আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
34 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (12 points)
আসালামুআলাইকুম,
আমি কলেজে থাকতে ভুলে অন্য একজনের জুতা নিয়ে আসছিলাম । এবং আমার জুতাও অন্য একজন নিয়ে গেছিল।   পরবর্তীতে ফেরত দিতে গেলে যদি আমাকে চোর মনে করে এই ভয়ে আমি আর তা ফেরত দেই নাই। তখন না বুঝে অনেক দিন তা ব্যবহার করেছি। এই ঘটনার অনেক বছর  পেরিয়ে গেছে ওই জুতাও আমি ফেলে দিয়েছি। এখন আমার অনেক ভয় হচ্ছে আমি ওই জুতার মালিকের হক থেকে কিভাবে রক্ষা  পাব?জুতার  মালিক কে খুঁজে পাওয়া সম্ভব না।
২.ওই জুতা তখনকার মূল্য আনুমানিক  ৬০০ থেকে ৮০০ টাকার মত ছিল এখন আমি কি ১০০০ টাকার মতো দান করে দিলে হবে?

1 Answer

0 votes
by (682,440 points)
জবাবঃ- 
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم

শরীয়তের বিধান হলো  কারো নিকট বান্দার হক পাওনা থাকলে,প্রথমে উক্ত হক পরিশোধের জন্য সাধ্যমত চেষ্টা করতে হবে।সাধ্যমত চেষ্টা করার পরও যদি সেই হককে আদায় করা সম্ভব না হয়, তাহলে উক্ত প্রাপ্য হক্বকে সেই ব্যক্তির পক্ষ থেকে সদকাহ করে দিবে।এবং আল্লাহ তা'আলার নিকট খালিছ নিয়তে তাওবাহ করবে। আল্লাহ তা'আলা কারো প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে গেলে নিজ পক্ষ থেকে বান্দার হককে আদায় করে দিবেন।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

ﻭَﻟَﻤَﻦِ ﺍﻧْﺘَﺼَﺮَ ﺑَﻌْﺪَ ﻇُﻠْﻤِﻪِ ﻓَﺄُﻭْﻟﺌِﻚَ ﻣَﺎ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢ ﻣِّﻦ ﺳَﺒِﻴْﻞٍ ، ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﺍﻟﺴَّﺒِﻴﻞُ ﻋَﻠَﻰْ ﺍﻟّﺬِﻳْﻦَ ﻳَﻈْﻠِﻤُﻮﻥَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱَ ﻭَﻳَﺒْﻐُﻮﻥَ ﻓِﻲْ ﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ﺑِﻐَﻴْﺮِ ﺍﻟْﺤَﻖّ ، ﺃُﻭْﻟﺌِﻚَ ﻟَﻬُﻢ ﻋَﺬَﺍﺏٌ ﺃَﻟِﻴﻢٌ

নিশ্চয় যে অত্যাচারিত হওয়ার পর প্রতিশোধ গ্রহণ করে, তাদের বিরুদ্ধেও কোন অভিযোগ নেই।
অভিযোগ কেবল তাদের বিরুদ্ধে, যারা মানুষের উপর অত্যাচার চালায় এবং পৃথিবীতে অন্যায়ভাবে বিদ্রোহ করে বেড়ায়। তাদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।(৪২/৪১-৪২)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ الْمَقْبُرِيُّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ كَانَتْ لَهُ مَظْلَمَةٌ لأَخِيهِ مِنْ عِرْضِهِ أَوْ شَيْءٍ فَلْيَتَحَلَّلْهُ مِنْهُ الْيَوْمَ قَبْلَ أَنْ لاَ يَكُونَ دِينَارٌ وَلاَ دِرْهَمٌ إِنْ كَانَ لَهُ عَمَلٌ صَالِحٌ أُخِذَ مِنْهُ بِقَدْرِ مَظْلَمَتِهِ وَإِنْ لَمْ تَكُنْ لَهُ حَسَنَاتٌ أُخِذَ مِنْ سَيِّئَاتِ صَاحِبِهِ فَحُمِلَ عَلَيْهِ

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সম্ভ্রমহানি বা অন্য কোন বিষয়ে যুলুমের জন্য দায়ী থাকে, সে যেন আজই তার কাছ হতে মাফ করিয়ে নেয়, সে দিন আসার পূর্বে যে দিন তার কোন দ্বীনার বা দিরহাম থাকবে না। সে দিন তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার যুলুমের পরিমাণ তা তার নিকট হতে নেয়া হবে আর তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার প্রতিপক্ষের পাপ হতে নিয়ে তা তার উপর চাপিয়ে দেয়া হবে।
(বুখারী শরীফ ২৪৪৯.৬৫৩৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৮৭)

বিস্তারিত জানুনঃ 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যেভাবেই হোক,জুতার মালিকের ঠিকানা বা মোবাইল নাম্বার ইত্যাদি জোগাড় করে নিবেন।

প্রয়োজনে কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
আশা করি তারা আপনাকে তার ঠিকানা/তাকে খুজে পেতে সহায়তা করবেন।

এরপর সরাসরি তার সাথে সাক্ষাৎ করতে পারেন অথবা আপনি তার বিকাশ/নগদ/রকেট ইত্যাদি  একাউন্টে টাকাটি পাঠাতে পারেন,অথবা  তার মোবাইল নাম্বারে ফ্ল্যাক্সিলোড করে দিতে পারেন,অথবা তার ব্যাংক একাউন্টে টাকাটি পাঠাতে পারেন।

শত চেষ্টার পরের তার ঠিকানা/মোবাইল নাম্বার জোগাড় করতে না পারলে সমপরিমাণ টাকা জুতার মালিকের ছওয়াবের নিয়তে আপনি দান করে দিবেন।

★এক্ষেত্রে ৮০০ টাকা দান করলেই হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (12 points)
১০ বছর আগের কথা এখন তো কলেজে গেলেও পাওয়া যাবে না আমি কি তাহলে দান করে দিলেই হবে???যদিও আমি কলেজের  ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়েছি।এখান থেকে রিপ্লাই পাই পাচ্ছি না  
by (682,440 points)
কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করুন।
এক্ষেত্রে ঐ ছাত্রের ভর্তি ফরম বা তার অন্য কোনো কাগজের সহায়তা নিয়ে আপনি তার খোজ পাবেন,ইনশাআল্লাহ। 

এভাবে চেষ্টার পরেও খোজ না পেলে সেক্ষেত্রে সমপরিমাণ টাকা জুতার মালিকের ছওয়াবের নিয়তে আপনি দান করে দিবেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...