আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
101 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (3 points)
আমরা মেয়েরা অনেকেই চুরি পরতে পছন্দ করি। সাধারণত অনেক গুলো চুরি একসাথে পরলে একটির সাথে আরেকটি মিলে ঝন ঝন করে বেজে ওঠে।

যেহেতু  আওয়াজ যুক্ত নুপুর পরা জায়েজ নয়। তাই আমি জানতে চাচ্ছি চুরিতে এমন আওয়াজ হয়। সেই ক্ষেত্রে চুরি পরা কি জায়েজ হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ঘন্টা সম্বলিত হাদীস হচ্ছে নিম্নরূপ।
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ ﻻ ﺗﺼﺤﺐ ﺍﻟﻤﻼﺋﻜﺔ ﺭﻓﻘﺔ ﻓﻴﻬﺎ ﻛﻠﺐ ﻭﻻ ﺟﺮﺱ
হযরত আবু-হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত,নবীজী সাঃ বলেনঃ ঐ দলের সাথে (রহমতের)ফেরেস্তারা সহযাত্রী হন না, যাদের মধ্যে কুকুর বা ঘন্টা বা তার আওয়াজ রয়েছে।(সহীহ মুসলিম-২১১৩)

ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদিসের আলোকে ফেকহী আলোচনার এক পর্যায়ে বলেনঃ
উক্ত হাদীস থেকে নিম্নোক্ত কথাগুলো অনায়াসেই বুঝা যায় যে,কুকুর(পাহারাদার বা শিকারি কুকুর ব্যতীত) বা ঘন্টাকে সফরে সাথে রাখা মাকরুহে তাহরীমি।এবং ফেরেস্তাগণ ঐ সব দলের সহযাত্রী হন না, যাদের সাথে এ দুয়ের যেকোনো একটি থাকে।ফেরেস্তা দ্বারা উদ্দেশ্য হল,রহমত বা ইস্তেগফারের ফেরেস্তা,হেফাযতকারী ফেরেস্তাগণ নয়।এর আলোচনা ইতিপূর্বে হয়েছে,এবং ফেরেস্তাগণ কুকুর থেকে কেন দূরে থাকেন তারও বিশদ আলোচনা হয়েছে।
এখন ঘন্টা বাজনার বিষয়টি আলোচনা সাপেক্ষ।
এত্থেকে ফেরেস্তাগণ দূরে থাকার কারণ হল,ঘন্টার আওয়াজ ইহুদিদের নিষিদ্ধ শিংগার আওয়াজ সদৃশ।অথবা তা নিষিদ্ধ তাবিজ সদৃশ।
কেউ কেউ তা অপছন্দ হওয়ার কারণ শ্রুতিকটু আওয়াজ ও উল্লেখ করেছেন।এই ব্যখ্যাকে ঐ হাদীস সমর্থন প্রদান করে যেথায় নবীজী সাঃ ঘন্টাকে শয়তানের বাশী বলে উল্লেখ করেছেন।এই ব্যখ্যা অনুসারেই স্বাভাবিকত ঘন্টাকে মাকরুহে তাহরীমি  হিসাবে সাব্যস্ত করা হয়।এবং এটাই আমাদের শাফেয়ী মাযহাবের অভিমত।
ইমাম মালিক সহ অন্যান্যদের মন্তব্য হল ঘন্টার আওয়াজ মাকরুহে তানযিহি।
শামের প্রাচীন উলামায়ে কেরামদের বক্তব্য হল,বড় ঘন্টার আওয়াজ মাকরুহ, ছোট ঘন্টার আওয়াজ মাকরুহ নয়। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-1265 

আল্লাহ তাআলা বলেন,
ولا يَضْرِبْنَ بأرجُلِهِنّ لِيُعْلَمَ ما يُخْفِين من زِينَتِهِنّ
“আর তাদের পা দিয়ে যেন তারা আঘাত না করে যাতে তাদের অলংকারের যা লুকিয়ে আছে তা জানানো যায়।” [সূরা নূর- ৩১]
 
একদিন মা আয়েশা রা. এর নিকট কোনও এক বালিকা বাজনাদার নূপুর পরে আসলে তিনি তাকে বললেন, “খবরদার! তা কেটে না ফেলা পর্যন্ত আমার ঘরে প্রবেশ করবে না।” অতঃপর তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ঘরে ঘণ্টি থাকে সে ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করে না।” [সুনানে আবু দাউদ হাদিস : ৪২৩১; সুনানে নাসাঈ হাদিস : ৫২৩৭]

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বালা বা চুরি পরিধান করা জায়েয। তবে আওয়াজ হয়, এমন বালা বা চুরি পরিধান করা জায়েয হবে না। সুতরাং এমন একগুচ্ছ বালা যা সদাসর্দা একটার সাথে অন্যটার ঘর্ষণের ফলে আওয়াজ হয়, তা পরিধান করা জায়েয হবে না। তবে সর্বদা আওয়াজ না হলে বা আওয়াজের পরিমাণ নিতান্তই কম হলে তখন নাজায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...