আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
110 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (10 points)
১) হায়েজ হলে তাফসীরে উসমানি ৩ খন্ডের কিতাবটি হাত দিয়ে ধরে পড়া যাবে?মানে কিতাবের যে পাতায় আরবি আছে সেটা না ধরে যাস্ট বাংলা অক্ষর গুলো ধরে এবং খালি জায়গা যেগুলো সেগুলো তে হাত দেওয়া যাবে?

পয়েন্ট টু বি নোটেডঃ আমি এখানে আসলি কিতাবের কথা বলেছি,মোবাইল অ্যাপের কথা বলিনি।

২)ওযু ছাড়া কিতাব ধরে পড়া যাবে? শুধু আরবিতে হাত না রেখে।

৩) ওযু ছাড়া পুরো তাফসীরে উসমানি একেবারে ধরা যাবে? মানে কোনো পৃঃ ধরা এমন নয়,পুরো কিতাবটি হাত দিয়ে একসাথে উঠিয়ে অন্য কোথাও রাখা বা অন্য কোথাও থেকে নিয়ে আসা।

৪)তাফসীরে উসমান কিতাসবটি পবিত্র বিছানায় রাখা যাবে? মানে কুরআনের মতো কোনো রেহেলে রাখার প্রয়োজন আছে কি?

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
কুরআনের তাফসীর সম্বলিত ঐ সব কিতাব যেগুলোর অধিকাংশ জুড়ে কুরআনের আয়াত রয়েছে, হায়েয অবস্থায় সেগুলোককে স্পর্শ করা জায়েয হবে না। হ্যা, স্পর্শ না করে শুধুমাত্র তাফসীর পড়ার রুখসত থাকবে।তবে যেগুলোর অধিকাংশ জুড়েই তাফসীর, সেগুলোকে হায়েয অবস্থায় স্পর্শ করা যাবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- 94627

তাফসীর দুই প্রকার। (১) শব্দে শব্দে অর্থ, এমন তাফসীরের কিতাবকে হায়েয অবস্থায় স্পর্শ করা যাবে না। (২) প্রত্যেকটি আয়াতের উদ্দেশ্য ও ব্যখ্যা যেই তাফসীর গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে, এমন তাফসীরের কিতাবকে হায়েয অবস্থায় স্পর্শ করা যাবে না।
"ولو كان القرآن مكتوبًا بالفارسية يكره لهم مسّه عند أبي حنيفة، وكذا عندهما على الصحيح، هكذا في الخلاصة." (الفتاوى الهندية (1/ 39)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) তাফসীরে উসমানি ৩ খন্ডের কিতাবটিকে হায়েয অবস্থায় হাত দিয়ে ধরে পড়া যাবে। অর্থাৎ কিতাবের যে পাতায় কুরআনের আয়াত বা হবহু তরজমা থাকবে,  সেটাকে স্পর্শ না করে শুধুমাত্র টিকা আকারে যেখানে তাফসীর লিপিবদ্ধ রয়েছে, সেখানে স্পর্শ করে অথবা খালি জায়গায় স্পর্শ করে পড়া যাবে। 

দারুল উলূম দেওবন্দ থেকে প্রকাশিত একটি ফাতাওয়ায় বলা হয় যে,
جواب نمبر: 162458
Fatwa:1036-901/B=11/1439
جی ہاں، معارف القرآن یا دیگر تفاسیر کو چھوسکتی ہے، جن تفسیروں میں قرآن کا حصہ کم اور تفسیر کا حصہ قرآن کی بہ نسبت زیادہ ہے تو ایسی تفسیر حائضہ عورت اپنے ایام حیض میں چھوسکتی ہے، بس یہ احتیاط ہونی چاہیے کہ بعینہ قرآنی آیات پر ہاتھ نہ پڑے

(২)হুহবু শাব্দিক অর্থ যেই তাফসীরের কিতাবে বর্ণিত রয়েছে, সেই কিতাবকে ওযু ছাড়া ধরে পড়া যাবে না। তবে বিশদ ব্যখ্যা জাতীয় তাফসীরের কিতাবকে পড়া যাবে।

(৩) ওযু ছাড়া পুরো তাফসীরে উসমানি তমকিতাকে  ধরা যাবে। পুরো কিতাবটি হাত দিয়ে একসাথে উঠিয়ে অন্য কোথাও রাখা বা অন্য কোথাও থেকে নিয়ে আসা যাবে। 

(৪)তাফসীরে উসমানি কিতাসবটি পবিত্র বিছানায় রাখা যাবে। তবে উত্তম হল, রেহেলের উপরে রাখা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...