উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,প্রথমেই আমরা কিছু তথ্য জেনে নেইঃ
ইসলামী দৃষ্টিতে স্বপ্ন তিন প্রকার।
,
১. যা আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দাহকে দেখানো হয় যা কল্যানকর হয়।
২. শয়তানের পক্ষ হতে দেখানো হয় যাতে মানুষ খারাপ, মন্দ ভয়ংকর কিছু দেখে থাকে।
তবে শয়তান স্বপ্ন দেখানোর দ্বারা মানুষের কোন ক্ষতি করতে পারেনা।
,
ভয়ংকর স্বপ্ন দেখলে দুশ্চিন্তার কোন কারন নেই। শয়তান মানুষকে দুশ্চিন্তায় ফেলার জন্যই এমন সব আজব আজব জিনিস দেখায়। এমনটা দেখলে ঘুম থেকে জেগে বাম দিকে থুথু ফেলে আস্তাগফিরুল্লাহ বলতে হয়।
৩. মানুষের কল্পনা। অর্থাৎ মানুষ যা কল্পনা করে স্বপ্নে তা দেখতে পায়।
,
★মানুষ কোনোভাবেই গায়েব জানতে পারেনা।
আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
قُلْ لَا يَعْلَمُ مَنْ فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ الْغَيْبَ إِلَّا اللَّهُ وَمَا يَشْعُرُونَ أَيَّانَ يُبْعَثُونَ
অর্থ: (হে নবী) আপনি বলুন! আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া আসমান-যমীনে অন্য কেউ অদৃশ্যের জ্ঞান রাখেনা। এবং তারা জানে না কখন তারা উত্থিত হবে। (সূরা নামল, আয়াত-৬৫)
قُلْ لَا أَقُولُ لَكُمْ عِنْدِي خَزَائِنُ اللَّهِ وَلَا أَعْلَمُ الْغَيْبَ وَلَا أَقُولُ لَكُمْ إِنِّي مَلَكٌ إِنْ أَتَّبِعُ إِلَّا مَا يُوحَى إِلَيَّ
অর্থ: (হে নবী) আপনি বলুন! আমি তোমাদেরকে বলি না যে, আমার নিকট আল্লাহর ধন-ভান্ডার রয়েছে। এবং আমি গায়েব জানি না, এবং আমি তোমাদের এটাও বলিনা যে, আমি একজন ফেরেশতা। আমার নিকট যা প্রত্যাদেশ হয় আমি কেবল তারই অনুসরন করি। (সুরা আন‘আম, আয়াত- ৫০)
إِنَّ اللَّهَ عِنْدَهُ عِلْمُ السَّاعَةِ وَيُنَزِّلُ الْغَيْثَ وَيَعْلَمُ مَا فِي الْأَرْحَامِ وَمَا تَدْرِي نَفْسٌ مَاذَا تَكْسِبُ غَدًا وَمَا تَدْرِي نَفْسٌ بِأَيِّ أَرْضٍ تَمُوتُ إِنَّ اللَّهَ عَلِيمٌ خَبِيرٌ
অর্থ: কিয়ামতের জ্ঞান কেবল আল্লাহরই রয়েছে। তিনি বারি বর্ষণ করেন, এবং তিনি জানেন জরায়ুতে কী রয়েছে। কেউ জানে না আগামীকাল সে কী অর্জন করবে। এবং কেউ জানে না কোন স্থানে তার মৃত্যু ঘটবে। নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা সর্বজ্ঞ, সর্ববিষয়ে অবগত । (সুরা আন‘আম, আয়াত- ৩৪)
,
সুরা রাদ এর ১১ নংং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন
لَہٗ مُعَقِّبٰتٌ مِّنۡۢ بَیۡنِ یَدَیۡہِ وَ مِنۡ خَلۡفِہٖ یَحۡفَظُوۡنَہٗ مِنۡ اَمۡرِ اللّٰہِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ لَا یُغَیِّرُ مَا بِقَوۡمٍ حَتّٰی یُغَیِّرُوۡا مَا بِاَنۡفُسِہِمۡ ؕ وَ اِذَاۤ اَرَادَ اللّٰہُ بِقَوۡمٍ سُوۡٓءًا فَلَا مَرَدَّ لَہٗ ۚ وَ مَا لَہُمۡ مِّنۡ دُوۡنِہٖ مِنۡ وَّالٍ ﴿۱۱﴾
মানুষের জন্য তার সম্মুখে ও পশ্চাতে একের পর এক প্রহরী থাকে, তারা আল্লাহর আদেশে তার রক্ষণাবেক্ষণ করে। আল্লাহ অবশ্যই কোনো জাতির অবস্থা পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ না তারা নিজের অবস্থা নিজে পরিবর্তন করে। কোনো জাতি সম্পর্কে আল্লাহ যদি অশুভ কিছু ইচ্ছা করেন, তাহলে তা রদ হওয়ার নয়। তিনি ছাড়া তাদের কোনো অভিভাবক নেই।
[সুরা : রাদ, আয়াত : ১১
,
★মানুষের মনে অনেক ধরনের চিন্তা-ভাবনা জাগ্রত হয়। তাতে ভালো-মন্দ সব ধরনের চিন্তার সমাবেশ থাকে। ভালো চিন্তার পাশাপাশি জাগ্রত হয় মন্দ চিন্তা, আবার মন্দ চিন্তার পাশপাশি জাগ্রত হয় ভালো চিন্তা। ভালো আর মন্দ- এ দুটোর মধ্যে বাধে সংঘর্ষ অর্থাৎ বাহাছ-বিতর্ক। তাতে কখনও ভালো চিন্তার পক্ষ বিজয়ী হয় আবার কখনো বিজয়ী হয় মন্দ চিন্তার পক্ষ। যে পক্ষ বিজয়ী হয় শেষতক সে চিন্তা অনুসারেই ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট কর্ম সম্পাদনে অগ্রসর হয়।
.
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, প্রশ্নে উল্লেখিত বিষয় সম্পূর্ণ আপনার মনের ধারনা।
এটি বাস্তবতার সাথে মিলে নেই।
যদি তা আসলেই আগে ঘটে থাকে,তাহলে তো সেটা হয়েছিলই,সেটি তো তাহলে গায়েব জানা হলোনা।
,
কারন কিছু মানুষ এই রোগে আছে,তারাও এমনটি বলে যে মনে হয় একাজটি আগে করেছিলাম,অথচ ১০০% সত্য যে সে এমন কোনো কাজই করেনি।
,
সুতরাং আসলেই এটি একটি ভ্রান্ত ধারনা যে আমি উক্ত বিষয় আগে থেকেই জানি।