যাপাটা হচ্ছে। এমনকি হুট করেই প্রিয়ড হয়েছে সকালে ডেট আরও ৭/৮ দিন পরে। তবে ব্লেডিং হচ্ছে না।

এখানে একটা প্রশ্ন করতে চাই জেনার কারনে জ্বীনের আছর লাগার সম্ভাবনা আছে কিনা এবং যদি হ্যা হয় তবে এর থেকে মুক্তির উপায় কি ?  যেহেতু একটা ভুল হয়ে গেছে এই মুহুর্তে তওবা করার পরে ছেলে মেয়ে উভয়ের এখন কি করা উচিত? ছেলের বাসায় জানে মেয়ে সম্পর্কে কিন্ত স্টুডেন্ট তাই বিয়ের ব্যাপার আগাচ্ছেনা। যদি বিয়ে করা সমাধান হয় তবে পরিবার না জানিয়ে করা যাবে কিনা

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

সকাল-সন্ধ্যায় তিন কুল (সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস)   তিনবার করে পড়ার কথা হাদীসে বর্ণিত হয়ছে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ مُعَاذِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خُبَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ خَرَجْنَا فِي لَيْلَةٍ مَطِيرَةٍ وَظُلْمَةٍ شَدِيدَةٍ نَطْلُبُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي لَنَا – قَالَ – فَأَدْرَكْتُهُ فَقَالَ ” قُلْ ” . فَلَمْ أَقُلْ شَيْئًا ثُمَّ قَالَ ” قُلْ ” . فَلَمْ أَقُلْ شَيْئًا . قَالَ ” قُلْ ” . قُلْتُ مَا أَقُولُ قَالَ ” قُلْ : هوَ اللَّهُ أَحَدٌ وَالْمُعَوِّذَتَيْنِ حِينَ تُمْسِي وَتُصْبِحُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ تَكْفِيكَ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ ”
আবদুল্লাহ ইবন খুবায়ব তাঁর পিতা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ এক বর্ষণমুখর রাতে গভীর অন্ধকারে আমাদের জন্য দু’আ করার উদ্দেশ্যে আমারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তালাশ করতে বের হলাম। এক স্থানে গিয়ে আমি তাঁকে পেলাম।
তখন তিনি বললেনঃ বল।
আমি কিছুই বললাম না।
তিনি আবার বললেনঃ বল।
আমি কিছুই বললাম না। পুনরায় তিনি আমাকে বললেনঃ বল। আমি বললামঃ কি বলব?
তিনি বললেনঃ “সকাল-সন্ধ্যায় কুল হুয়াল্লাহু আহাদ এবং মুআওওয়াযাতায়ন (কুল আউযু বিরাব্বিল ফালাক ও কুল আউযু বিরাব্বিন নাস) তিন বার পাঠ করবে; তবে তা সব কিছুর ক্ষেত্রে তোমার জন্য যথেষ্ট হবে।”
[তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩৫৭৫ [আল মাদানী প্রকাশনী] হাদীসটির সনদ হাসান, তা’লীকুর রাগীব ১/২২৪, আল কালিমুত তাইয়্যিব ১৯/৭]

قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيْدٍ حَدَّثَنَا الْمُفَضَّلُ بْنُ فَضَالَةَ عَنْ عُقَيْلٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا أَوَى إِلَى فِرَاشِهِ كُلَّ لَيْلَةٍ جَمَعَ كَفَّيْهِ ثُمَّ نَفَثَ فِيْهِمَا فَقَرَأَ فِيْهِمَا(قُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ)وَ (قُلْ أَعُوْذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ) وَ (قُلْ أَعُوْذُ بِرَبِّ النَّاسِ) ثُمَّ يَمْسَحُ بِهِمَا مَا اسْتَطَاعَ مِنْ جَسَدِهِ يَبْدَأُ بِهِمَا عَلَى رَأْسِهِ وَوَجْهِهِ وَمَا أَقْبَلَ مِنْ جَسَدِهِ يَفْعَلُ ذَلِكَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ

‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, প্রতি রাতে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিছানায় যাওয়ার প্রাক্কালে সূরাহ ইখ্লাস, সূরাহ ফালাক ও সূরাহ নাস পাঠ করে দু’হাত একত্র করে হাতে ফুঁক দিয়ে যতদূর সম্ভব সমস্ত শরীরে হাত বুলাতেন। মাথা ও মুখ থেকে আরম্ভ করে তাঁর দেহের সম্মুখ ভাগের উপর হাত বুলাতেন এবং তিনবার এরূপ করতেন। 
[বুখারী শরীফ ৫০১৭.৫৭৪৮, ৬৩১৯] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৪৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৪৮)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
যেনার কারনে জ্বীন দ্বারা জ্বালাতন হবেই,এ কথা নিশ্চিত ভাবে বলা যায়না। যেনার সাথে জ্বীন দ্বারা জ্বালাতন হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।

এক্ষেত্রে আপনি ফজর,মাগরিব নামাজের পর এবং রাতে ঘুমানোর আগে তিন কুল তিনবার পাঠ করে দু’হাত একত্র করে হাতে ফুঁক দিয়ে যতদূর সম্ভব সমস্ত শরীরে হাত বুলাবেন। মাথা ও মুখ থেকে আরম্ভ করে দেহের সম্মুখ ভাগের উপর হাত বুলাবেন এবং তিনবার এরূপ করবেন। 

আরো করনীয় জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...