নামাজে যদি হাসে,তাহলে এক্ষেত্রে তিন ছুরত।
যদি শুধু দাঁত খুলে,হাসির আওয়াজ একেবারেই না হয়,তাহলে নামাজও ভেঙ্গে যাবেনা।
অযুও ভেঙ্গে যাবেনা।
তবে এটি মাকরুহ।
(আলমগীরী ১/১২.আদ্দুররুল মুখতার ১/১৪৫)
,
আর যদি এতটুকু আওয়াজ হয় যে নিজে শুনতে পারে,অথবা একেবারে কাছের মানুষ শুনতে পারে,তাহলে শুধু নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
,
আর যদি এত জোড়ে হাসে,যে অন্যান্য লোকেরা অথবা মজলিসের লোকেরা শুনতে পারে,তাহলে নামাজ এবং অযু উভয়টাই ভেঙ্গে যাবে।
(আলমগীরী ১/১২.আদ্দুররুল মুখতার ১/১৪৫)
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا بِهِ مُحَمَّدُ بْنُ مَخْلَدٍ ، نَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْعَتِيقُ ، حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ الْمُحَبَّرِ ، نَا أَيُّوبُ بْنُ خُوطٍ ، عَنْ قَتَادَةَ ، عَنْ أَنَسٍ ، قَالَ : " كَانَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - يُصَلِّي بِنَا ، فَجَاءَ رَجُلٌ ضَرِيرُ الْبَصَرِ ، فَوَطِئَ فِي خَبَالٍ مِنَ الْأَرْضِ ، فَصُرِعَ ، فَضَحِكَ بَعْضُ الْقَوْمِ ، فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - مَنْ ضَحِكَ أَنْ يُعِيدَ الْوُضُوءَ وَالصَّلَاةَ
মুহাম্মাদ ইবনে মাখলাদ (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে নিয়ে নামায পড়ছিলেন। তখন এক অন্ধ ব্যক্তি এসে পিচ্ছিল মাটিতে হোঁচট খেয়ে পড়ে গেল। তাতে কতক লোক হেসে দিলো (নামাযরত অবস্থায়)। যারা হেসেছিল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে পুনরায় উযু করে নামায পড়ার নির্দেশ দিলেন।
(সুনানে দারা কুতনি ৫৮০
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে
(وَمِنْهَا الْقَهْقَهَةُ) وَحَدُّ الْقَهْقَهَةِ أَنْ يَكُونَ مَسْمُوعًا لَهُ وَلِجِيرَانِهِ وَالضَّحِكُ أَنْ يَكُونَ مَسْمُوعًا لَهُ وَلَا يَكُونُ مَسْمُوعًا لِجِيرَانِهِ وَالتَّبَسُّمُ أَنْ لَا يَكُونَ مَسْمُوعًا لَهُ وَلَا لِجِيرَانِهِ. كَذَا فِي الذَّخِيرَةِ الْقَهْقَهَةُ فِي كُلِّ صَلَاةٍ فِيهَا رُكُوعٌ وَسُجُودٌ تَنْقُضُ الصَّلَاةَ وَالْوُضُوءَ عِنْدَنَا. كَذَا فِي الْمُحِيطِ سَوَاءٌ كَانَتْ عَمْدًا أَوْ نِسْيَانًا كَذَا فِي الْخُلَاصَةِ.
وَلَا تَنْقُضُ الطَّهَارَةَ خَارِجَ الصَّلَاةِ وَالضَّحِكُ يُبْطِلُ الصَّلَاةَ وَلَا يُبْطِلُ الطَّهَارَةَ وَالتَّبَسُّمُ لَا يُبْطِلُ الصَّلَاةَ وَلَا الطَّهَارَةَ،
হাসি তিন প্রকার। প্রত্যেকটির সংজ্ঞা নিম্নরূপ। যথা-
(১)ক্বাহ্ক্বাহাঃ যা সে নিজেও শুনবে এবং তার প্রতিবেশীগণ ও শুনবে।
(২)দ্বিহকঃযা সে নিজে শুনবে,তবে তার প্রতিবেশীগণ শুনবে না।
(৩)তাবাস্সুমঃযা সে নিজেও শুনবে না এবং প্রতিবেশীরা ও শুনবে না।(যাখিরাহ)
আমাদের মাযহাবমতে প্রত্যেক রুকু-সেজদা বিশিষ্ট নামাযে ক্বাহ্ক্বাহা নামায এবং অজু উভয়টিকে নষ্ট করে দেয়।(মুহিত) চায় ইচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় হোক(খুলাসাহ)তবে নামাযের বাহিরে হলে অজু নষ্ট হবে না।আর দ্বিহক নামাযকে নষ্ট করে দিলেও অজুকে নষ্ট করবে না।আর তাবাস্সুম নামায এবং অজু কিছুকেই নষ্ট করবে না।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া;১/১২)
বিস্তারিত জানুনঃ