ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
فَإِذَا قَضَيْتُمُ الصَّلَاةَ فَاذْكُرُوا اللَّهَ قِيَامًا وَقُعُودًا وَعَلَىٰ جُنُوبِكُمْ ۚ فَإِذَا اطْمَأْنَنتُمْ فَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ ۚ إِنَّ الصَّلَاةَ كَانَتْ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ كِتَابًا مَّوْقُوتًا
অতঃপর যখন তোমরা নামায সম্পন্ন কর, তখন দন্ডায়মান, উপবিষ্ট ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ কর। অতঃপর যখন বিপদমুক্ত হয়ে যাও, তখন নামায ঠিক করে পড়। নিশ্চয় নামায মুসলমানদের উপর ফরয নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে।(সূরা নিসা-১০৩)
عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، قال: سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الرَّجُلِ يَرْقُدُ عَنِ الصَّلَاةِ أَوْ يَغْفُلُ عَنْهَا، قَالَ: كَفَّارَتُهَا أَنْ يُصَلِّيَهَا إِذَا ذَكَرَهَا
আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর কাছে ঐ ব্যক্তি সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করা হল যে, সালাত আদায় না করে ঘুমিয়ে যায় বা সালাত ভুলে যায়। তিনি (সা.) বললেন, এর কাফফারাহ্ হল যখনই মনে হবে তখনই তা আদায় করে নিবে। ল(সহীহ: বুখারী ৫৯৭ মুসলিম ৬৮৪, ইবনু মাজাহ ৬৯৫, সহীহ ইবনু খুযায়মাহ ৯৯১।)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ফরজরের ওয়াক্তের পর ঘুম ভাঙলে যখনই ঘুম ভাঙবে অথবা ভুলে যাওয়ার পর যখনই স্বরণে আসবে, সাথে সাথেই নামাযকে কাযা করে নিতে হবে। নিয়মিতভাবে নামায কাযা করার অভ্যাস করা যাবে না। নিয়মিতভাবে কাযা করার আদত বানানো যাবে না। ফজরের নামায পড়ার আপ,আপ্রাণ চেষ্টা করার পর যদি কখনো ঘুম থেকে উঠা না যায়, তাহলে তখন গোনাহ হবে না। তবে নিয়মিত করলে অবশ্যই গোনাহ হবে।
(২)
আযান ও ইক্বামতের মাঝখানে হাত তুলে দোয়া করা বিদ'আত।