আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
92 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (5 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ্।
গত ডিসেম্বরে অর্ধেক দ্বীন থেকে আমি একটা সিভিতে প্রস্তাব পাঠাই। তো পাত্র পক্ষ পছন্দ করে কিন্তু প্রশ্ন উত্তর হয়, ২ পক্ষে সম্মতিতে উনারা ২১ ফেব্রুয়ারী আমাকে দেখতে আসে এবং বলে যে পছন্দ হয়েছে।  বাসায় গিয়ে পরামর্শ করে ফাইনাল জানাবে কিন্তু অনেক দিন হয় জানাইনি।  তারপর আমি প্রায় ৯/১০ দিন পরে নক দেই( এর মাঝে আমার ভাইয়াও কল দিয়েছে) এবং পাত্র জানাই যে তাদের পরিবারে পরামর্শ হয়েছে আমার ভাইয়ার সাথে কথা বলবে তারপর ফাইনালি আমাকে আরও কিন্তু প্রশ্ন করবে। এরপর আমার ভাইয়াকে ফোন করে বলে যে তারা যেহেতু বাড়িতে থাকে না( ২০১৪ সাল থেকে ঢাকায় থাকে) তো বাড়ি ঘর ঠিক করবে আর্থিক সমস্যায় আছে ২ মাস সময় লাগবে। তারপর রমজানের ঈদের পর আমার ভাইয়ারা দেখতে যায়। তারপরের দিন ছেলের পরিবার থেকে আবার আমাকে দেখতে আসে।এবং পছন্দ করে। পরে সমস্যা হয় মোহরানা নিয়ে।  ছেলে ১৫- ৩০ হাজার মোহরানা দিতে চাই, সেটাতে আমার পরিবার রাজি হয় না।  পরে ছেলে আলেমদের সাথে পরামর্শ করে।  ছেলের পরিবার নিম্নমধ্যবিত্ত আমরা মধ্যবৃত্ত আমাদের অবস্থা তাদের চেয়ে অনেকটাই ভালো আলহামদুলিল্লাহ। ছেলের চাচা ফাতেমী মোহরে রাজি হতে চাই নি( পরিবারের তার চাচার কিছু অবদান আছে তাই তিনি এব্যাাপরে কথা বলেছে এবং একটু বাড়াবাড়ি ই করেছে) কিন্তু ছেলে বলেছে সে ফাতেমী মোহরে রাজি আছে কিন্তু আদায় দিবে খুবই কম ১৫-৩০ হাজার। আর বাকিটা পরে আস্তে আস্তে দিবে।
আর বিয়েতে একটা নাকফুল ছাড়া আর কিছু দিবে না।
এখন আমি এবং আমার ভাইয়ারা ( আমার বাবা নেই) খুবই কনফিউশনে আছি যে কি ডিসিশন নিবো।
পাত্রে ব্যাপারে কিছু কথা=
* পাত্র সৎ আছে ইনশাআল্লাহ, সে পরিবারে সব সমস্যা আমার পরিবারের কাছে খুলে বলছে কিছু লুকাই নাই।
* ছেলের ইলম কম এটা শিকার করেছে, ইলম অর্জনের ইচ্ছে আছে,  আলেমদের সাথে সম্পর্ক রাখে তাদের সাথে মাশোয়ারা করে আলহামদুলিল্লাহ।
* পরিবারের সেই বড় ছেলে,  সব দায়িত্ব তার, একটা বোন আছে তাকে বিয়ে দিতে হবে এবং সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা ঋণ আছে পরশোধ করতে হবে তাকেই।
* ১০ কাঠার মতো জমি আছে তাও বন্ধক দেয়া।গ্রামে থাকার মতো একটা ঘর আছে টিনসেট।
* ছেলের বাড়ি টাঙ্গাইল  গ্রামের অনেক ভেতরে।কিন্তু ছেলে বলেছে স্ত্রী কে ঢাকাতেই রাখবে
* ছেলের বাবাও চাকরি ছেড়ে দিবে।

আমার পরিবার যে বিষয়ে  কনফিউশানে আছে তা হলো
১) ছেলের পরিবারের সাথে আমার পরিবারের আর্থিক কুফু মিলে না।আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ আমার বাবাকে আল্লাহঅনেক সম্পদ দিছেন, এবং আমাদের বাড়ি শেরপুর জেলার  শহরের।
২) ছেলের বাহ্যিক দেখেও আমার পরিবার পছন্দ করে না, ছেলে হাইট কম( ৫'৪" + ওজন কম(৪৮)। আর্থিকও এতো ক্রাইসিস, ঋনের বুঝা, পারিবারিক সাপোর্টও নাই কিভাবে ঢাকায় থেকে, এতো টাকা ঋণ পরিশোধ করে সংসার সামলাবে?মাত্র ৩০ হাজার টাকা সেলারি পায়, এটা দিয়েই ৫ জনের সংসার চালাতে হবে।  আগামী ১-১.৫ বছরে বেতন বাড়ার সম্ভবনা নেই, ওয়াল্লাহু আলাম।
৩) আমার পরিবার তেমন প্র্যাকটিসিং না।  দ্বীনের ব্যাপারে  আমার সাথে চিন্তাধারা না মিললে বিয়ের ক্ষেত্রে কোথাও আগাইতে পারবো না, এখানে ছেলের সাথে আমার দ্বীনের চিন্তাধারা মিলেছে।  যদিও সে পরিবারের বড় ছেলে হওয়াতে সাংসারিক ব্যাপারে বেশি সিরিয়াস এবং আমাকে বেশিরভাগ প্রশ্ন এই ব্যাপারেই করেছে।  আমি তিন ভাইয়ের ছোট একটা বোন।  ভাইয়ারা ভয় পাচ্ছে এতো আর্থিক ক্রাইসিসের মধ্যে বোনকে কিভাবে দিবে!বিয়েতে মোহরও কম দিবে, খরচও কিছুই করবে না ( আল্লাহ জানে কৃপনতার জন্য এমন করছে নাকি ক্রাই সিসর জন্য,  ছেলে পরিবারে তো মোটামুটি সামর্থ্য আছে তাদের বড় ছেলের বউকে কিছু হলেও দেওয়ার মতো, আল্লাহ মালুম)
আবার সৎ  দ্বীনের বুঝ ওয়ালা ছেলে পাওয়াও কঠিন।
৪) দুই পরিবারের কেউই কোন ফাইনাল ডিসিশন নিচ্ছে না, শুধু এটা ওটার জন্য টাইম নিচ্ছে।  ছেলে পক্ষ বেশিই সময় নিচ্ছে সব কিছুতে।  ছেলের পরিবার একটা বিষয় কথা হলে পরবর্তীতে সেটার ডিসিশন জানাইতে অনেকদিন সময় নেই ৩,৭,১০ দিন এমন।
১ নং আর ২ নং নিয়ে বেশি সমস্যায় আছি আমার পরিবারের সবাই।অর্থাৎ কুফু আর আর্থিক ক্রাইসিস, ঋণ।আমি এতো আর্থিক ক্রাইসিসের মধ্যে বড় হয়নি,  পরিবারের ছোট হাওয়ায় এরকম কোন প্রেশারও মাথায় নিতে হয়নি। কি করবো আমি এখন??
##)গত বছর ডিসেম্বর থেকে কথা হচ্ছে কিন্তু এখনো কোন ডিসিশন হচ্ছে না,  এই অবস্থায় কি আমি অন্য কোথাও প্রস্তাব পাঠাতে পারবো?
সার্বিক দিক বিবেচনা করে আমাকে পরামর্শ দিন উস্তায ইনশাআল্লাহ।  পরামর্শ দেওয়ার জন্য আরও কোন তথ্য জানার থাকলে বলবেন ইনশাআল্লাহ আমি পাঠাবো। আল্লাহ কল্যানকর ফায়সালা করুন আমিন।

লিখা টা অনেক বড় হওয়ার জন্য ক্ষমা চাচ্ছি।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যখন কারো সামনে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এসে উপস্থিত হবে।এবং সে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না যে, সে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিবে।তাহলে এমন পরিস্থিতে তার জন্য উচিৎ ইস্তেখারা করা তথা ভালো দিক কে অন্বেষণ করা।অবশ্যই ইস্তেখারা, নামাযের মাধ্যমেই করবে। ইস্তেখারার পদ্ধতি সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাঃ এক হাদীসে বলেন, দুই রা'কাত নামায পড়ে বিশেষ মনোযোগের সাথে (নিম্নে উল্লেখিত) দু'আ পড়বে।তাহলে হয়তো তার মন কোনো এক দিকে ধাবিত হবে,বা সে স্বপ্নযোগে কোনো এক ইশারা পাবে। 
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1472

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি ইস্তেখারা করে মা ভাইদের সাথে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। যেকোনো বিপদাপদ আপনার ভাইরা-ই যোহেতু আপনার পাশে দাড়াবে, তাই আপনি ভাইদের সাথে পরামর্শ করেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...