ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওষুধ কোম্পানি তাদের ওষুধের নাম লেখার জন্য ডাক্তারদের যে দামি-দামি জিনিস পত্র, নগদ অর্থ ইত্যাদি দেওয়া হয় তাও শরিয়ত সম্মত নয়। কারণ এটিও শরিয়তের দৃষ্টিতে বিনিময়হীন উৎকোচের শামিল। কেননা রোগির জন্য কোন গ্রুপের এবং কোন কোম্পানীর ওষুধ সর্বাধিক কার্যকরী তা লিখে দেয়া একজন চিকিৎসকের পেশাগত দায়িত্ব। অবশ্য বিভিন্ন ছোটখাট স্টেশনারি সামগ্রী নেয়া যেতে পারে।
যেমন : কলম, প্যাড ইত্যাদি। এগুলোতে ঔষধ কোম্পানির ট্রেডমার্ক এবং উৎপাদিত পণ্যের ট্রেড ন্যাম ছাপানো থাকে। মূলত এগুলো কোম্পানির বিজ্ঞাপনের কাজ দেয়। তাছাড়া পণ্যগুলো এজন্যে নয় যে, সেগুলো বিক্রি করে অনেক টাকা উপার্জন করা যাবে। তাই এসব বিবেচনায় স্টেশনারি সামগ্রী গ্রহণ করা বৈধ।
সূত্র : বাস্তব জীবনে হারামের অনুপ্রবেশ,আল্লামা তাকি উসমানি দাঃবাঃ লিখিত । এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
13447
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১+২+৩+৪)
ডাক্তারদের যেসব স্যাম্পল ওষুধ দেয়া হয়, সেগুলো যদি পরিমাণে কম হয়, এবং এগুলো যদি ডাক্তারদের অন্তরে স্বজনপ্রীতি তৈরী না করে, তাহলে এগুলো নিজে ব্যবহার করার অনুমোদন থাকবে। নিজের প্রয়োজন না থাকলে বিক্রি করাও জায়েয হবে। তবে যদি ডাক্তারদের অন্তরে স্বজনপ্রীতি তৈরী করার সমূহ সম্ভাবনা থাকে, তাহলে এগুলো গ্রহণ করা বা বিক্রি করা কোনোটাই জায়েয হবে না।
(৫) হারাম উপার্জনকারী যদি সালাত হিজাব গিফট করে; সেটা পরিধান করে সালাত আদায় করা মাকরুহ হবে।
(৬) হারাম উপার্জনকারী টাকা উপহার হিসেবে দিলে সে টাকা দিয়ে নিজের প্রয়োনীয় কিছু কিনে ব্যবহার করা জায়েয হবে না।সে টাকা ফিরিয়ে দিতে হবে বা সদকাহ করতে হবে।
(৭) হারাম উপার্জনকারী জামা কাপড় দিলে সেটা পরিধান করা জায়েয হবে না। সালাত আদায় করলে সেই সালাত সালাত আদায় মাকরুহ হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
1900
(৮) প্রিজাইডিং অফিসার , সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারদেরকে যেই টাকা দেয়া হয়, সেটা হালাল হবে যদি তারা অন্যায় কোনো কাজ না করে।
(৯) সমস্ত চুল ঢেকে যায় এমন পোষাক পরিধান করে নামায পড়তে হবে।