আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
40 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
edited by
আসসালামুয়ালাইকুম। আমি খুব বেশি খারাপ অবস্থায় রয়েছি হুজুরদের কাছে মিনতি করছি আমাকে দুইটি সমস্যার সমাধান করে দিন না হলে আমি পাগল হয়ে যাব হয়তো। আমি পয়েন্ট অনুযায়ী লিখে দিচ্ছি।
১) আমি বেখেয়ালি একজন মানুষ। বিয়ের পর থেকে বউয়ের প্রতি তেমন যত্ম নিতাম যেভাবে ইচ্ছা সেভাবেই চলতাম। আমার স্ত্রী আমার এরকম চলা মেনে নিতে পারতোনা। সবসময় আমাদের মধ্যে ঝগড়া লেগে থাকত। আমি এভাবে চললেও কখনো আমার স্ত্রীকে ছেড়ে দেওয়ার চিন্তা কখনো করিনি। একদিন আমাদের মধ্যে অনেক ঝগড়া লেগে যায় আমার স্ত্রী তার মা বাবার কাছে সব বলে। সে আমার কাছে বার বার ডিভোর্স চাইতেছিল আমি অনেক হুমকি ধামকি দিতাম এসব যাতে না বলে। কিন্তু সে এরকম চলতে চলতে আমার উপর অতিষ্ট হয়ে উঠেছিল। সবসময় শুধু ডিভোর্স চাইতে থাকে। আমি একদিন তাকে মেসেজ এ জিজ্ঞেস করলাম সত্যি কি ডিভোর্স চাও সে বললো হ্যা। বার বার বলতেছিল ডিভোর্স দাও আমি তখন তাকে এভাবে বলেছিলাম মেসেজটা এভাবে ছিল আচ্ছা ডিভোর্সই ভালা
আমি আমার পরিবারের সাথে কথা বলি। এভাবে পর পর মেসেজগুলো ছিল। বিশ্বাস করুন হুজুর খোদার কসম করে বলছি আমি স্পষ্ট করে ওই শব্দটা ওই মুহূর্তে দেওয়ার উদ্দেশ্যে বলিনি। আমি বুঝাতে চেয়েছি দিবোনে মনে চিন্তা ছিল তাড়াহুড়ো করে কোনো সিদ্ধান্ত নেবনা দেখা যাক কি হয় পরে দেব। কসম করে বলছি। কথাটা ওইভাবে বলে শুধু শর্ট করে বুঝাতে চেয়েছিলাম। যেরকম মিথ্যা স্বীকারোক্তি দিলে দিয়ানাতান তালাক হবেনা আপনারা শাখা প্রশাখা বিস্তারিত বলেছেন সেরকম ওই কথায় তখন না দিয়ে, দিয়ে দেবনে পরে এরকম বুঝাতে চেয়েছি। হয়তো এটা কাযাআন তালাক হয়ে গেছে কিন্তু দিয়ানাতান এটা কোনো তালাক হবে কি না আমাকে দয়া করে জানান হুজুর আল্লাহ তো আমার ভেতরে কি ছিলো দেখেছেন। আমি একবিন্দু পরিমাণ মিথ্যা বলছিনা মুহতারাম আল্লাহ জানেন। আমি চিন্তায় পাগল হয়ে যাচ্ছি।
২) হুজুর আমরা জেনারেল লাইনে পড়াশোনা করেছি। ইসলামের নিয়ম কানুন সমন্ধে গভীর জ্ঞান ছিলোনা। তখন মনে করতাম তালাক বললেও কিছু হয়না। অনেক আগেও প্রায় একবছর এর কাছাকাছি হবে আরেকবার ঝগড়া হয়েছিল তখনও তালাক চাইতেছিল আমি আমার স্ত্রীকে ওই মূহুর্তে তালাক শব্দ বলেছিলাম কি না মনে করতে পারছিনা। মাঝে মাঝে খুব বেশি মনে হয় আমি তখন বলেছিলাম আবার নিজের মধ্যে প্রশ্ন জাগে সত্যি কি তখন বলেছিলাম ক্লিয়ার হতে পারিনা। আমার স্ত্রীর ও মনে নেই সন্দেহে পড়ে যায় সে ও এই বিষয়ে অজ্ঞাত ছিলো। এখন কি করব হুজুর যদি বলেও থাকি এরকম দুটানার কারনে কি কোনো তালাক হবে। হুজুর যদি এই চিন্তা মন থেকে সড়িয়ে ফেলি এতে কি গুনাহ হবে।
আমি মিনতি করছি আমাকে দ্রুত সমাধান দিন হুজুর। আমার বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। এত বেশি চিন্তা হচ্ছে কারো সাথে ভালো আচরণ করতে পারছিনা।

1 Answer

0 votes
by (686,640 points)
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...