আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
125 views
in সালাত(Prayer) by (34 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ
.
কোনো মানত যদি হারাম কাজের সাথে সম্পর্কিত হয়, অর্থাৎ {আমি যেদিন গীবত করবো সেদিন ১০ রাকাআত নামাজ আদায় করবো, কুরআনের কসম, যদি না আদায় করি তাহলে পড়ালেখা হবে না আমার} -এ ধরণের কথা বলা হয়_তাহলে যতবার/যতদিন গীবত করা হবে ততবারই কি ১০ রাকাআত নামাজ পড়া আবশ্যক? না পড়লে কাফফারা আদায় করতে হবে? আর পার্মানেন্টভাবে এই কসম বাতিল করার কোনো উপায় আছে? (একবার গীবত করার পর নামাজের কথা মনে ছিল না, এখন ভয়ে আছে ইলম নষ্ট হয়ে যায় কি না)

[যখন কসম সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান ছিল না তখন কসম করা হয়েছে, জোরে কসম করা হয়েছে কি না মনে নেই, অনেক আগের কথা, বিড়বিড় করে বা মনে মনে বলা হয়ে থাকতে পারে]

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যদি কেউ গোনাহ না করার সাথে কোনো কিছুর মান্নত করে, তাহলে যখনই সে গোনাহ করবে, তখনই তাকে ঐ মান্নত পূর্ণ করতে হবে। মান্নত পূর্ণ করা বা কসমের কাফফারা যেকোনো একটিকে ঐ ব্যক্তি গ্রহণ করতে পারবে। কেননা এটা কসমের অর্থে চলে যাবে। যদি কসমের কাফফারা আদায় করা হয়, তাহলে চিরস্থায়ী ঐ বিষয় থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

مأخَذُ الفَتوی
كما في تنقيح الفتاوى الحامدية: نعم اذا كان النذر معلقا بشرط لا يريده فهو مخير بين الوفاء بالمنذور او كفارة اليمين على المذھب کما في التنوير و في الدرر وبه يفتي و عليه الفتوى لكثرة البلوي وفي الهداية لأن فيه معنی اليمين وھذا التفصيل ھو الصحيح اھ(86/1)
وفي الدر: (ثم ان)المعلق فيه تفصیل فان(علقه بشرط یريده كان قدم غائبي)أو شفی مریضی(یوفی)وجوبا(إن وجد)الشرط(و)إن علقه(بما لم يرده كان زينت بفلانة)مثلاً فحنث،(وفى)بنذره(أو كفر)ليمينه(علی المذھب) لانه نذر بظاہرہ یمین بمعناه فيخير ضرورة اھ (738/3)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (34 points)
(কসমের ধারাবাহিক তিনটি কাফফারার প্রথমটি হল,১০জন মিসকিনকে সকাল-বিকাল দু'বেলা খাদ্য খাওয়ানো বা বস্ত্র পরিধান করানো।খাওয়ানো পড়ানো সম্ভব না হলে,১০জনের প্রত্যেকজনকে একটি ফিতরা সমপরিমাণ টাকা দিলেই কাফফারা আদায় হয়ে যাবে।দ্বিতীয়ত একজন গোলাম আযাদ করা।তৃতীয়ত ধারাবাহিক তিনটি রোযা রাখা।)

কসমের কাফফারার ক্ষেত্রে এই তিনটির সবগুলো আদায় করতে হবে নাকি যেটি করা সম্ভব সেটি করলে হবে?


by (597,330 points)
প্রথমে প্রথমটি তথা ১০ জন মিসকিনকে খাওয়াবেন। অথবা টাকা দিয়ে দিবেন। যদি সেটা অসম্ভব হয়, তাহলে গোলাম আযাদ,সেটা যেহেতু সম্ভব নয়, তাই তিনটি রোযা রাখতে হবে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...