আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
166 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
edited by
আসসালামুয়ালাইকুম আমি পয়েন্ট করে প্রশ্ন লিখে দিচ্ছি আমাকে পয়েন্ট রে উত্তর দিয়ে জানাবেন হুজুর আমার কোন কথায় কোনো সমস্যা হয়েছে কি না।

১)আমার স্ত্রীর সাথে আমার একবার প্রচন্ড ঝগড়া হয়েছিল। আমি আলসামি করে অনেক সময় নামাজ আদায় করতামনা কিন্তু আল্লাহকে মন থেকে ঠিকই ভয় করতাম আমার মনের মধ্যে ইসলাম এর প্রতি ঠিকই শ্রদ্ধা ছিলো। ওই ঝগড়ার সময় তার প্রতি এমনিতেই অনেক রাগ ছিল তারমধ্যে সে বললো তোমাকে শয়তান ধরছে তুমি শয়তান হয়ে গেছ ঠিকমতো নামাজ পড়ো তার প্রতি খুব রাগ ছিল মাথা খারাপ ছিল আর দ্বীনের তেমন জ্ঞান ছিল না তখন তার এই কথা শুনে আমি বলেছিলাম হ্যা আমি শয়তান পড়বোনা নামাজ তুমি পড়। সে বললো এসব কথা মুখে আসে কিভাবে আমি বলেছিলাম তোমার ঈমান ঠিক রাখ আমারটা নিয়ে চিন্তা করতে হবে না তুমি একাই ঈমানদার আমি ঈমানদার না আমি মুসলিম হলে না ঈমান থাকত। তখন সে বললো তুমি কি কাফির নাকি আমি বলেছিলাম হ্যা আমি কাফির আমি জানোয়ার পশু আর তুমি ভালো মানুষ। সে বললো এসব পারেনা বলিওনা আমি রাগে বলেছিলাম আমার জন্য পারে বলবোই। সে তখন বললো আল্লাহকে কি মানোনা ডর ভয় কি নাই। এই উত্তরটা কি বলে ফেলেছিলাম এটা ঠিক মনে পড়ছেনা মনে হচ্ছে তর্কে তর্কে খুব রাগে না বলে ফেলেছিলাম। মনে মনে প্রচন্ড ভয় পেলাম এসব কি বলছি ভয়ে মাফ চেয়েছি মনে মনে।
২) তারপর অনেক রাগে বলেছিলাম আমার জবাব আমি দেব জাহান্নামে আমি যাব তুমি বেশি কথা বলবেনা আর যদি আমার সাথে আর ঝগড়া করো কসম করলাম আমি যদি তোমাকে কিছু না করি তাহলে আমি মুসলিম এর ঘরের না মুসলমানের এর ঘরের থাকবোনা। কথা গুলো তার প্রতি খুব বেশি মাত্রাতিরিক্ত রাগে বলেছিলাম আমি মুখে এসব রাগে বলে ফেললেও অন্তর থেকে আল্লাহকেই মানি আর ভয় করি ভয়ে বার বার মনে মনে তখন মাফ চেয়েছি এগুলো শর্ত ও করিনি আমি শুধু রাগে বলেছিলাম।

৩)পরেরবার ঝগড়া ও হয়েছিল। আর ওই সময় পারিবারিক এবং বিভিন্ন সমস্যায় এক তালাক হয়েছিল। তখন এত কষ্ট পেয়েছিলাম আর তালাকের ভয় পেয়েছিলাম আমি আল্লাহর কাছে ও একা বসে দোয়া করে কান্না রে বলেছিলাম আল্লাহ আমি কসম করলাম আমি আর কখনো তালাকের কোনো শব্দ বা চিন্তা ও মনের মধ্যে আনবোনা আনলে আমাকে উঠিয়ে নিও বললে আর যেন মুসলিমই থাকিনা আমাকে মুসলিম আর রেখোনা। এই কথা গুলো ভয়ে কান্না করে বলেছিলাম অনেক বেশি ভয়ে ছিলাম তখন আমি আর কান্না করে বলেছিলাম। ভয়ে আবার বিয়ে করেছিলাম ওকে। এই বিয়ের পর তালাকের মজলিশে কিছু কেনায়া শব্দ বলেছিলাম নিয়ত ছিলো না। এখনো এক সাথেই আছি। প্রায় পাচমাস হয়ে গেছে আমি এখন ঈমান ভঙ্গের ব্যাপারে জানতে পেরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি আমার কথা গুলোতে কি ঈমান চলে গিয়েছিল আমি এসব মন থেকে বলিনি তার প্রতি রাগে আর অন্যদিন ভয়ে বলেছিলাম। আমার বৈবাহিক সম্পর্ক কি ভেঙে গেছে। পুনরায় বিয়ের আগে আমি কালিমা পড়েছি কি না আমার মনে নেই কারণ আমি জানতাম না এসব। আমার মনে হচ্ছে আমি পড়িনি তাহলে কি বিয়ে হয়নি

আমি খুব ভয়ে আছি আমি এগুলো মন থেকে বলিনি রাগে আর ভয়ে বলে ফেলেছিলাম। কিন্তু অন্তরে আল্লাহর প্রতি ভয় ঠিকই ছিল আর রব হিসেবে আমি আল্লাহকেই মানি। আমি অতিরিক্ত রাগে হয়ত ইচ্ছে করে বলেছি কিন্তু অজ্ঞ ছিলাম মাথা কাজ করছিলনা এগুলো জানতাম না বুঝতাম না। আমি ভয়ে পেরেশান হয়ে কান্না করছি। আমার সমস্ত ঘটনা পড়ে আমাকে বুঝিয়ে দয়া করে বলুন হুজুর আমার বৈবাহিক সম্পর্ক কি পরে ঠিক আছে হুজুর। আমি এই বিয়ের আগে কালিমা পড়েছি কি না মনে নেই। আমার বেশি মনে হচ্ছে পড়িনি, আর পড়ে থাকলেও হয়তো এমনি এমনি কখনো পড়েছি কিন্তু এসব ভেবে পড়িনি। আমার মনে পড়ছেনা মনে হচ্ছে পড়িনি। আমি মন থেকে ঠিক থাকলে আমার ঈমান যায়নি তো আমার কোনো কথায়। দয়া করে আমাকে তাড়াতাড়ি জানাবেন হুজুর। সবকিছু পড়ে শুধু উত্তর গুলো বুঝিয়ে বলার অনুরোধ করছি আমি পেরেশান হয়ে গেছি চিন্তায়।      কিছু লিখা বাদ পড়ে গেছিল তাই এডিট করে আবার লিখে দিয়েছি। আমি খুব ভয় আর চিন্তায় আছি আমাকে সাহায্য করুন হুজুর।
by (4 points)
আসসালামুয়ালাইকুম হুজুর আমাকে যদি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উত্তর দিতেন আমার অনেক উপকার হতো হুজুর।

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

আলহামদুলিল্লাহ!

(১)

আপনার স্ত্রী আপনাকে জিজ্ঞাসা করেছিলো, "তুমি কাফির না কি?" আপনি বলেছিলেন, "হ্যা আমি কাফির, আমি জানোয়ার, পশু, আর তুমি ভালো মানুষ।" 

অতপর আপনার স্ত্রী বলেছিলো, "আল্লাহকে কি মানোনা? ডর ভয় কি নাই?" এই প্রশ্নের উত্তরে তর্কে তর্কে খুব রাগে না বলেছিলেন বলেই বেশী সন্দেহ, সুতরাং আপনার এইসব কথা দ্বারা আপনার ঈমান চলে যাবে। আপনাকে আবার ঈমান নবায়ন করতে হবে। বিবাহকে দোহড়িয়ে নিতে হবে।


(২) 

আপনার বক্তব্য,

" আমার জবাব আমি দেব জাহান্নামে, আমি যাব তুমি বেশি কথা বলবে না" এদ্বারা ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।


আপনার বক্তব্য,

"আর যদি আমার সাথে আর ঝগড়া করো কসম করলাম আমি যদি তোমাকে কিছু না করি, তাহলে আমি মুসলিম এর ঘরের না মুসলমানের এর ঘরের থাকবোনা। "

এদ্বারা আপনার উপর কসমের কাফফারা চলে আসবে।

(৩)

প্রশ্নের বিবরণমতে আপনার এক তালাক হয়েছে। সুতরাং এখন আপনারা সংসার করতে পারবেন। সংসার করতে কোনো বিধিনিষেধ নাই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (4 points)
হুজুর এইগুলা আমাদের মধ্যে হয়েছে কোনো ওয়াসওয়াসা নয়। যা হয়েছে সবকিছু আমি লিখেছি। ওয়াসওয়াসা বলে এড়িয়ে দিবেন না হাত জোড় করছি। আমার উত্তর জানাটা গুরুত্বপূর্ণ হুজুর। বিশ্বাস করুন এগুলো ওয়াসওয়াসা নয়। প্লীজ আমাকে উত্তর দিন।
by (589,140 points)
 আপনার এই প্রশ্নগুলো ওয়াসওয়াসা জনিত প্রশ্ন। শেষবারের মত জবাব দিলাম।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...