আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় হুজুর! আমার প্রশ্ন হলো, গরু ছাগলের কৃত্রিম প্রজনন জায়েজ হবে কী? এবং এর বিনিময় গ্রহণ বৈধ হবে কিনা?
নাম : মোঃ কাইয়ুম শেখ
ঠিকানা : গাবসারা, ভূয়াপুর, টাঙ্গাইল
13/10/22
উত্তর :
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
“কৃত্রিম” কথাটি বলতে আমরা বুঝি গবেষণাগারে প্রস্তুতকৃত মানুষের কিছু নতুন উদ্ভাবন । আর “কৃত্রিম প্রজনন” বলতে বোঝায় ভিন্ন জাতের ব্রিড থেকে উন্নত বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন নতুন জাত উদ্ভাবন; যা আগের থেকে অধিক ফলন দিয়ে থাকে এবং ব্যবসায় সূদুরপ্রসারী ভূমিকা পালন করে। আর গরু ছাগলের কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতি বলতে উন্নত জাতের ষাঁড় ও পাঠা থেকে সরাসরি বীজ সংগ্রহ করে গবেষণাগারে বিশেষ প্রক্রিয়ায় সংরক্ষণ করা হয়। পরবর্তীতে গাভী বা পাঠি বান ডাকার পর উক্ত বীজ দিয়ে কৃত্রিমভাবে গাভী বা পাঠিকে প্রজনন করা হয়। মূলত উন্নত জাতের ষাঁড় ও গাভী এবং উন্নত জাতের পাঠা ও পাঠির মধ্যে সমন্বয় ঘটিয়ে উন্নত বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন জাত উৎপন্ন করাকেই কৃত্তিম প্রজনন বলে।
উক্ত পদ্ধতিতে গাভী ও পাঠিসহ অন্য সকল প্রাণীই প্রজনন করা জায়েয এবং ডাক্তারের জন্য এ কাজের বিনিময় নেওয়াও বৈধ। কারণ, গৃহপালিত প্রাণীসহ পৃথিবীর সকল প্রাণী আল্লাহ তা‘আলা মানুষের কল্যাণের জন্য সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন,
هُوَ الَّذِي خَلَقَ لَكُمْ مَا فِي الأرْضِ جَمِيعًا
অর্থ : তিনিই যমীনে যা আছে সব তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন। [সুরা বাকারা : আয়াত-29]
আর গাভীও একটি কল্যাণকর পশু। কাজেই গবাদী পশুর উন্নয়নের লক্ষ্যে যে কোন উন্নতমানের প্রজনন পদ্ধতি গ্রহণ করা যাবে।
والله اعلم بالصواب
উত্তর প্রদানে
শাইখ মুফতি মুহাম্মাদ আল আমিন নূরী
মুহাদ্দিস, অনুবাদক, ব্যাখ্যাকার ও বহু গ্রন্থপ্রণেতা
খলিফা : কায়েদে মিল্লাত শাইখুল হাদিস আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরি রহ.
islamic online media (iom)