আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
110 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম। বইয়ের ব্যবসা কিভাবে করা হয় তার বিস্তারিত লিখছি।
ধরেন কোন প্রকাশনীর বইয়ের ছবি আমি আমার ফেসবুক পেইজে আপলোড করলাম। কাস্টমার দেখে অর্ডার করলো। এরপর আমি প্রকাশনীতে যাই, প্রকাশনীতে গিয়ে নিজের টাকায় বই কিনে আনি এরপর কুরিয়ারের মাধ্যমে কাস্টমারকে পাঠাই।
ক্রেতা প্রোডাক্ট হাতে পেয়ে টাকা পরিশোধ করে। এই ব্যবসাটি কি জায়েজ হবে?
পণ্য হাতে না থাকার পরও ব্যবসা করা নিয়ে একটি হাদিস দেখেছিলাম।
আর যে সব বইয়ে রিলেশনশিপ টাইপ কথাবার্তা থাকে সেগুলো বিক্রি করা কি জায়েজ হবে? কিংবা ধরেন গোয়েন্দা কাহিনী কিন্তু ভিতরে একটু রিলেশনশিপ লাগায় দিছে। এগুলা দেশের স্বনামধন্য বই বিক্রির ওয়েবসাইট গুলোয় ও অনেক বিক্রি হয়।
আর প্রতিটা বইতো পড়ে দেখা সম্ভব না, সে ক্ষেত্রে বইয়ের ভিতরে কি আছে না আছে সে বিষয়টিও জানতে পারছি না।
আশা করি জানাবেন ইনশাল্লাহ।

1 Answer

0 votes
by (561,180 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/30502/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عن  ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: أَمَّا الَّذِي نَهى عَنْهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَهُوَ الطَّعَامُ أَنْ يُبَاعَ حَتَّى يُقْبَضَ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: وَلاَ أَحْسِبُ كُلَّ شَيْءٍ إِلاَّ مِثْلَهُ

ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা নিষেধ করেছেন, তা হল অধিকারে আনার পূর্বে খাদ্য বিক্রয় করা। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বলেন, আমি মনে করি, প্রত্যেক পণ্যের ব্যাপারে অনুরূপ নির্দেশ প্রযোজ্য হবে।
(সহীহুল বুখারী, পৰ্ব ৩৪: ক্ৰয়-বিক্ৰয়, অধ্যায় ৫৫, হাঃ ২১৩৫; মুসলিম, পর্ব ২১: ক্ৰয়-বিক্ৰয়, অধ্যায় ৮, হাঃ ১৫২৫)

আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত।
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ قَالَ أَنْبَأَنَا ابْنُ الْقَاسِمِ عَنْ مَالِكٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ ابْتَاعَ طَعَامًا فَلَا يَبِعْهُ حَتَّى يَقْبِضَهُ 
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন খাদ্যবস্তু ক্রয় করে, যেন তা কবজা করার আগে বিক্রয় না করে(সুনানু নাসায়ী-৪৫৯৬)

আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত।
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْحَارِثِ الْمَخْزُومِيُّ، حَدَّثَنَا الضَّحَّاكُ، بْنُ عُثْمَانَ عَنْ بُكَيْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الأَشَجِّ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ قَالَ لِمَرْوَانَ أَحْلَلْتَ بَيْعَ الرِّبَا . فَقَالَ مَرْوَانُ مَا فَعَلْتُ . فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ أَحْلَلْتَ بَيْعَ الصِّكَاكِ وَقَدْ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ بَيْعِ الطَّعَامِ حَتَّى يُسْتَوْفَى . قَالَ فَخَطَبَ مَرْوَانُ النَّاسَ فَنَهَى عَنْ بَيْعِهَا . قَالَ سُلَيْمَانُ فَنَظَرْتُ إِلَى حَرَسٍ يَأْخُذُونَهَا مِنْ أَيْدِي النَّاسِ .
তিনি একদা মারওয়ানকে প্রশ্ন করেন, আপনি কি সূদী কেনাবেচা বৈধ করে দিয়েছেন? মারওয়ান বললেনঃ না, আমি তো তা করিনি। আবূ হুরাইরাহ্ (রাযিঃ) পুনরায় জিজ্ঞেস করেন, আপনি কি রেশন কার্ড বিক্রি বৈধ করে দেননি? অথচ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাদ্যদ্রব্য পুরোপুরি হস্তগত করার আগে বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন। এরপর মারওয়ান এক বক্তৃতায় তা বিক্রি করতে লোকদের নিষেধ করে দেন।
রাবী সুলাইমান (রহঃ) বলেনঃ আমি দেখলাম যে, মানুষের কাছ থেকে সরকারী কর্মচারীগণ রেশন কার্ড ফিরিয়ে নিচ্ছে। (মুসলিম ৩৭৪১.ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৭০৬, ইসলামিক সেন্টার ৩৭০৬)

’’( وأما ) بيع المشتري العقار قبل القبض فجائز عنه عند أبي حنيفة ، وأبي يوسف استحسانا‘‘
স্থাবর সম্পত্তি কবজা করার পূর্বে বিক্রয় করা জায়েজ আছে।(বাদায়ে সানায়ে-১১/২৫৯)

বিস্তারিত জানুনঃ- https://ifatwa.info/60300/

,
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার নিকট বই না থাকাবস্থায় অন্যের সাথে বিক্রয় চুক্তি করতে পারবেন না। এবং বই ক্রয় করে কবজা করার পূর্বে অন্যত্র বিক্রয় করতেও পারবেন না। 

হ্যাঁ, আপনি যদি প্রকাশনীর নিয়ম তান্ত্রিক এজেন্ট হয়ে কমিশন বা বেতনের ভিত্তিতে তাদের বই বিক্রয় করে থাকেন,সেক্ষেত্রে প্রশ্নে উল্লেখিত পদ্ধতিতে ক্রয় বিক্রয় করা যাবে। যদি প্রকাশনী আপনাকে তাদের এজেন্ট নিয়োগ করে। 

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/44

★কোন ধরনের বই পড়া ও বিক্রয় করা নাজায়েজ,এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (4 points)
reshown by
যেকোণ প্রকাশনী তে বললেই বই দিয় দেয়। তবে ঘুরে ঘুরে ১০০ প্রকাশনীতে এজেন্ট পারমিশন চাওয়া একটু কষ্টসাধ্য। এম্নিতে ধরেন কোনো অরডার আসলো, এরপর প্রকাশনীতে গিয়ে বললাম, আজকে থেকে আপনাদের সাথে চুক্তি হলো এজেন্ট হিসেবে। এক্ষেত্রে জায়েয হবে কি? 

আর ব্যবসা মেইনলি হচ্ছে তো কাস্টমার এর হাতে যাওয়ার পর। আগে যেটা হচ্ছে সেটা ওয়াদা টাইপ কিছু,  আসল ব্যবসা তো হচ্ছে আমি কিনে পাঠাচ্ছি, এরপর। তবে আগে ওয়েবসাইট থেকে কিনলে এটা ব্যবসায়িক চুক্তির ভিতর পড়ে কি?

বাংলাদেশের ৯০% বুকশপ এভাবে চলে, আমি যেভাবে প্রশ্নে উল্লেখ করেছি, ইসলামিক গুলো ও। তাহলে এটা কি জায়েয?
by (561,180 points)
বই বিক্রির চুক্তির আগেই সেই প্রকাশনী কর্তৃক এজেন্ট হতে হবে। নতুবা বই হস্তগত হওয়ার আগ পর্যন্ত এভাবে বিক্রয়ের চুক্তি,অর্ডার শরীয়ত অনুমোদন দেয়না।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...