আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
47 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (4 points)
অভিশপ্ত দাজ্জালকে যারা প্রতিরোধ করবে তাদের মরতবা বদর ও উহুদ যুদ্ধে শহিদের মরতবার সমান হবে। এই হাদিসের সত্যতা সম্পর্কে জানতে চাই।

রাসুল (সাঃ) বলেছেন, অভিশপ্ত দাজ্জালকে যারা প্রতিরোধ করবে তাদের মরতবা বদর ও উহুদ যুদ্ধে শহিদের মরতবার সমান হবে। রাবিঃ আবু হোরায়রা (রাঃ) । এটি কি সহি না জইফ হাদিস? এটি বোখারি বা মুসলিম শরিফের কত নম্বর হাদিস?

1 Answer

0 votes
by (684,760 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
হুবহু এই বাক্যে হাদীস খুজে পাইনি।

অভিশপ্ত দাজ্জালকে যারা প্রতিরোধ করবে তাদের মরতবা বদর ও উহুদ যুদ্ধে শহিদের মরতবার সমান হবে,এ কথা হুবহু এই বাক্যে সহীহ নয়।

সাহাবায়ে কেরামের যে মর্যাদা মহান রব দান করেছেন, সে মর্যাদা থেকে বেশি হওয়া তো দূরের কথা, বরং তাঁদের মর্যাদার ধারেকাছেও যাওয়া কোনো মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়।

তার স্বপক্ষে কিছু দলিলঃ-

আল্লাহ তাআলাই বলেছেন,

لَا يَسْتَوِي مِنكُم مَّنْ أَنفَقَ مِن قَبْلِ الْفَتْحِ وَقَاتَلَ أُوْلَئِكَ أَعْظَمُ دَرَجَةً مِّنَ الَّذِينَ أَنفَقُوا مِن بَعْدُ وَقَاتَلُوا وَكُلًّا وَعَدَ اللَّهُ الْحُسْنَى وَاللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرٌ

তোমাদের মধ্যে যে মক্কা বিজয়ের পূর্বে ব্যয় করেছে ও জেহাদ করেছে, সে সমান নয়। এরূপ লোকদের মর্যাদা বড় তাদের অপেক্ষা, যারা পরে ব্যয় করেছে ও জেহাদ করেছে। [সুরা হাদিদ আয়াত : ১০]

হাদিস শরীফে এসেছে, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা. বলেন,

لا تسبُّوا أصحابَ محمَّدٍ صلّى اللَّهُ عليهِ وسلَّمَ فلَمُقامُ أحدِهِم ساعةً خيرٌ مِن عمَلِ أحدِكُم عُمرَهُ

তোমরা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবাগণের মন্দ বলো না, তাদের এক মুহুর্তের সৎকাজ তোমাদের সারা জীবনের সৎকাজের চেয়ে উত্তম। -সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস : ১৩৩

হযরত উমর রাঃ থেকে বর্ণিত, নবিজি সাঃ বলেন,

أكرموا أصحابِي فإنهم خيارُكم

তোমরা আমার সাহাবীগণকে সম্মান কর। কেননা তাঁহারা তোমাদের মধ্যকার উত্তম মানব। -সুনানে তিরমিযি, হাদিস : ২১৬৫

হযরত আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত, নবিজি সাঃ বলেন,

لا تسبوا أصحابي فوالذي نفسي بيده لو أن أحدكم أنفق مثل أحد ذهباً ما أدرك مد أحدهم ولا نصيفه

তোমরা আমার কোন সাহাবীকে মন্দ বলোনা। তোমাদের কেউ যদি উহুদ পর্বততূল্য স্বর্ণও দান করে,তবুও তাঁদের সোয়া সের যব সদাকা করার সমানও হতে পারেনা বরং এর অর্ধেকেরও বরাবর হতে পারেনা। -সহিহ বুখারী, হাদিস : ৩৬৭৩

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেন,

إنّ اللهَ نظرَ في قُلوبِ العِبادِ، فوجدَ قلبَ مُحمَّدٍ صلّى الله عليهِ وعلى آلِهِ وسلَّمَ خيرَ قلوبِ العِبادِ، فاصطَفاهُ لنَفسِهِ، فابتعثَهُ برِسالتِهِ، ثمَّ نَظرَ في قلوبِ العبادِ بعدَ قَلبِ محمَّدٍ، فوجدَ قلوبَ أصحابِهِ خيرَ قُلوبِ العبادِ، فجعلَهُم وزراءَ نبيِّهِ، يُقاتِلونَ على دينِهِ، فلَمّا رأى المسلِمونَ حَسنًا، فَهوَ عندَ اللهِ حسنٌ، وما رأوا سيِّئًا فَهوَ عندَ اللهِ سَيِّءٌ

আল্লাহপাক তাঁর বান্দাদের অন্তরের দিকে তাকালেন, এবং মুহাম্মাদ সাঃ-এর হৃদয় খুঁজে পেলেন তাঁর বান্দাদের হৃদয়ের মধ্যে সর্বোত্তম। তাই তিনি তাঁকে নিজের জন্য বেছে নিয়েছিলেন এবং রিসালাতের জন্য নির্বাচিত করেছেন। নবিজি সাঃ-এর অন্তর দেখার পর বাকি বান্দাদের অন্তরের দিকে তাকিয়ে সাহাবাদের অন্তরগুলো পেলেন সর্বসেরা। ফলে তাঁদেরকে তাঁর নবি (মুহাম্মাদ সাঃ-এর) সাথিসঙ্গী হিশাবে নির্বাচিত করলেন, যাঁরা তাঁর সাথে দ্বীনের জন্য জিহাদ করবে। [মুসনাদে আহমাদ : খ. ৫ পৃ. ২১১]

হযরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, প্রিয় নবি সাঃ বলেছেন,

واختار لي من أصحابِي أربعةً يعني أبا بكرٍ وعمرَ وعثمانَ وعليًّا رحمهم اللهُ فجعلهم أصحابِي وقال في أصحابِي كلِّهم خيرٌ واختار أمتي على الأممِ

কেবল নবী-রাসূলগণ ব্যতীত, আমার সাহাবীগণ থেকে চারজনকে আমার জন্য মনোনীত করেছেন, তারা হলেন হযরত আবু বকর, রা. হযরত ওমর রা. হযরত ওসমান রা. ও হযরত আলী রা.। তাঁরা আমার শ্রেষ্ঠ সাহাবী। তবে আমার সকল সাহাবী উত্তম। সকল উম্মত থেকে আমার উম্মতকে মনোনীত করেছেন। -মাজমাউয যাওয়ায়েদ : খ. ১০ পৃ. ১৮

ইমাম আজুররী নিজ সনদে ইমাম আবু উসামা রহ. থেকে বর্ণনা করেছেন, তাকে একদা প্রশ্ন করা হলো,

أيهما أفضل معاوية أو عمر بن عبد العزيز فقال أصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم لا يقاس بهم أحد

হযরত মুয়াবিয়া ও উমর ইবনে আব্দুল আজির এর মধ্যে কে উত্তম? তিনি বললেন, রাসূল স. এর সাহাবীদের সাথে অন্য কারও তুলনা করা হবে না। -কিতাবুশ শরীআহ, বর্ণনা : ২০১১

উপরন্তু হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মোবারক রহি. কে হযরত মুয়াবিয়া রা. সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছিলো,

قد سئل عبد الله بن المبارك  أيهما أفضل معاوية بن أبي سفيان أم عمر بن عبد العزيز فقال و الله إن الغبار الذي دخل في أنف معاوية مع رسول الله صلى الله عليه وسلم أفضل من عمر بألف مرة

একদা হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মোবারক রা. কে প্রশ্নর করা হলো, কে উত্তম? হযরত মুয়াবিয়া রা. না কি উমর ইবনে আব্দুল আজিজ রহ.? তিনি উত্তর দিলেন, আল্লাহর শপথ, রাসূল স. এর সাথে চলার সময় হযরত মুয়াবিয়া রা. এর নাকে যেই ধুলো প্রবেশ করেছে, সেটি হযরত উমর ইবনে আব্দুল আজিজ থেকে হাজারগুণ উত্তম। -ওফায়াতুল আইয়ান, (ইবনে খল্লিকান) খ. ৩ পৃ. ৩৩

উপরিউক্ত আয়াত-হাদিস ও আসার থেকে জানতে পারলাম সাহাবায়ে কেরামের যে মর্যাদা মহান রব দান করেছেন, সে মর্যাদা থেকে বেশি হওয়া তো দূরের কথা, বরং তাঁদের মর্যাদার ধারেকাছেও যাওয়া কোনো মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়।

অথচ এই সাহাবায়ে কেরামের রা. থেকে মর্যাদা সম্পন্ন হলেন, নবি-রাসুলগণ। হযরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, প্রিয় নবি সাঃ বলেছেন,
إن اللهَ اختار أصحابِي على العالمينَ سوى النبيينَ والمرسلينَ
আল্লাহ তাআলা আমার সাহাবাদেরকে মনোনিত করেছেন বিশ্ববাসীর উপর। -মাজমাউয যাওয়ায়েদ : খ. ১০ পৃ. ১৮

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
তবে অভিশপ্ত দাজ্জালকে যারা প্রতিরোধ করবে তাদের  মর্যাদা বদর,ওহুদের সাহাবাদের মতো না হলেও অনেক মর্যাদা রয়েছে।

যেমন হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
আবু হুরাইরাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ

لاَ تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى يَنْزِلَ الرُّومُ بِالأَعْمَاقِ أَوْ بِدَابِقَ فَيَخْرُجُ إِلَيْهِمْ جَيْشٌ مِنَ الْمَدِينَةِ مِنْ خِيَارِ أَهْلِ الأَرْضِ يَوْمَئِذٍ فَإِذَا تَصَافُّوا قَالَتِ الرُّومُ خَلُّوا بَيْنَنَا وَبَيْنَ الَّذِينَ سَبَوْا مِنَّا نُقَاتِلْهُمْ . فَيَقُولُ الْمُسْلِمُونَ لاَ وَاللَّهِ لاَ نُخَلِّي بَيْنَكُمْ وَبَيْنَ إِخْوَانِنَا . فَيُقَاتِلُونَهُمْ فَيَنْهَزِمُ ثُلُثٌ لاَ يَتُوبُ اللَّهُ عَلَيْهِمْ أَبَدًا وَيُقْتَلُ ثُلُثُهُمْ أَفْضَلُ الشُّهَدَاءِ عِنْدَ اللَّهِ وَيَفْتَتِحُ الثُّلُثُ لاَ يُفْتَنُونَ أَبَدًا فَيَفْتَتِحُونَ قُسْطُنْطِينِيَّةَ فَبَيْنَمَا هُمْ يَقْتَسِمُونَ الْغَنَائِمَ قَدْ عَلَّقُوا سُيُوفَهُمْ بِالزَّيْتُونِ إِذْ صَاحَ فِيهِمُ الشَّيْطَانُ إِنَّ الْمَسِيحَ قَدْ خَلَفَكُمْ فِي أَهْلِيكُمْ . فَيَخْرُجُونَ وَذَلِكَ بَاطِلٌ فَإِذَا جَاءُوا الشَّأْمَ خَرَجَ فَبَيْنَمَا هُمْ يُعِدُّونَ لِلْقِتَالِ يُسَوُّونَ الصُّفُوفَ إِذْ أُقِيمَتِ الصَّلاَةُ فَيَنْزِلُ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ فَأَمَّهُمْ فَإِذَا رَآهُ عَدُوُّ اللَّهِ ذَابَ كَمَا يَذُوبُ الْمِلْحُ فِي الْمَاءِ فَلَوْ تَرَكَهُ لاَنْذَابَ حَتَّى يَهْلِكَ وَلَكِنْ يَقْتُلُهُ اللَّهُ بِيَدِهِ فَيُرِيهِمْ دَمَهُ فِي حَرْبَتِهِ

কিয়ামাত সংঘটিত হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না রোমীয় (সিরিয়ার অন্তর্গত) সেনাবাহিনী আমাক অথবা দাবিক নহরের কাছে অবতীর্ণ হবে। তখন তাদের মুকাবিলায় মদীনাহ হতে এ দুনিয়ার সর্বোত্তম মানুষের এক দল সৈন্য বের হবে। তারপর উভয় দল সারিবদ্ধভাবে দণ্ডায়মান হবার পর রোমীয়গণ বলবে, তোমরা ঐ সমস্ত লোকেদের থেকে পৃথক হয়ে যাও, যারা আমাদের লোকেদেরকে বন্দী করেছে। আমরা তাদের সাথে যুদ্ধ করব। তখন মুসলিমগণ বলবে, আল্লাহর শপথ আমরা আমাদের ভাইদের থেকে কক্ষনো সম্পর্কচ্ছেদ করব না। পরিশেষে তাদের পরস্পর যুদ্ধ হবে। এ যুদ্ধে মুসলিমদের এক তৃতীয়াংশ সৈন্য পলায়নপর হবে। আল্লাহ তা’আলা কক্ষনো তাদের তাওবাহ্ গ্রহণ করবেন না। সৈন্যদের এক তৃতীয়াংশ নিহত হবে এবং তারা হবে আল্লাহর কাছে শহীদানের মাঝে সর্বোত্তম শহীদ। আর সৈন্যদের অপর তৃতীয়াংশ বিজয়ী হবে। জীবনে আর কক্ষনো তারা ফিতনায় আক্রান্ত হবে না। তারাই কুম্ভনতিনিয়া বিজয় করবে।

তারা নিজেদের তলোয়ার যাইতুন বৃক্ষে লটকিয়ে যুদ্ধলব্ধ সম্পদ ভাগ করতে থাকবে। এমতাবস্থায় তাদের মধ্যে শাইতান (শয়তান) উচ্চঃস্বরে বলতে থাকবে, দাজ্জাল তোমাদের পেছনে তোমাদের পরিবার-পরিজনের মধ্যে চলে এসেছে। এ কথা শুনে মুসলিমরা সেখান থেকে বের হবে। অথচ এ ছিল মিথ্যা সংবাদ। তারা যখন সিরিয়া পৌছবে তখন দাজ্জালের আগমন ঘটবে। যখন মুসলিম বাহিনী যুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করবে এবং সারিবদ্ধভাবে দণ্ডায়মান হতে শুরু করা মাত্র সলাতের সময় হবে। অতঃপর ঈসা (আঃ) অবতরণ করবেন এবং সলাতে তাদের ইমামাত করবেন। আল্লাহর শত্রু(দাজ্জাল) তাকে দেখামাত্রই বিচলিত হয়ে যাবে যেমন লবণ পানিতে মিশে যায়। যদি ঈসা (আঃ) তাকে এমনিই ছেড়ে দেন তবে সেও নিজে নিজেই বিগলিত হয়ে ধ্বংস হয়ে যাবে। অবশ্য আল্লাহ তা’আলা ঈসা (আঃ) এর হাতে তাকে হত্যা করবেন এবং তার রক্ত ঈসা (আঃ) এর বর্শাতে তিনি তাদেরকে (তাঁর ঈমানদার সাথিদের) দেখিয়ে দিবেন। (সহীহ মুসলিম-৭১৭০)

ইউসায়র ইবনু জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত।

قَالَ هَاجَتْ رِيحٌ حَمْرَاءُ بِالْكُوفَةِ فَجَاءَ رَجُلٌ لَيْسَ لَهُ هِجِّيرَى إِلاَّ يَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ جَاءَتِ السَّاعَةُ . قَالَ فَقَعَدَ وَكَانَ مُتَّكِئًا فَقَالَ إِنَّ السَّاعَةَ لاَ تَقُومُ حَتَّى لاَ يُقْسَمَ مِيرَاثٌ وَلاَ يُفْرَحَ بِغَنِيمَةٍ . ثُمَّ قَالَ بِيَدِهِ هَكَذَا – وَنَحَّاهَا نَحْوَ الشَّأْمِ – فَقَالَ عَدُوٌّ يَجْمَعُونَ لأَهْلِ الإِسْلاَمِ وَيَجْمَعُ لَهُمْ أَهْلُ الإِسْلاَمِ . قُلْتُ الرُّومَ تَعْنِي قَالَ نَعَمْ وَتَكُونُ عِنْدَ ذَاكُمُ الْقِتَالِ رَدَّةٌ شَدِيدَةٌ فَيَشْتَرِطُ الْمُسْلِمُونَ شُرْطَةً لِلْمَوْتِ لاَ تَرْجِعُ إِلاَّ غَالِبَةً فَيَقْتَتِلُونَ حَتَّى يَحْجُزَ بَيْنَهُمُ اللَّيْلُ فَيَفِيءُ هَؤُلاَءِ وَهَؤُلاَءِ كُلٌّ غَيْرُ غَالِبٍ وَتَفْنَى الشُّرْطَةُ ثُمَّ يَشْتَرِطُ الْمُسْلِمُونَ شُرْطَةً لِلْمَوْتِ لاَ تَرْجِعُ إِلاَّ غَالِبَةً فَيَقْتَتِلُونَ حَتَّى يَحْجُزَ بَيْنَهُمُ اللَّيْلُ فَيَفِيءُ هَؤُلاَءِ وَهَؤُلاَءِ كُلٌّ غَيْرُ غَالِبٍ وَتَفْنَى الشُّرْطَةُ ثُمَّ يَشْتَرِطُ الْمُسْلِمُونَ شُرْطَةً لِلْمَوْتِ لاَ تَرْجِعُ إِلاَّ غَالِبَةً فَيَقْتَتِلُونَ حَتَّى يُمْسُوا فَيَفِيءُ هَؤُلاَءِ وَهَؤُلاَءِ كُلٌّ غَيْرُ غَالِبٍ وَتَفْنَى الشُّرْطَةُ فَإِذَا كَانَ يَوْمُ الرَّابِعِ نَهَدَ إِلَيْهِمْ بَقِيَّةُ أَهْلِ الإِسْلاَمِ فَيَجْعَلُ اللَّهُ الدَّبْرَةَ عَلَيْهِمْ فَيَقْتُلُونَ مَقْتَلَةً – إِمَّا قَالَ لاَ يُرَى مِثْلُهَا وَإِمَّا قَالَ لَمْ يُرَ مِثْلُهَا – حَتَّى إِنَّ الطَّائِرَ لَيَمُرُّ بِجَنَبَاتِهِمْ فَمَا يُخَلِّفُهُمْ حَتَّى يَخِرَّ مَيْتًا فَيَتَعَادُّ بَنُو الأَبِ كَانُوا مِائَةً فَلاَ يَجِدُونَهُ بَقِيَ مِنْهُمْ إِلاَّ الرَّجُلُ الْوَاحِدُ فَبِأَىِّ غَنِيمَةٍ يُفْرَحُ أَوْ أَىُّ مِيرَاثٍ يُقَاسَمُ فَبَيْنَمَا هُمْ كَذَلِكَ إِذْ سَمِعُوا بِبَأْسٍ هُوَ أَكْبَرُ مِنْ ذَلِكَ فَجَاءَهُمُ الصَّرِيخُ إِنَّ الدَّجَّالَ قَدْ خَلَفَهُمْ فِي ذَرَارِيِّهِمْ فَيَرْفُضُونَ مَا فِي أَيْدِيهِمْ وَيُقْبِلُونَ فَيَبْعَثُونَ عَشَرَةَ فَوَارِسَ طَلِيعَةً . قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِنِّي لأَعْرِفُ أَسْمَاءَهُمْ وَأَسْمَاءَ آبَائِهِمْ وَأَلْوَانَ خُيُولِهِمْ هُمْ خَيْرُ فَوَارِسَ عَلَى ظَهْرِ الأَرْضِ يَوْمَئِذٍ أَوْ مِنْ خَيْرِ فَوَارِسَ عَلَى ظَهْرِ الأَرْضِ يَوْمَئِذٍ

তিনি বলেন, একবার কুফা নগরীতে লাল ঝঞ্ঝা বিশিষ্ট বায়ু প্রবাহিত হলো। এমন সময় জনৈক লোক কুফায় এসে বলল যে, হে আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ সতর্ক হও, কিয়ামাত সংঘটিত হবে না, যতক্ষণ না উত্তরাধিকার সম্পদ অবণ্টিত থাকবে এবং যতক্ষণ না মানুষেরা গনীমাতের বিষয়ে আনন্দ প্রকাশ না করবে। তারপর তিনি নিজ হাত দ্বারা সিরিয়ার প্রতি ইশারা করে বললেন, আল্লাহর শক্ররা একত্রিত হবে মুসলিমদের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য এবং মুসলিমগণও তাদের সাথে যুদ্ধ করার জন্য একত্রিত হবে। এ কথা শ্রবণে আমি বললাম, আল্লাহর শক্র বলে আপনাদের উদ্দেশ্য হলো রোমীয় (খ্ৰীষ্টান) সম্প্রদায়। তিনি বললেন, হ্যাঁ! এবং তখন ভয়াবহ যুদ্ধ সংঘটিত হবে। তখন মুসলিম জাতি একটি দল অগ্রে প্রেরণ করবে, তারা মৃত্যুর জন্য সম্মুখে এগিয়ে যাবে। বিজয় অর্জন করা ছাড়া তারা প্রত্যাবর্তন করবে না। এরপর পরস্পর তাদের মধ্যে যুদ্ধ হবে। যুদ্ধ করতে করতে রাত্রি অতিবাহিত হয়ে যাবে। তারপর দু’ পক্ষের সৈন্য জয়লাভ করা ছাড়াই ফিরে চলে যাবে। যুদ্ধের জন্য মুসলিমদের যে দলটি এগিয়ে গিয়েছিল তারা প্রত্যেকেই মৃত্যুবরণ করবে।
অতঃপর পরবর্তী দিন মুসলিমগণ মৃত্যুর জন্য অপর একটি দল সামনে পাঠাবে। তারা সবাই মৃত্যুবরণ করবে। অতঃপর পরবর্তী দিন মুসলিমগণ মৃত্যুর জন্য অপর একটি দল সামনে পাঠাবে। তারা বিজয়ী না হয়ে ফিরবে না। এদিনও পরস্পরের মধ্যে মারাত্মক যুদ্ধ হবে। পরিশেষে সন্ধ্যা হয়ে যাবে। উভয় বাহিনী বিজয়লাভ করা ছাড়াই স্বীয় শিবিরে প্রত্যাবর্তন করবে। যে দলটি সামনে ছিল তারা সরে যাবে। অতঃপর তৃতীয় দিন আবার মুসলিমগণ মৃত্যু বা বিজয়ের উদ্দেশে অপর একটি বাহিনী পাঠাবে। এ যুদ্ধ সন্ধ্যা পর্যন্ত চলতে থাকবে। পরিশেষে বিজয়লাভ করা ছাড়াই উভয় বাহিনী প্রত্যাবর্তন করবে। তবে মুসলিম বাহিনীর সামনের সেনাদলটি শাহীদ হয়ে যাবে। তারপর যুদ্ধের চতুর্থ দিনে অবশিষ্ট মুসলিমগণ সকলেই যুদ্ধের জন্য সামনে এগিয়ে যাবে। সেদিন কাফিরদের উপর আল্লাহ তা’আলা অকল্যাণ চক্র চাপিয়ে দিবেন। তারপর এমন যুদ্ধ হবে যা জীবনে কেউ দেখবে না অথবা যা জীবনে কেউ দেখেনি। পরিশেষে তাদের শরীরের উপর পাখী উড়তে থাকবে। পাখী তাদেরকে অতিক্রম করবে না; এমতাবস্থায় তা মাটিতে পড়ে নিহত হবে।
একশ’ মানুষ বিশিষ্ট একটি গোত্রে, মাত্র এক লোক বেঁচে থাকবে। এমন সময় কেমন করে গনীমাতের সম্পদ নিয়ে লোকেরা আনন্দোৎসব করবে এবং কেমন করে উত্তরাধিকার সম্পদ ভাগ করা হবে। এমতাবস্থায় মুসলিমগণ আরেকটি ভয়ানক বিপদের খবর শুনতে পাবে এবং এ মর্মে একটি শব্দ তাদের কাছে পৌছবে যে, দাজ্জাল তাদের পেছনে তাদের পরিবার-পরিজনের মধ্যে চলে এসেছে। এ সংবাদ শুনতেই তারা হাতের সমস্ত কিছু ফেলে দিয়ে রওনা হয়ে যাবে এবং দশজন অশ্বারোহী ব্যক্তিকে সংবাদ সংগ্রাহক দল হিসেবে প্রেরণ করবে। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, দাজ্জালের খবর সংগ্রাহক দলের প্রতিটি লোকের নাম, তাদের বাপ-দাদার নাম এবং তাদের ঘোড়ার রং সম্পর্কেও আমি জ্ঞাত আছি। এ পৃথিবীর সর্বোত্তম অশ্বারোহী দল সেদিন তারাই হবে।(সহীহ মুসলিম-৭১৭৩)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (4 points)
মুফতি ওলি উল্লাহ সাহেব, প্রশ্নের বিস্তারিত উত্তর দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি । আল্লাহ আপনাকে সহ সবাইকে রহমতের মধ্যে রাখুন । আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ ।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...