وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
মাযলুম যালিমের কাছ থেকে সীমালঙ্ঘন ব্যতীত প্রতিশোধগ্রহণ করতে পারবে বা প্রতিশোধের অপেক্ষায় থাকতে পারবে এতে তার কোন প্রকার গুনাহ হবেনা।এ সম্পর্কে আরোও শুনুন আল্লাহর তা'আলার বাণী.....
ﻭَﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺇِﺫَﺍ ﺃَﺻَﺎﺑَﻬُﻢُ ﺍﻟْﺒَﻐْﻲُ ﻫُﻢْ ﻳَﻨﺘَﺼِﺮُﻭﻥَ
যারা আক্রান্ত হলে প্রতিশোধ গ্রহণ করে।(৪২সূরা আশ শূরা-৩৯)
ﻭَﺟَﺰَﺍﺀ ﺳَﻴِّﺌَﺔٍ ﺳَﻴِّﺌَﺔٌ ﻣِّﺜْﻠُﻬَﺎ ﻓَﻤَﻦْ ﻋَﻔَﺎ ﻭَﺃَﺻْﻠَﺢَ ﻓَﺄَﺟْﺮُﻩُ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺇِﻧَّﻪُ ﻟَﺎ ﻳُﺤِﺐُّ ﺍﻟﻈَّﺎﻟِﻤِﻴﻦَ
আর মন্দের প্রতিফল তো অনুরূপ মন্দই। যে ক্ষমা করে ও আপোষ করে তার পুরস্কার আল্লাহর কাছে রয়েছে; নিশ্চয় তিনি অত্যাচারীদেরকে পছন্দ করেন নাই।(৪২/৪০)
ﻭَﻟَﻤَﻦِ ﺍﻧْﺘَﺼَﺮَ ﺑَﻌْﺪَ ﻇُﻠْﻤِﻪِ ﻓَﺄُﻭْﻟﺌِﻚَ ﻣَﺎ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢ ﻣِّﻦ ﺳَﺒِﻴْﻞٍ ، ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﺍﻟﺴَّﺒِﻴﻞُ ﻋَﻠَﻰْ ﺍﻟّﺬِﻳْﻦَ ﻳَﻈْﻠِﻤُﻮﻥَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱَ ﻭَﻳَﺒْﻐُﻮﻥَ ﻓِﻲْ ﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ﺑِﻐَﻴْﺮِ ﺍﻟْﺤَﻖّ ، ﺃُﻭْﻟﺌِﻚَ ﻟَﻬُﻢ ﻋَﺬَﺍﺏٌ ﺃَﻟِﻴﻢٌ
নিশ্চয় যে অত্যাচারিত হওয়ার পর প্রতিশোধ গ্রহণ করে, তাদের বিরুদ্ধেও কোন অভিযোগ নেই।
অভিযোগ কেবল তাদের বিরুদ্ধে, যারা মানুষের উপর অত্যাচার চালায় এবং পৃথিবীতে অন্যায়ভাবে বিদ্রোহ করে বেড়ায়। তাদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।(৪২/৪১-৪২)
আরো জানুনঃ
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
যদি কোন ব্যাক্তি অন্যায় ভাবে কাউকে অপমান কিংবা তাকে গালিগালাজ করে সেক্ষেত্রে মাজলুম ব্যাক্তি তাকে সীমালঙ্ঘন ব্যাতিত অপমান করতে পারবে। এতে তার গুনাহ হবেনা।
তবে সীমালঙ্ঘন করা জায়েজ হবেনা।
উল্লেখ্য, গালিগালাজ করা যেহেতু জায়েজ নেই,সুতরাং এমতাবস্থায় মাজলুম ব্যাক্তি গালি-গালাজ করতে পারবেনা।
হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «سِبَابُ المُسْلِمِ فُسُوقٌ، وَقِتَالُهُ كُفْرٌ
হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, মুসলমানকে গালি দেয়া ফাসেকী। আর তাকে হত্যা করা কুফরী। {বুখারী, হাদীস নং-৬০৪৪]
অন্য এক হাদীসে এসেছে-
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَرْبَعٌ مَنْ كُنَّ فِيهِ كَانَ مُنَافِقًا خَالِصًا، وَمَنْ كَانَتْ فِيهِ خَصْلَةٌ مِنْهُنَّ كَانَتْ فِيهِ خَصْلَةٌ مِنَ النِّفَاقِ حَتَّى يَدَعَهَا إِذَا اؤْتُمِنَ خَانَ وَإِذَا حَدَّثَ كَذَبَ وَإِذَا عَاهَدَ غَدَرَ، وَإِذَا خَاصَمَ فَجَرَ ". تَابَعَهُ شُعْبَةُ عَنِ الأَعْمَشِ.
‘আবদুল্লাহ ইব্নু ‘আম্র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ চারটি স্বভাব যার মধ্যে বিদ্যমান সে হচ্ছে খাঁটি মুনাফিক। যার মধ্যে এর কোন একটি স্বভাব থাকবে, তা পরিত্যাগ না করা পর্যন্ত তার মধ্যে মুনাফিকের একটি স্বভাব থেকে যায়। ১. আমানত রাখা হলে খিয়ানত করে; ২. কথা বললে মিথ্যা বলে; ৩. অঙ্গীকার করলে ভঙ্গ করে; এবং ৪. বিবাদে লিপ্ত হলে অশ্লীলভাবে গালাগালি করে। বুখারী, হাদীস নং- ৩৪
(০২)
মূলত ধোকা,ফাকিবাজি,অন্যায়, ইত্যাদি থেকে বাঁচার লক্ষ্যেই এসব ছবি নেয়া হয়।
আর ইসলামে ধোকা,ফাকিবাজি,অন্যায়, ইত্যাদি সবই নাজায়েজ।
সুতরাং ইসলামের ব্যবস্থা এমনই ছিলো যে ধোকা,ফাকিবাজি,অন্যায়, ইত্যাদি কোনোক্রমেই করবেনা,সুতরাং ছবি নেয়ারও প্রয়োজন হবেনা।
(০৩)
আল্লাহ তায়ালাই এর হাকীকত সম্পর্কে জানেন। আল্লাহ যা করছেন,তাহা মাথা পেতে মেনে নেয়াই মুমিন বান্দার কর্তব্য।