আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
178 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (18 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু।

১. "হাঁচি জান্নাত থেকে আসে, হাই উঠা জাহান্নাম থেকে আসে।" কথাটা কতটুকু সত্যি?

২. হাঁচি দিলে "আলহামদু লিল্লাহ" এবং হাই উঠলে "আস্তাগফিরুল্লাহ" বলি কেন?

৩. কোনো নবজাতকের জন্মের পর মায়ের সাথে লেগে থাকা যে নাড়ি/নাভির অংশ কেটে ফেলা হয়, সেই অংশটা অনেকেই নামকরা কোনো স্কুল/কলেজ/ভার্সিটির মাঠে পুঁতে দেয়। কেউ কেউ মনে করে এতে করে আল্লাহ চাইলে সেই বাচ্চাটি ঐ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়তে পারবে। এমন কাজ করা কি উচিত?

৪. পশ্চিম দিকে অর্থাৎ কেবলার দিকে থুথু ফেলা কি গুনাহ। কারো যদি বাথরুমে পানি যাওয়ার স্থানটা প্রায় পশ্চিম দিকেই হয়, সে সেদিকে থুথু ফেললে তার কি গুনাহ হবে? কেউ রাস্তায় কোনো দিক না জেনেই থুথু ফেললে তার কি গুনাহ হবে?

৫. কেউ নিজের নামকে গোপন রেখে দাওয়াহর নিয়তে ফেসবুক খুলেছিল। পরিচিত কারো সাথে এড ছিল না। কিছুদিন ফেসবুক চালিয়ে সে একাউন্ট ডিএক্টিভ করে দেয়। এরপর তার কোনো বন্ধু যদি তাকে জিজ্ঞেস করে, তার ফেসবুক আছে কিনা, সে যদি উত্তর "না" বলে। তাহলে কি সেটা মিথ্যা কথা হবে? তার আইডি ডিএক্টিভ ছিল তখন।

জাযাকাল্লাহু খইর।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
"হাঁচি জান্নাত থেকে আসে, হাই উঠা জাহান্নাম থেকে আসে।" কথাটা সত্য নয়।

(২)
২. হাঁচি দিলে "আলহামদু লিল্লাহ" এবং হাই উঠলে "আস্তাগফিরুল্লাহ" 
এটা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত

(৩)
কোনো নবজাতকের জন্মের পর মায়ের সাথে লেগে থাকা যে নাড়ি/নাভির অংশ কেটে ফেলা হয়, সেই অংশটা অনেকেই নামকরা কোনো স্কুল/কলেজ/ভার্সিটির মাঠে পুঁতে দেয়। কেউ কেউ মনে করে এতে করে আল্লাহ চাইলে সেই বাচ্চাটি ঐ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়তে পারবে।এমনটা করা কুসংস্কার ও বিদ'আত। সুতরাং পরিত্যাজ্য।


(৪)
অসম্মান প্রদর্শনের উদ্দেশ্য পশ্চিম দিকে পা রাখা, থুথু নিক্ষেপ,কোনো কিছু নিক্ষেপ করা কুফুরী।
অপারগ অবস্থায় রাখা জায়েয।অনিচ্ছাকৃত হলে জায়েয।ইচ্ছাকৃত তবে অসম্মান প্রদর্শনের নিয়তে নয়, এমন হলে মাকরুহ।কেননা আমাদের সমাজে অসম্মানই গণ্য করা হয়।আল্লাহ-ই ভালো জানেন।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-


(৫)
যখন সে বলছে,তখন যেহেতু ডিএক্টিভ ছিলো তাই নেই বলে সেই ডিএকট্টিভ এর দিকে ইঙ্গিত করার নাম হবে তাওরিয়াহ।তাওরিয়াহ শুধুমাত্র শরয়ী প্রয়োজনে জায়েয।

সুতরাং যদি উপযোক্ত কোনো কারণ থাকে,তাহলে আপনি এমনটা বলতে পারবেন।নতুবা পারবেন না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...