বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হাদিসের ছাত্র হিসেবে সনদ, মতন ইত্যাদি শব্দসমূহের অর্থ জানা জরুরি। তাই একটি উদাহরণ দ্বারা প্রত্যেকটি শব্দের অর্থ ও ব্যবহার স্পষ্ট করছি, যেন পাঠকবর্গ সহজে বুঝতে পারেন।
قال الإمام البخاري –رحمه الله- حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَوْلَا أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي أَوْ عَلَى النَّاسِ لَأَمَرْتُهُمْ بِالسِّوَاكِ مَعَ كُلِّ صَلَاةٍ»
এ হাদিস ইমাম বুখারি বর্ণনা করেছেন। এখানে দেখছি বুখারির (১৯৪-২৫৬হি.) উস্তাদ আব্দুল্লাহ ইব্ন ইউসুফ (২১৮হি.), তার উস্তাদ মালিক (৮৯-১৭৯হি.), তার উস্তাদ আবুয যিনাদ (৬৫-১৩১হি.), তার উস্তাদ আ‘রাজ (১১৭হি.), তার উস্তাদ আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু (৫৭হি.) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যদি আমার উম্মতের উপর কষ্ট না হত, অথবা [বলেছেন] মানুষের উপর, তাহলে আমি অবশ্যই তাদেরকে প্রত্যেক সালাতের সাথে মিসওয়াকের নির্দেশ দিতাম”।
সনদ ও মতন: হাদিসের দু’টি প্রধান অংশ: একটি সনদ, অপরটি মতন। এ হাদিসে ইমাম বুখারির উস্তাদ আব্দুল্লাহ ইব্ন ইউসুফ থেকে আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু পর্যন্ত অংশকে سَنَد ‘সনদ’ বলা হয়। নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে হাদিসের অবশিষ্ট অংশকে مَتْن ‘মতন’ বলা হয়। হাদিসের মতন ও সনদ একটির সাথে অপরটি ওতপ্রোত জড়িত। সনদ ব্যতীত মতন হয় না, মতন থাকলে অবশ্যই তার সনদ আছে। তবে একটি ‘সহি’ হলে অপরটি ‘সহি’ হওয়া জরুরি নয়। কখনো সনদ সহি হয়, কারণ সহির সকল শর্ত তাতে বিদ্যমান, যেমন সনদ মুত্তাসিল, রাবিগণ আদিল ও দ্বাবিত, তবে মতন শায বা ‘ইল্লতের কারণে সহি নয়। কখনো মতন সহি হয়, তবে রাবির দুর্বলতা বা ইনকিতা‘ (বর্ণনাপরম্পরা কাটা পড়া) এর কারণে সনদ সহি হয় না। সনদ ও মতন উভয় সহি হলে হাদিস সহি। এরূপ হাদিস সম্পর্কে আমরা দৃঢ়ভাবে বলব: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন। গ্রন্থকারের উস্তাদকে সনদের শুরু এবং সাহাবিকে সনদের শেষ বলা হয়।(সংগৃহিত)
আপনার বর্ণনাকৃত বোখারীর রেওয়াত যাচাইবাচাই করে আপনাকে ২৪ঘন্টার ভিতর জানাচ্ছি