বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
কেউ যদি আল্লাহর কোন একটি আনুগত্য পালন করার মানত করে যেমন- নামায, রোজা তাহলে সে মানত পূর্ণ করা ওয়াজিব। দলিল হচ্ছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী: “যে ব্যক্তি আল্লাহর আনুগত্য করার মানত করেছে তার উচিত সে আনুগত্য পূর্ণ করা। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর অবাধ্য হওয়ার মানত করেছে সে আল্লাহর অবাধ্য হবে না।”[সহিহ বুখারি]
অতএব কোন ব্যক্তি যদি নির্দিষ্ট কিছুদিন রোজা রাখার অথবা দুই রাকাত নামায পড়ার অথবা বিশেষ সম্পদ সদকা করার মানত করে থাকে তার উচিত সে আনুগত্যের কাজ পালন করা। কেননা আল্লাহ তাআলা মুমিনদের প্রশংসা করতে গিয়ে বলেন: “তারা মানত পূর্ণ করে এবং সেদিনকে ভয় করে যেদিনের অনিষ্ট সম্প্রসারিত।”[সূরা আল-ইনসান, আয়াত: ৭] এবং কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পূর্বোক্ত হাদিসে মানত পূর্ণ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মান্নতের রোজার বিবিধ মাসাঈল
• যদি কেউ আল্লাহর নামে রোজা রাখার মান্নত করে তাহলে সেই রোজা রাখা ওয়াজিব হয়ে যায়৷ তবে কোন শর্তের ভিত্তিতে মান্নত করলে, সেই শর্ত পূরণ হওয়ার পূর্বে ওয়াজিব হয় না, শর্ত পূরণ হলেই ওয়াজিব হয়৷
• কোন নির্দিষ্ট দিনে রোজা রাখার মান্নত করলে এবং সেই দিন রোজা রাখলে রাত্রেই নিয়ত করা জরুরি নয়৷ দুপুরের এক ঘন্টা পূর্বে পর্যন্ত নিয়ত করা দূরস্ত আছে৷
• কোন নির্দিষ্ট দিনের রোজা রাখার মান্নত করলে এবং সেই দিন সে রোজা রাখলে মান্নতের রোজার নিয়ত করুক বা শুধু রোজার নিয়ত করুক বা নফল বলে নিয়ত করুক মান্নতের রোজা আদায় হবে৷ তবে কাযা রোজার নিয়ত করলে কাযা আদায় হবে মানতের রোজা আদায় হবে না৷
• কোন দিন তারিখ নির্দিষ্ট করে মান্নত না করলে যে কোনদিন সে মান্নতের রোজা রাখা যায়৷ এরূপ মান্নতের রোজার নিয়ত সুবহে সাদিকের পূর্বেই হওয়ার শর্ত৷
• কোন নির্দিষ্ট দিনে বা নির্দিষ্ট তারিখে বা নির্দিষ্ট মাসে রোজা রাখার মান্নত করলে সে নির্দিষ্ট দিনে বা তারিখে বা মাসে রোজা রাখা জরুরি নয়৷ অন্য যেকোনো সময় রাখলেও চলবে৷
• যদি একমাস রোজার রাখার মান্নত করে তাহলে পুরো একমাস লাগাতার রোজা রাখতে হবে৷
• যদি কয়েক দিন রোজা রাখার মান্নত করে তাহলে একত্রে রাখার নিয়ত না থাকলে সে কয়েকদিন ভেঙে ভেঙে রাখলেও চলবে৷ আর একত্রে রাখার নিয়ত করলে একত্রে রাখতে হবে৷(সংগৃহিত)