وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
আপনি যেখান থেকে দেশের বাড়ি আসছিলেন,পথের দুরত্ব কি ৭৮+ কিলোমিটার ছিলো?
যদি পথের দুরত্ব কি ৭৮+ কিলোমিটার হয়ে থাকে,সেক্ষেত্রে নিজ শহরের আসার আগে আসরের নামাজ আদায় করলে কসর আদায় করতে হবে।
পথের দূরত্ব এর চেয়ে কম হলে কসর আদায় করতে পারবেননা।
★পূর্বে না জানার কারণে সফরে থাকার সময় যে সমস্ত সালাত কসর না করে সম্পূর্ণ আদায় করতেন, ঐ সালাতগুলোর ২য় রাকাতে কি আপনি বৈঠক করেছিলেন?
ঐ সালাতগুলোর ২য় রাকাতে বৈঠক করে থাকলে আপনার নামাজ গুলি আদায় হয়ে গিয়েছে। পুনরায় আদায় করতে হবেনা।
ঐ সালাতগুলোর ২য় রাকাতে বৈঠক না করে থাকলে আপনি সেই নামাজ গুলি কসর হিসেবেই কাজা আদায় করে নিবেন।
এ সংক্রান্ত আরো জানুনঃ-
(০২)
মিথ্যা কথা বলা শরীয়ত অনুমোদিত নয়।
নিঃসন্দেহে মিথ্যা বলা হারাম।
শরিয়তে সত্যকে সর্বত্রই উৎসাহিত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, সত্য মুক্তি দেয়, মিথ্যা ধ্বংস আনে।
তবে যে কোনো পরিস্থিতিতে সত্য বলাই শরিয়তের মৌল দর্শনের দাবি।
পবিত্র কুরআন শরিফে এসেছে
لَّعْنَتَ اللَّهِ عَلَى الْكَاذِبِينَ [٣:٦١
তাদের প্রতি আল্লাহর অভিসম্পাত করি যারা মিথ্যাবাদী। {সূর আলেইমরান-৬১}
হাদিস শরিফে এসেছে,
সাফওয়ান ইবন সুলাইম বলেন,
قِيلَ لِرَسُولِ اللَّهِ ﷺ : أَيَكُونُ الْمُؤْمِنُ جَبَانًا ؟ فَقَالَ: ( نَعَمْ ) ، فَقِيلَ لَهُ: أَيَكُونُ الْمُؤْمِنُ بَخِيلًا؟ فَقَالَ: ( نَعَمْ ) ، فَقِيلَ لَهُ: أَيَكُونُ الْمُؤْمِنُ كَذَّابًا ؟ فَقَالَ: ( لَا )
রসুলুল্লাহ ﷺ -কে জিজ্ঞেস করা হয়েছে, মুমিন কি কাপুরুষ হতে পারে? তিনি উত্তর দিলেন, হ্যাঁ। জিজ্ঞেস করা হয়েছে, মুমিন কি কৃপণ হতে পারে। তিনি উত্তর দিলেন, হ্যাঁ। জিজ্ঞেস করা হয়েছে, মুমিন কি মিথ্যাবাদী হতে পারে? তিনি উত্তর দিলেন, না। (মুয়াত্তা মালিক ২/৯৯০) অর্থাৎ মুমিনের বিভিন্ন চারিত্রিক ত্রুটি থাকতে পারে, তবু সে মিথ্যা বলতে পারে না।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}