আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
826 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (50 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ

'সাল্লাল্লাহু' নাকি 'সল্লাল্লাহু'? সঠিক উচ্চারণ কোনটি?

আরবিতে ص এর সঠিক উচ্চারণ 'ছ' হয়। কিন্তু صلى الله عليه وسلم পড়ার সময় তো আমরা 'সাল্লাল্লাহু' পড়ি। এটা কি শুদ্ধ হয়?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
'সাল্লাল্লাহু' সঠিক।যদিও ছ দিয়ে উচ্ছারণ হওয়ার কথা ছিলো,তবে যেহেতু স দিয়ে প্রসিদ্ধ হয়ে গেছে।তাই স দিয়ে বললেও ভূল হবে না।


সর্বোত্তম দুরুদ হল দুরুদে ইবরাহিমী।
যা আমরা নামাযের শেষ বৈঠকে পড়ি।

(১)
কা'ব ইবনে উজরা রাযি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাঃ কে দুরুদ শরীফ পড়ার পদ্ধতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করি, যখন.....
وَعَنْ أَبِي مُحَمَّدٍ كَعْبِ بن عُجْرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: خَرَجَ عَلَيْنَا النَّبِيُّ، فَقُلْنَا: يَا رَسُولَ اللهِ قَدْ عَلِمْنَا كَيْفَ نُسَلِّمُ عَلَيْكَ، فَكَيْفَ نُصَلِّي عَلَيْكَ ؟ قَالَ: «قُولُوا: اَللهم صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ، وعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى آلِ إبْرَاهِيمَ، إنَّكَ حَمِيدٌ مَجيدٌ . اَللهم بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ، وعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا بَارَكْتَ عَلَى آلِ إبْرَاهِيمَ، إنَّكَ حَمِيدٌ مَجْيدٌ» . متفقٌ عَلَيْهِ

........নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (একদা) আমাদের নিকট এলেন। আমরা বললাম, ‘হে আল্লাহর রসূল! আঁপনার প্রতি কিভাবে সালাম পেশ করতে হয় তা জেনেছি, কিন্তু আঁপনার প্রতি দরূদ কিভাবে পাঠাব?’ তিনি বললেন, “তোমরা বলোঃ- ‘আল্লা-হুম্মা স্বাল্লি আলা মুহাম্মাদিঁউ অআলা আ-লি মুহাম্মদ, কামা স্বাল্লাইতা আলা আ-লি ইবরা-হীম। ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ। আল্লা-হুম্মা বা-রিক আলা মুহাম্মাদিঁউ অআলা আ-লি মুহাম্মদ, কামা বা-রাকতা আলা আ-লি ইবরা-হীম। ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ।’
সহীহ বুখারী-৫৯৯৬,মুসলিম-৪০৬,তিরমিযী-৪৮,
নাসায়ী,১২৮৭-১২৮৯,আবূ দাউদ ৯৭৬,ইবনু মাজাহ ৯০৪,আহমাদ-১৭৬৩৮,১৭৬৩১, ১৭৬৬৭,দারেমী-১৩৪২


(২)
হযরত তোফায়েল ইবন উবাই ইবন কা‘ব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত।তিনি বলেন,আমি জিজ্ঞেস করলাম,হে আল্লাহর রাসূল! আমি আঁপনার প্রতি অধিকহারে দরূদ পড়তে চাই, অতএব আমার দু‘আর মধ্যে আঁপনার দরূদের জন্য কতটুকু অংশ রাখব? তিঁনি বললেন : তুমি যতটুকু চাও।কা‘ব (রা:) বলেন, আমি বললাম,এক চতুর্থাংশ? তিঁনি বললেন : তুমি যতটুকু চাও। তবে যদি তুমি বেশি পড় তা তোমার জন্য উত্তম হবে। আমি বললাম,অর্ধেক? তিঁনি বললেন : তুমি যতটুকু চাও। তবে তুমি যদি বেশি পড় তা তোমার জন্য উত্তম হবে। কা‘ব (রা:) বলেন, আমি বললাম, তাহলে দুই তৃতীয়াংশ? তিঁনি বললেন : তুমি যতটুকু চাও। তবে তুমি যদি বেশি পড় তা তোমার জন্য উত্তম হবে। আমি বললাম, আমার দু‘আর পুরোটা জুড়েই শুধু আঁপনার দরূদ রাখব। তিঁনি বললেন : তাহলে তা তোমার ঝামেলা ও প্রয়োজনের জন্য যথেষ্ট হবে এবং তোমার গুনাহ ক্ষমা করা হবে।
[তিরমিযী : ২৬৪৫ ও হাকেম : ৭৬৭৭]


(৩)
আবূ মাসঊদ বদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত,
وَعَنْ أَبي مَسعُودٍ البَدرِي رضي الله عنه، قَالَ: أَتَانَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم، وَنَحنُ في مَجْلِسِ سَعدِ بن عُبَادَةَ رضي الله عنه، فَقَالَ لَهُ بَشْيرُ بْنُ سَعدٍ رضي الله عنه : أَمَرَنَا الله تَعَالَى أَنْ نُصَلِّيَ عَلَيْكَ يَا رَسُولَ اللهِ، فَكَيْفَ نُصَلِّي عَلَيْكَ ؟ فَسَكَتَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم، حَتَّى تَمَنَّيْنَا أَنَّهُ لَمْ يَسْأَلْهُ، ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم : «قُولُوا: اَللهم صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ، وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى آلِ إبْرَاهِيمَ، وَبَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا بَارَكْت عَلَى آلِ إبْرَاهِيمَ، إنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ، وَالسَّلاَمُ كَمَا قَدْ عَلِمْتُمْ» . رواه مسلم

তিনি বলেন, আমরা সায়াদ ইবনে উবাদা রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর মজলিসে উপবিষ্ট ছিলাম। এমন সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের কাছে এলে। বাশীর ইবনে সা‘আদ তাঁকে বললেন, ‘হে আল্লাহর রসূল! মহান আল্লাহ আমাদেরকে আপনার প্রতি দরূদ পড়তে আদেশ করেছেন, কিন্তু কিভাবে আপনার উপর দরূদ পড়ব?’ আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিরুত্তর থাকলেন। পরিশেষে আমরা আশা করলাম, যদি (বাশীর) তাঁকে প্রশ্ন না করতেন (তো ভাল হত)। ক্ষণেক পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “তোমরা বলো, ‘আল্লা-হুম্মা স্বাল্লি আলা মুহাম্মাদিঁউ অআলা আ-লি মুহাম্মদ, কামা স্বাল্লাইতা আলা আ-লি ইবরা-হীম। অবা-রিক আলা মুহাম্মাদিঁউ অআলা আ-লি মুহাম্মদ, কামা বা-রাকতা আলা আ-লি ইবরা-হীম। ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ।’
আর সালাম কেমন, তা তো তোমরা জেনেছ।”
সহীহ মুসলিম-৪০৫,তিরমিযী-৩২২০,নাসায়ী ১২৮৫,১২৮৬,আবূ দাউদ ৯৭৯,আহমাদ ১৬৬১৯,১৬৬২৪, ২১৮৪৭,মুওয়াত্তা মালিক-৩৯৮
দারেমী ১৩৪।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
জ্বী, আমি বলতে চাচ্ছিলাম যে, উচ্চারণে 'স' হবে নাকি 'সা' হবে? স্বোয়াদ যবর এর উচ্চারণ তো আমরা 'স' পড়ি তবে এখানে 'সা' বলি কেন?

'ছ' আর 'স' এর মাঝে পার্থক্য না করে আ-কার হবে কিনা সেটা জানতে চাচ্ছিলাম।
by (590,550 points)
সা হবে।সাল্লাল্লাহু হবে।
by (10 points)
যখন আমরা আরবি হরফ "সোয়াদ" উচ্চারণ করি তখন তো সোয়াদ জবর স উচ্চারণ করি। এভাবেই তো শিখানো হয়। 
তাহলে রাসূলের প্রতি দরূদ পাঠের সময় 'স' না বলে 'সা' বলতে হবে কেন? যদি পরিষ্কার করে বুঝিয়ে দিতেন তবে উপকৃত হতাম। 
by (590,550 points)
সোয়াদ যবর সা হবে।স কে বলেছে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 364 views
...