আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
113 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (116 points)
১.আমার আত্মীয়স্বজন(মায়ের সাইডের), খালামণিরা বিশেষ করে আমাদের অনেক কথা শোনায়। অনেক মিথ্যা অপবাদ দেন।নিজেদের বুঝে যেটা আসে সেটাই উনারা ধরে নেন।বুঝিয়ে বল্লেও বুঝতে চান না।আমার বাবা নেই।যার কারণে বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে আমাদেরকে আরো কথা শোনান।খালি দোষ ধরেন।আমার আম্মু অন্যান্য বোনদের থেকে বড় তাও আমার আম্মুকে উনারা সম্মান করেন না।অনেক কটু কথা শোনায় দেয়।হ্যাঁ কখনো কখনো উনাদের বলা ঠিক হয়,যুক্তি থাকে। কিন্তু মায়ের নামে কেউ কিছু বললে সহ্য করার মতো অবস্থা থাকেনা।সেই থেকে মাথা গরম হয়ে তাদের চিল্লায় দি।

আজকেও নানা কথা শোনায়ছে খালারা।মিথ্যা অপবাদ ও দিছে।যতই বুঝাই তাও আমাদের দোষ ই ধরেন।এই অবস্থায় অন্যজনকে তাদের ব্যাপারে বুঝাতে গিয়ে হয়তো মনে গিবতের নিয়ত চলে আসছিল,আসলে মানুষকে বুঝাতেও হয় নাহয় সবাই আমাদের প্রতি খারাপ ধারণা করে ফেলে।অলরেডি সবাই আমাদের খারাপ ভাবে।কারণ খালা আমাদের নিয়ে নানা অপবাদ ছড়ায়ছে।কিন্তু অন্যদের বুঝাতে গেলে আমার মনে খেয়াল আসে যে আমি গীবত করছি। এছাড়া অন্যদের দোষ ও শুনি।এইক্ষেত্রে আমার কি গীবতের গুনাহ হবে?এছাড়া তাদের প্রতি আমাদের কি রকম আচরণ করা উচিত?তারা প্রতিনিয়ত আমাদের দোষ ধরতেই থাকে,আমরা গায়ে পড়ে না বাজলেও তারা গায়ে পড়ে বাজতে আসে।আর চুপ থাকলে আরো বেশি করে এই অবস্থায় আমার বড় বোন তাদের আঘাত দিয়ে বা তাদের দোষ দেখায় কথা বলে।এরপর তারা কিছু সময়ের জন্য শান্ত হয়।আমার বড় বোনকে গজব ও দেয়।


২.আমার সাথে এক আপুর অনেককিছুই মিলে যায়।এক্সেক্ট সেম টু সেম না।কিন্তু এমন অনেককিছু আমাদের আছে যা মিল থাকে।তাহলে দুইজনের তাকদির কি একই হতে পারে?বা আমি কি এইটা ভেবে নিব আমার সাথে যা হবে উনার সাথেও তা হবে/উনার সাথে যা হবে আমার সাথেও তা হবে?

1 Answer

0 votes
by (583,050 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মুল্লা আলী কারী রাহ লিখেন,
وَأَجْمَعَ الْعُلَمَاءُ عَلَى أَنَّ مَنْ خَافَ مِنْ مُكَالَمَةِ أَحَدٍ وَصِلَتِهِ مَا يُفْسِدُ عَلَيْهِ دِينَهُ أَوْ يُدْخِلَ مَضَرَّةً فِي دُنْيَاهُ يَجُوزُ لَهُ مُجَانَبَتُهُ وَبُعْدُهُ، وَرَبَّ صَرْمٍ جَمِيلٍ خَيْرٌ مِنْ مُخَالَطَةٍ تُؤْذِيهِ.
উলামাগণ একমত যে, কারো সাথে কথা বললে বা মিলিত হলে যদি তার দ্বীন নষ্ট হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা বা তার দুনিয়া তার জন্য কষ্টকর হবে বলে ধারণা হয়, তাহলে এমন মানুষ থেকে দূরে থাকার জায়েয রয়েছে।অনেক সম্পর্ক বর্জন বা দূরত্ব এমন রয়েছে যা মিলিত হওয়ার চেয়ে অনেক উত্তম।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- 61503 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) প্রথমে আপনার ঐ আত্মীয়দেরকে হেকমতের সাথে বুঝানোর চেষ্টা করবেন। যদি তাদেনকে বুঝানো সম্ভব না হয়, তাহলে তাদের থেকে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখবেন।
(২) এগুলো আল্লাহর হুকুমেই হয়ে থাকে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...