ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
(১)
নামায কাযা হওয়ার দু'টি সূরত হতে পারে যথাঃ-
(প্রথমত)
অনিচ্ছাকৃত নামায কাযা হয়ে যাওয়া।তথা শরয়ী কোনো উযরে নামায কাযা হয়ে যাওয়া।যেমন, ভূলে বা সঠিক সময়ে নামায পড়ার আখাঙ্কা থাকার পরও ঘুমের কারণে নামায কাযা হয়ে যাওয়া।এমতাবস্থায় সর্বসম্মতিক্রমে ঐ ব্যক্তির উপর স্বরণ হওয়া মাত্রই কাযা পড়া ওয়াজিব।এর প্রমাণ হল নিম্নোক্ত হাদীস-ফজরের নামাযের সময়ে রাসূলুল্লাহ সাঃ সহ সাহাবায়ে কেরাম রাযি এর ঘুমের কিচ্ছা সম্ভলিত বর্ণনা। যখন সাহাবায়ে কেরাম ঘুম থেকে উঠার পর পরস্পর কানে কানে বলেছিলেন-
ٍ" ﻣَﺎ ﻛَﻔَّﺎﺭَﺓُ ﻣَﺎ ﺻَﻨَﻌْﻨَﺎ ﺑِﺘَﻔْﺮِﻳﻄِﻨَﺎ ﻓِﻲ ﺻَﻼﺗِﻨَﺎ " ﻓﻘَﺎﻝَ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ : " ﺃَﻣَﺎ ﺇِﻧَّﻪُ ﻟَﻴْﺲَ ﻓِﻲ ﺍﻟﻨَّﻮْﻡِ ﺗَﻔْﺮِﻳﻂٌ ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﺍﻟﺘَّﻔْﺮِﻳﻂُ ﻋَﻠَﻰ ﻣَﻦْ ﻟَﻢْ ﻳُﺼَﻞِّ ﺍﻟﺼَّﻼﺓَ ﺣَﺘَّﻰ ﻳَﺠِﻲﺀَ ﻭَﻗْﺖُ ﺍﻟﺼَّﻼﺓِ ﺍﻷُﺧْﺮَﻯ ﻓَﻤَﻦْ ﻓَﻌَﻞَ ﺫَﻟِﻚَ ﻓَﻠْﻴُﺼَﻠِّﻬَﺎ ﺣِﻴﻦَ ﻳَﻨْﺘَﺒِﻪُ ﻟَﻬَﺎ ."
আমরা আমাদের নামায সম্পর্কে যে সীমালঙ্ঘন করেছি,সম্ভবত সেটা কোনো কাফফারা হবে না।তখন রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন, ঘুমের মধ্যে কোনো সীমালঙ্ঘন নেই।সীমালঙ্ঘন তো হল সেই ব্যক্তির ব্যাপারে যে নামায পড়ল না অথচ আরেকটি নামাযের ওয়াক্ত তার সামনে চলে আসল।সুতরাং যে ব্যক্তি নামাযের সময়ে ঘুমিয়ে থাকবে, যখনই সে জাগ্রত হবে তখনই যেন সে নামাযকে পড়ে নেয়।(সহীহ মুসলিম-৬৮১)
এ হাদীসের এ অর্থ নয় যে,মানুষ ইচ্ছা করে ঘুমিয়ে যাবে,এবং তার নামায ছুটে যাবে।অতঃপর সে ঘুমকে উযর হিসেবে সাব্যস্ত করবে।অর্থাৎ নামাযের জন্য অন্তরায় মূলকরকোনো কাজকে সে বেছে নিবে,অতঃপর সে উক্ত কাজকে উযর হিসেবে পেশ করবে।বরং মানুষের উপর ওয়াজিব যে,নামাযের সহায়ক সকল প্রকার আসবাবকে সে যথাসাধ্য গ্রহণ করবে।যেমন উপরোক্ত ঘটনায় রাসূলুল্লাহ সাঃ নামাযের সহায়ক যথাসাধ্য ব্যবস্থা করেছিলেন। কেননা সে ঘটনায় আমরা জানতে পেরেছি যে, রাসূলুল্লাহ সাঃ একজন কে রাত্রে পাহারাদারি সহ ফজরের সময়ে জাগানোর দায়িত্ব দিয়েছিলেন।কিন্তু সেই ব্যক্তির চোখে প্রচন্ড রকমের ঘুম চলে আসার ধরুণ তিনি কাউকে জাগাতে পারেননি।সুতরাং এমন অবস্থায় লোকজন মা'যুর(শরীয়ত অনুমোদিত অপারগ) হিসেবে গণ্য হবে।
(দ্বিতীয়ত)
ইচ্ছাকৃত নামাযকে ছেড়ে দেওয়া। এটা হল অনেক বড় গুনাহ এবং মারাত্মক অন্যায়। এমনকি অনেক উলামায়ে কেরাম একে কুফরি বলেও ফাতাওয়া প্রদাণ করেছেন।(মাজ'মু ফাতাওয়া ওয়া মাক্বালাত-১০/৩৭৪)সমস্ত উলামায়ে কেরামের ঐক্যমতে এমন ব্যক্তির উপর তাওবাহ করা ওয়াজিব।
উক্ত ইচ্ছাকৃত ছেড়ে দেওয়া নামাযকে কি কাযা করা ওয়াজিব?
এ সম্পর্কে উলামায়ে কেরামদের মতপার্থক্য রয়েছে- ঐ ব্যক্তির কাযা নামায কি এই মূহুর্তে কবুল হবে যদি সে কাযা করে নেয়? না কি কবুলই হবে না?
অধিকাংশ উলামায়ে কেরামের অভিমত হল যে, সে উক্ত নামাযকে কাযা করে নিবে,কাযা করার ধরুণ তার পক্ষ্য থেকে সেই নামায আদায় হয়ে যাবে, যদিও সে এক্ষেত্রে ইচ্ছাকৃতভাবে নামাযকে ছেড়ে দেওয়ার ধরুণ গোনাহগার হবে।তবে তাওবাহ করে নিলে তার ঐ গোনাহও(ইচ্ছাকৃত ছেড়ে দেওয়ার গোনাহ) মাফ হয়ে যাবে।(আল্লাহ ভালো জানেন)(ইবনে উছাইমিন-শরহুল মুমতি'-২/৮৮)
ইবনে তাইমিয়্যাহ রাহ বলেন,
" ﻭﺗﺎﺭﻙ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﻋﻤﺪﺍ ﻻ ﻳﺸﺮﻉ ﻟﻪ ﻗﻀﺎﺅﻫﺎ ، ﻭﻻ ﺗﺼﺢ ﻣﻨﻪ ، ﺑﻞ ﻳﻜﺜﺮ ﻣﻦ ﺍﻟﺘﻄﻮﻉ ، ﻭﻫﻮ ﻗﻮﻝ ﻃﺎﺋﻔﺔ ﻣﻦ ﺍﻟﺴﻠﻒ ".
এমন ব্যক্তির পক্ষ্য থেকে কাযা নেই।এমনকি সে কাযা করে নিলেও তার পক্ষ্য থেকে কাযা কবুল হবে না।বরং এক্ষেত্রে তার দায়িত্ব হল সে কাযা না করে বেশী বেশী করে নফল নামায পড়বে।(আল-এখতিয়ারাত-৩৪)
সালাফদের একাংশের ও এ অভিমত।তাদের দলীল হল, রাসূলুল্লাহ সাঃ এর যুগে ইচ্ছাকৃত ছেড়ে দেওয়া নামাযের কাযা করার কোনো প্রচলন ছিলনা।
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
এখন আমরা কাযা নামায পড়া সম্পর্কে যুগশ্রেষ্ট ফুকাহায়ে কেরামদের অভিমত জানবো।যথাঃ-
(ক)
হানাফি মাযহাবের সুপ্রসিদ্ধ আলেম আল্লামা ইবনে নুজাইম রহ লিখেন-
فالاصل فيه ان كل صلاة فاتت عن الوقت بعد ثبوت وجودها فيه ،فإنه يلزم قضاؤها،سواء ترك عمدا أو سهوا أو بسبب نوم،وسواء كانت الفوائت قليلة أو كثيرة ،
'এক্ষেত্রে মূলনীতি হল,প্রত্যেক ওই নামায ওয়াজিব হওয়ার পর যা ইচ্ছায় অনিচ্ছায়,ভুলক্রমে কিংবা নিদ্রায় যাওয়ার কারণে ছুটে গেছে এবং যথাসময়ে যা আদায় করা সম্ভবপর হয় নাই, তা কাযা করা অপরিহার্য।ছুটে যাওয়া নামায সংখ্যায় কম হোক বা বেশী। (আল-বাহরুর রায়েক-২/১৪১)
(খ)
ইমাম মালেক রাহ বলেন,
حتي يأتي على جميع ما نسى أو ترك
যে ব্যক্তির অনেক নামায কাযা হয়েছে,সে তার সকল কাযা নামায পড়বে।এমনকি সে তার ভুলক্রমে বা স্বেচ্ছায় ছেড়ে দেওয়া সকল নামাযেরই কাযা করবে।(আল-মুদাউওয়ানাতুল কুবরা-১/২১৫)
(গ)
ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রাহ এর একান্ত বিশ্বস্ত বর্ণনাকারী অাল্লামা মুরদাবী রাহ কাযা নামায সম্পর্কে হাম্বলী মাযহাবের ভাষ্যকে এভাবে লিখেন-
و من فاتته صلوات لزمه قضاؤها على الفور
যার অনেক নামায ছুটে গেছে তার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে এসব নামায কাযা করা ওয়াজিব।(আল-ইনসাফ-১/৪৪২)
(ঘ)
ইমাম শাফেয়ী এর মাযহাব হল-
(من فاتته) مكتوبة فأكثر (قضى) ما فاته بعذر أو غيره
যে ব্যক্তির এক বা একাধিক ফরয নামায ছুটে গেছে,তার জন্য তার ছুটে যাওয়া নামাযগুলোর কাযা করে নেয়া জরুরী।কোনো ওজরের কারণে ছুটে থাকুক বা বিনা ওজরে ছুটুক।ফাতহুল জাওওয়াদ-১/২২৩
(ঙ)
স্বয়ং ইবনে তাইমিয়্যাহ রাহ থেকেও উমুরী কাযার বর্ণনা পাওয়া যায়-
ومن عليه فائتة فعليه ان يبادر إلى قضاءها على الفور سواء فائته عمدا أو سهوا عند جمهور العلماء،كمالك وأحمد و أبي حنيفة و غيرهم،
' যে ব্যক্তির দায়িত্বে কোনো কাযা নামায রয়েছে,তার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে ওই কাযা নামায আদায় করে নেয়া ওয়াজিব।সে ওই নামায ইচ্ছাকৃতভাবে কাযা করে থাকুক কিংবা ভুলক্রমে।এটিই জুমহুর ফুকাহা, ইমাম মালিক (রহ), ইমাম আহমদ (রহ), ইমাম আবু হানিফা (রহ) এর অভিমত(ফাতাওয়া শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যাহ-২৩/২৫৯)
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
গ্রহণযোগ্য চার মাযহাবের সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত এবং স্বয়ং ইবনে তাইমিয়্যাহ (রহ) এর অভিমতের আলোকে আমরা এ সিদ্ধান্তে-ই পৌছতে সক্ষম হবো যে,
কুরআন-হাদীসের দৃষ্টিতে উমুরী কাযা প্রমাণিত রয়েছে। উমুরী কাযা করা যাবে। এবং যাদের দরকার তাদেরকে করতেই হবে।শুধুমাত্র তাওবাহ নামাযের জন্য বিকল্প হবে না।বরং তাওবাহর সাথে সাথে উমুরী কাযাও করতে হবে।
হযরত শাহ আব্দুল আযীয রহ এর উল্লেখিত ভাষ্যে উমরী কাযার যেসব বর্ণনাকে জাল সাব্যস্ত করা হয়েছে,তার দ্বারা ওইসব বর্ণনাই উদ্দেশ্য যেসব বর্ণনায় একটিমাত্র বা কয়েকটি নামাযকে পুরো জিন্দেগীর কাযা নামাযের স্থলাভিষিক্ত সাব্যস্ত করা হয়েছে।(ফেকহী মাক্বালাত-৪/৩১)
ক্বাযা নামায পড়ার গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-349
উমুরী কাযা নামায পড়ার নিয়ম
নামায হয়তো কারো এক ওয়াক্ত কাযা হতে পারে,আবার কখনো কয়েক ওয়াক্ত কাযা হয়ে যেতে পারে।কারোর বা অনেক অনেক ওয়াক্ত কাযা হয়ে যেতে পারে।যদি কারো জীবনে অনেক অনেক ওয়াক্ত নামায কাযা হয়ে যায় তাহলে তার সারা জীবনের সকল নামাযকে উমুরী কাযা বলে।
ইবনে আবেদীন শামী রাহ কাযা নামায পড়ার নিয়ম এভাবে দিয়েছেন যে,
ﻭﻓﻰ ﺍﻟﺪﺭ ﺍﻟﻤﺨﺘﺎﺭ - ﻛَﺜُﺮَﺕْ ﺍﻟْﻔَﻮَﺍﺋِﺖُ ﻧَﻮَﻯ ﺃَﻭَّﻝَ ﻇُﻬْﺮٍ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺃَﻭْ ﺁﺧِﺮَﻩُ،
ﻭﻗﺎﻝ ﺍﺑﻦ ﻋﺎﺑﺪﻳﻦ ﺍﻟﺸﺎﻣﻰ – ( ﻗَﻮْﻟُﻪُ ﻛَﺜُﺮَﺕْ ﺍﻟْﻔَﻮَﺍﺋِﺖُ ﺇﻟَﺦْ ) ﻣِﺜَﺎﻟُﻪُ : ﻟَﻮْ ﻓَﺎﺗَﻪُ ﺻَﻠَﺎﺓُ ﺍﻟْﺨَﻤِﻴﺲِ ﻭَﺍﻟْﺠُﻤُﻌَﺔِ ﻭَﺍﻟﺴَّﺒْﺖِ ﻓَﺈِﺫَﺍ ﻗَﻀَﺎﻫَﺎ ﻟَﺎ ﺑُﺪَّ ﻣِﻦْ ﺍﻟﺘَّﻌْﻴِﻴﻦِ ﻟِﺄَﻥَّ ﻓَﺠْﺮَ ﺍﻟْﺨَﻤِﻴﺲِ ﻣَﺜَﻠًﺎ ﻏَﻴْﺮُ ﻓَﺠْﺮِ ﺍﻟْﺠُﻤُﻌَﺔِ، ﻓَﺈِﻥْ ﺃَﺭَﺍﺩَ ﺗَﺴْﻬِﻴﻞَ ﺍﻟْﺄَﻣْﺮِ، ﻳَﻘُﻮﻝُ ﺃَﻭَّﻝَ ﻓَﺠْﺮٍ ﻣَﺜَﻠًﺎ، ﻓَﺈِﻧَّﻪُ ﺇﺫَﺍ ﺻَﻠَّﺎﻩُ ﻳَﺼِﻴﺮُ ﻣَﺎ ﻳَﻠِﻴﻪِ ﺃَﻭَّﻟًﺎ ﺃَﻭْ ﻳَﻘُﻮﻝُ ﺁﺧِﺮَ ﻓَﺠْﺮٍ، ﻓَﺈِﻥَّ ﻣَﺎ ﻗَﺒْﻠَﻪُ ﻳَﺼِﻴﺮُ ﺁﺧِﺮًﺍ، ﻭَﻟَﺎ ﻳَﻀُﺮُّﻩُ ﻋَﻜْﺲُ ﺍﻟﺘَّﺮْﺗِﻴﺐِ ﻟِﺴُﻘُﻮﻃِﻪِ ﺑِﻜَﺜْﺮَﺓِ ﺍﻟْﻔَﻮَﺍﺋِﺖِ . ( ﺭﺩ ﺍﻟﻤﺤﺘﺎﺭ، ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺼﻼﺓ، ﺑﺎﺏ ﻗﻀﺎﺀ ﺍﻟﻔﻮﺍﺋﺖ - 2/538
ভাবানুবাদঃ-উমুরী কাযা নামায আদায় করতে হলে প্রথমে কোন ওয়াক্তের কতটা নামায কাযা হয়েছে তা নির্ণয় করবে।যদি সেটা নির্ণয় করা সম্ভব না হয়। তাহলে অনুমান করে নিবে। অনুমান করে কোন ওয়াক্তের কতটি নামায কাযা হয়েছে সেটা নির্ধারণ করে নিবে।তারপর ধারাবাহিকভাবে একে একে সবগুলোকে আদায় করে নিবে।যেমনফজরের নামায সর্বমোট ১০০ ওয়াক্তের কাযা হয়েছে। তখন কাযা নামায আদায় করার সময় এভাবে নিয়ত করবে যে, আমার জিম্মায় যত ফজরের নামায কাযা রয়েছে, সে অনাদায়কৃত নামায সমূহের মধ্য থেকে প্রথম ফজরের নামাযকে এখন কাযা আদায় করছি” এমন নিয়তে নামায আদায় করবে।এভাবে হিসেবে করে পড়তে থাকবে। প্রতিবার অনাদায়কৃত প্রথম ফজরের নামায বলার দ্বারা তার যিম্মায় যতগুলো নামায বাকি ছিলো, সেগুলোর প্রথম নামাযের নিয়ত হচ্ছে, তাই এক্ষেত্রে নিয়তটি নির্দিষ্ট নামাযেরই হচ্ছে।ঠিক উল্টোভাবেও করা যায়। অর্থাৎ যত নামায কাযা আছে তার সর্বশেষ অনাদায়কৃত কাযার নিয়ত করছি। এভাবেও পূর্বোক্ত পদ্ধতিতে বাকি নামাযের কাযা আদায় করা যাবে।(রদ্দুল মুহতার-২/৫৩৮)এ
ধারাবাহিকতায় বাকি নামায সমূহের ক্বাযা আদায় করবে।
যোহর, আছর, মাগরিব, ইশা এবং সাথে বিতিরের নামাযকে ও এভাবেই আদায় করে নিবে।বিতিরের নামাযের ক্বাযা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- 629 একদিনে যত দিনের ইচ্ছে কাযা আদায় করা যাবে। কোন সমস্যা নেই।
(২)
ফজর এবং আছরের নামাযের পর কাযা নামায পড়া যাবে।তবে নফল পড়া যাবে না বরং মাকরুহ হবে।(ফাতাওয়ায়ে দারুল উলূম দেওবন্দ-৪/২৪৪)