আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
124 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (18 points)

islamipata

Menu

মেয়েকে জীবন্ত কবর দেয়ার ঘটনা

OCTOBER 19, 2015/MDRAZU0155

আইয়ামে জাহিলিয়াতের ইতিহাস খুললে দেখা যায় নারীরা সমাজে অবহেলিত ছিল। সেই সময় নারীদেরকে জিন্দা কবর দেওয়া হতো। সাহাবী দাহিয়াতুল কালবী নিজ হাতে নিজের মেয়েকে জিন্দা কবর দিয়েছেন।
দাহিয়াতুল কালবী মুসলমান হওয়ার পর রাসূলুল্লাহ সা. তাকে বললেন. তুমি মুসলমান হয়েছ। আল্লাহপাক তোমার সব গোনাহ মাফ করে দিয়েছে। সাহাবী দাহিয়াতুল কালবী দুই চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে বলেন, হে রাসূলুল্লাহ সা. সব গোনাহ মাফ হতে পারে কিন্ত একটি গোন্হা আমার মাফ হবে না। রাসূলুল্লাহ সা. বলেন,তুমি, কী মারাত্ম্ক পাপ করেছ?
এবার সাহাবী দাহিয়াতুল কালবী রোদন করে কাঁদতেছেন ঝর্ণার মত গাল বেয়ে বেয়ে পানি পড়ে যাচ্ছে। চোখের পানিগুলি ছেড়ে দিয়ে এতিমের মত কাঁদেন আর বলেন, হে আল্লাহর রসূলুল্লাহ সা.আমি যখন সফরে যাই তখন আমার স্ত্রী গর্ভবতী ছিল। আমি যাওয়ার সময় বলে গেলাম যদি আমার মেয়ে সন্তান হয় তাকে জিন্দা কবর দিয়ে দিবে। কিন্তু আমার স্ত্রী সন্তানের মায়ার তাকে বড় করে তোলেন। আমি সফর থেকে চার বৎসর পর বাড়ি এসে দেখি একটি মেয়ে আমাকে আব্বু আব্বু বলে ডাকছে। আমি স্ত্রী কে জিজ্ঞেস করলাম। কে এই মেয়ে? স্ত্রী ভয়ে ভয়ে জবাব দেয় এই মেয়ে তোমার মেয়ে। আমি স্ত্রীকে ধমক দিতে লাগলাম, কেন এই মেয়েকে ছোট কালে জিন্দা কবর দেয়নি। সে বলে স্বামী তুমি নজর করে দেখ তোমাকে আল্লাহতা’আলা যেমন সুন্দর করে বানিয়েছে। তোমার মেয়েকে আল্লাহপাক তোমার মত সুন্দর করে বানিয়েছে। সেই জন্য আমি তার নাম রেখেছি জামিলা। এত সুন্দর মেয়েকে আমি কেমন করে জিন্দা কবর দেব। রাতে যখন বিছানায় ঘুমাতে গেলাম ।বিছানায় মেয়েটা আমাকে আব্বু বলে একবার আামার দিকে ফিরে, আম্মু বলে তার মায়ের দিকে ফিরে। জমিলার উপর আমার মায়া হল। আমি চিন্তা করতে লাগলাম এত সুন্দর মেয়ে। কি করে আমি জিন্দা কবর দিব। কিন্তু পরক্ষণে মনে জাগল সমাজে আমি বন্ধু – বান্ধবদের কে কি জবাব দিব। তারা তো আমাকে উপহাস করবে। আহা কি ঘৃণার কথা মেয়ের বাপ হয়েছি। তখন মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলাম আগামীকাল সকালে আমি পাহাড়ের কিনারে গর্ত করে মেয়েকে জিন্দা কবর দিব।
সকালে উঠে স্ত্রীকে বললাম, জামিলাকে গোসল করিয়ে কিছু খাওয়ায়ে দাও। জমিলাকে নিয়ে বেড়াতে যাব। আমার স্ত্রী মেয়েকে গোসল করায়ে নতুন জমা পরিয়ে দেয় এবং জনমের মত দুই লোকমা খানা তার মুখে দিয়ে দেয়। আমি মেয়েটাকে নিয়ে রওয়ানা হলাম।
হে রাসূলুল্লাহ সা. আমি বহু দুরে পাহাড়ের পাশে গিয়ে গর্ত করতে লাগলাম। গর্ত করার সময় মাটির ছোট ছোট টুকরা আমার দাড়ির উপরে এসে লেগে যায়। আমার জমিলা আমার পাশে দাঁড়াইয়া নিজের হাতে দাড়িগুলি সাফ করে আর বারবার বলে, বাবা এটা কিসের গর্ত? এই গর্ত কার জন্য করছ? আমি জামিলা কে বললাম তুমি দুরে গিয়ে খেলা কর। আমি মনে মনে বললাম, কিছুক্ষণ পরে তুমি বুঝতে পারবা এটা কিসের গর্ত।
গর্ত যখন হয়ে গেল আমি ডাকলাম ‘জামিলা দেখে যায় গর্তের ভিতরে কি যেন দেখা যায়। মেয়েটি আমাকে আব্বু আব্বু বলে দুর থেকে দৌড়ে গর্তের পাশে এসে বলে,- আব্বু কৈ? গর্তের ভিতর কিছু দেখা যায় না ।
হে রাসূলুল্লাহ সা. আমি নিষ্ঠুর পিতা। আমি কত বড় নির্দয় পিতা। আমার যে একুট মায়া লাগল না। আমি পিছন দিক দিয়ে জামিলা কে ধাক্কা মেরে গর্তের ভিতরে ফেলে দিলাম।
গর্তের চারি দিকের পাথর ও মাটি যখন চাপা দিতে থাকি। জামিলা আমার দিকে নজর করে বলে আমি বারবার মায়ের কাছে বলতাম, মা আমার আব্বা কবে আসবে। আমি সব সময় তোমাকে এক নজর দেখার জন্য এবং একবার তোমাকে বাবা বলে ডাকার জন্য অস্থির থাকতাম। বাবা তুমি এই ভাবে আমাকে মেরে ফেল না। মা শুনলে সহৃ করতে পারবে না। আমাকে ছেড়ে দাও কোন দিন আর আমি তোমাকে বাবা বলে ডাকব না। কোন দিন তোমাকে আমার চেহারা দেখাব না। আমাকে প্রাণে মেরো না। জামিলা গর্ত থেকে হাত দুটো উচু করে কত চিৎকার মেরে কাঁদল আর বলল বাবা তোমার মত নিষ্ঠুর পিতা এই দুনিয়াতে নাই। আমি কোন কথা না শুনে মাটি চাঁপা দিয়ে চলে আসি।
হে আল্লাহর রাসূল, আল্লাহ সব গোনাহ মাফ করলেও এই গোনাহ মাফ করবেন না। আজও আমি প্রতি রাতে জামিলার সেই ডাক বাবা আমকে বাঁচাও বলে সেই চিৎকারের আওয়াজ শুনতে পাই। তখন রাসূলুল্লাহ সা. বললেন, ওহে দাহিয়াতুল কালবী শোন তুমি যেই দিন এই অন্যায় পাপ কাজকরেছ তখন তুমি কাফের ছিলে। তুমি না বুঝে এ পাপ কাজ করেছ। আজ যখন তুমি মুসলমান হয়েছ, কালেমা পড়েছ, আমার সাহাবী হয়েছে, ইসলামের সুশীতল ছায়ার নিচে আশ্রয় নিয়েছ, আল্লাহ বাব্বুল আলামিন এত বড় অন্যায় পাপ কাজ তোমাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। যেহেতু তুমি পড়েছে। “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ ।
কুরআনে আল্লাহ পাক বলেছেন, “যা কিছু আসমান ও যমীনে রয়েছে সবই আল্লাহর । তিনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করবেন, যাকে ইচ্ছা আযাব দান করবেন। আর আল্লাহ হচ্ছেন, ক্ষমাকারী করুণাময়”। ( আল ইমরান ১২৯)

উপরের ঘটনা কি সঠিক?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

মিথ্যা হাদীস বর্ণনা করা কোনোভাবেই জায়েজ নেই।       
রাসূল সাঃ এর নামে মিথ্যা কথা বলার ব্যাপারে কঠোর হুশিয়ারী এসেছে হাদীসে। 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «مَنْ كَذَبَ عَلَيَّ مُتَعَمِّدًا، فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ»

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি ইচ্ছেকৃত আমার উপর মিথ্যারোপ করবে, সে যেন তার ঠিকানা জাহান্নামে বানিয়ে নিল।
 {মুসনাদুল হুমায়দী, হাদীস নং-১২০০, মুসনাদে ইবনুল জিদ, হাদীস নং-১৪৮০, মুসনাদে দারেমী, হাদীস নং-৬১৩, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৩}

عَنِ المُغِيرَةِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِنَّ كَذِبًا عَلَيَّ لَيْسَ كَكَذِبٍ عَلَى أَحَدٍ، مَنْ كَذَبَ عَلَيَّ مُتَعَمِّدًا، فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ»

হযরত মুগীরা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল ইরশাদ করেছেন, আমার উপর মিথ্যারোপ করা অন্য কারো উপর মিথ্যারোপ করার মত নয়। যে ব্যক্তি ইচ্ছেকৃত আমার উপর মিথ্যারোপ করবে, সে যেন তার ঠিকানা জাহান্নামে বানিয়ে নিল। 
{সহীহ বুখারী, হাদীস নং-১২৯১, ১২২৯, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৪, মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-১২৭৬}
 
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
অনেক খোজাখুজির পরেও কোনো নির্ভরযোগ্য সনদে উক্ত ঘটনা পাইনি।
যদি কোনো কিতাবের সুত্রে উক্ত ঘটনা জাহিলিয়াতের যুগে হওয়ার প্রমানও পাওয়া যায়,তবুও ইসলামের পূর্বের ঘটনা হওয়ার ভিত্তিতে সেটা উল্লেখ করার প্রয়োজনীয়তা নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (18 points)
অন্য এক দারুল ইফতায় প্রশ্ন করা হয়েছিল। তারা বলেছে ঘটনা সহীহ কিন্তু সাহাবীর নাম উল্লেখ নেই।
নিচে সূত্র দেয়া হলো
(আলওয়াফী বিলওয়াফায়াত ২৪/২১৫, কায়েস ইবনে আছেম ইবনে সিনান ইবনে খালেদ-এর জীবনী দ্রষ্টব্য
by (565,890 points)

سوال

حضرت دحیہ کلبی کا اپنی بیٹی کو زندہ درگور کرنے کا واقعہ کتاب" تنبیہات  اسلام"  سلسلہ نمبر  272 میں واقع ہے،  کیا یہ غلط ہے؟

جواب

ہمیں کافی تلاش کے باوجود ایسا واقعہ  کسی مستند ماخذ میں نہیں  مل  سکا۔  اگر کسی کے حوالے سے ایسا واقعہ جاہلیت کے دور میں ثابت بھی ہو تو اسلام سے پہلے کا واقعہ ہونے کی بنا پر اس کے ذکر کی ضرورت نہیں ہے۔

نیز آپ نے جس کتاب کا حوالہ دیا ہے، اس کے مصنف کا نام اور  کتاب کا صفحہ نمبر بھی درج کریں، اور  یہ بھی واضح کریں اس کتاب  میں اس واقعے کو مستند کہا گیا ہے  یا غیرمستند؟ وضاحت  ہونے کے بعد ہی اس پر کوئی تبصرہ کیا جاسکتا ہے۔ فقط واللہ اعلم


فتوی نمبر : 144206201351

دارالافتاء : جامعہ علوم اسلامیہ علامہ محمد یوسف بنوری ٹاؤن

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...