আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
79 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (10 points)
السلام عليكم ورحمة الله وبركاته

শায়খ বেশ কয়েকদিনের জামানো প্রশ্ন। মেহেরবানী করে সবগুলোর উত্তর দিবেন।

১.**কেউ একজনের বিয়ে ডিসেম্বর নাগাদ। কনের দ্বীনের বুঝ কম। এখন হবু বর বিদেশ থাকেন। বরের ইচ্ছা এর ভেতর উনি ওমরা করে আসবেন। তো হবু কনে চাচ্ছেন যে বর যেন বিয়ের পর ওমরা করেন, নয়তো বিয়ের সময় যে বরের মাথা মুন্ডন থাকবে উনি তা চাচ্ছেন না। এখন এই কারণ দেখিয়ে যদি উনার তরফ থেকে হবুবরকে পরে ওমরা করতে বলা হয়, এটা তো ঠিক হবে না তাই না! এতে হবু কনের গুনাহ হওয়ার সম্ভাবনা আছে?

২. আবার এই একি প্রেক্ষাপটে যদি কোন হবু কনের তরফ থেকে হবু বরের ওমরাহ করতে নিষেধ করা হয় এই কারণে যে, বিয়ের পর দুজনে একসাথে করার ইচ্ছায়। তো এই ক্ষেত্রে কি হবু কনের গুনাহ হবে?

৩. কোন বাবা-মায়ের যদি হঠাৎ করেই ডিভোর্স হয় এবং ওই বাবা যদি তার সন্তানকে অস্বীকার করে অবৈধ বলে এবং তাকে ত্যাজ্য করে তাহলে কি ওই সন্তান আর বাবার সন্তান হিসেবে বিবেচিত হবে না? ত্যাজ্য করার ক্ষেত্রে মুখের কথায় যথেষ্ট নাকি কাগজে কলমে করতে হয়? কিয়ামতের দিন এই সন্তান কি পিতার পরিচয় পাবে না? সে কি তার বাবার কোন সম্পত্তির ভাগ পাবেনা? ওই সন্তানের কি তার বাবার প্রতি কোন দায়িত্ব থাকে? আর তাজ্য করার পর পুনরায় যদি বাবা হয় সন্তানকে ফিরিয়ে নিতে চায় তাহলে কি ওই সন্তান পালক সন্তান হিসেবে গণ্য হবে? ইসলামের দৃষ্টিতে কি সন্তানকে তাজ্য করা জায়েজ আছে?

৪.***টোলের চাকরি করা জায়েজ আছে? যেমন যমুনা ব্রিজ, পদ্মা ব্রিজ ওখানে যারাই ব্রিজের ওপর দিয়ে যাবে তাঁদের থেকে ফী তোলা হয়, টোল নেয়া হয়। গাড়িওয়ালারা একেক পরিমান টাকা দেন। সেখানকার চাকরিকে টোলের চাকরি বলে। এই চাকরি করা কি জায়েজ আছে? আমি তো জানি যে এটা ট্যাক্স হিসাবে ধরা হয়, আর আমি একটা বইয়ে পড়ছি যে ট্যাক্স আদায় কারী জান্নাতে পৌছাতে পারবে না এটা কি সত্যিই?

খুবই আফওয়ান অনেকগুলো প্রশ্ন একসাথে করতে হলো। দয়া করে উত্তর দিবেন।

1 Answer

0 votes
by (561,180 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
এতে হবু কনের গুনাহ হবেনা।

(০২)
না,এক্ষেত্রেও হবু কনের গুনাহ হবেনা।

(০৩)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

 بَاب الْحَيْفِ فِي الْوَصِيَّةِ حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحِيمِ بْنُ زَيْدٍ الْعَمِّيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ فَرَّ مِنْ مِيرَاثِ وَارِثِهِ قَطَعَ اللَّهُ مِيرَاثَهُ مِنَ الْجَنَّةِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ " . 

আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তার ওয়ারিসকে মীরাস দেয়া থেকে পশ্চাদপসরণ করে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাকে জান্নাতের অংশীদার হওয়া থেকে বঞ্চিত করবেন।
ইবনু মাজাহ, অধ্যায়ঃ ১৬/ ওসিয়াত (كتاب الوصايا)
(ইবনু মাজাহ ২৭০৩, বায়হাকী ফিস সুনান ৬/২৬৪, মিশকাত ৩০৭৮। 

পিতা তার কোনো সন্তানকে ত্যাজ্য করা বা মৃত্যুর সময় অসিয়তের মাধ্যমে উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হারাম এবং কবিরা গুনাহ। শরিয়তের দৃষ্টিতে এটি গ্রহণযোগ্য নয়। কাজেই যাকে ত্যাজ্য ঘোষণা করা হয় কিংবা যাকে তার উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত করার অসিয়ত করা হয়, সে কোনোভাবেই তার উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত হবে না।

সন্তান যেকোনো অপরাধ করুক না কেন কোনো অবস্থাতেই সন্তানকে ত্যাজ্য ছেলে ঘোষণা করা যাবে না। প্রত্যেক সন্তানকে তাদের প্রাপ্য সম্পত্তির ভাগ বুঝিয়ে দিতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো সন্তানকে বাবার সম্পত্তির ভাগ থেকে কোনো অবস্থাতেই বঞ্চিত করা যাবে না।

আমাদের সমাজে ত্যাজ্যপুত্র নামে যে শব্দটি প্রচলিত আছে ইসলামী শরিয়তে এর কোনো ভিত্তি নেই।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
কোন বাবা-মায়ের যদি হঠাৎ করেই ডিভোর্স হয় এবং ওই বাবা যদি তার সন্তানকে অস্বীকার করে অবৈধ বলে এবং তাকে ত্যাজ্য করে,সেক্ষেত্রে ওই সন্তান আর বাবার সন্তান হিসেবেই বিবেচিত থাকবে।

মুখের কথায় হোক বা কাগজে কলমে হোক,শরয়ী দৃষ্টিকোণ হতে কোনোভাবেই সন্তানকে ত্যাজ্য করা যায়না।

বাবা সন্তানকে ত্যাজ্য করলে কিয়ামতের দিন এই সন্তান পিতার পরিচয় পাবে।
সে তার বাবার সম্পত্তির পূর্ণ ভাগ পাবে।

ওই সন্তানের তার বাবার পূর্ণ দায়িত্ব থাকবে।

ত্যাজ্য করার পর পুনরায় যদি বাবা সন্তানকে ফিরিয়ে নিতে চায়, তাহলে ওই সন্তান পালক সন্তান হিসেবে গণ্য হবেনা।
আপন সন্তান হিসেবেই আছে,ছিলো,থাকবে।

ইসলামের দৃষ্টিতে সন্তানকে তাজ্য করা জায়েজ নেই।
করলেও এতে সন্তান ত্যাজ্য হবেনা।

(০৪)
প্রশ্নে উল্লেখিত চাকরি করা জায়েজ আছে।
তবে কোনো ঘুষ নেয়া যাবেনা।
অন্যায় কিছু করা যাবেনা।

বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...