ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
কুরআনের তাফসীর সম্বলিত ঐ সব কিতাব যেগুলোর অধিকাংশ জুড়ে কুরআনের আয়াত রয়েছে, হায়েয অবস্থায় সেগুলোককে স্পর্শ করা জায়েয হবে না। হ্যা, স্পর্শ না করে শুধুমাত্র তাফসীর পড়ার রুখসত থাকবে।তবে যেগুলোর অধিকাংশ জুড়েই তাফসীর, সেগুলোকে হায়েয অবস্থায় স্পর্শ করা যাবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
94627
তাফসীর দুই প্রকার। (১) শব্দে শব্দে অর্থ, এমন তাফসীরের কিতাবকে হায়েয অবস্থায় স্পর্শ করা যাবে না। (২) প্রত্যেকটি আয়াতের উদ্দেশ্য ও ব্যখ্যা যেই তাফসীর গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে, এমন তাফসীরের কিতাবকে হায়েয অবস্থায় স্পর্শ করা যাবে না।
"ولو كان القرآن مكتوبًا بالفارسية يكره لهم مسّه عند أبي حنيفة، وكذا عندهما على الصحيح، هكذا في الخلاصة." (الفتاوى الهندية (1/ 39)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) তাফসীরে উসমানি ৩ খন্ডের কিতাবটিকে হায়েয অবস্থায় হাত দিয়ে ধরে পড়া যাবে। অর্থাৎ কিতাবের যে পাতায় কুরআনের আয়াত বা হবহু তরজমা থাকবে, সেটাকে স্পর্শ না করে শুধুমাত্র টিকা আকারে যেখানে তাফসীর লিপিবদ্ধ রয়েছে, সেখানে স্পর্শ করে অথবা খালি জায়গায় স্পর্শ করে পড়া যাবে।
দারুল উলূম দেওবন্দ থেকে প্রকাশিত একটি ফাতাওয়ায় বলা হয় যে,
جواب نمبر: 162458
Fatwa:1036-901/B=11/1439
جی ہاں، معارف القرآن یا دیگر تفاسیر کو چھوسکتی ہے، جن تفسیروں میں قرآن کا حصہ کم اور تفسیر کا حصہ قرآن کی بہ نسبت زیادہ ہے تو ایسی تفسیر حائضہ عورت اپنے ایام حیض میں چھوسکتی ہے، بس یہ احتیاط ہونی چاہیے کہ بعینہ قرآنی آیات پر ہاتھ نہ پڑے
(২)হুহবু শাব্দিক অর্থ যেই তাফসীরের কিতাবে বর্ণিত রয়েছে, সেই কিতাবকে ওযু ছাড়া ধরে পড়া যাবে না। তবে বিশদ ব্যখ্যা জাতীয় তাফসীরের কিতাবকে পড়া যাবে।
(৩) ওযু ছাড়া পুরো তাফসীরে উসমানি তমকিতাকে ধরা যাবে। পুরো কিতাবটি হাত দিয়ে একসাথে উঠিয়ে অন্য কোথাও রাখা বা অন্য কোথাও থেকে নিয়ে আসা যাবে।
(৪)তাফসীরে উসমানি কিতাসবটি পবিত্র বিছানায় রাখা যাবে। তবে উত্তম হল, রেহেলের উপরে রাখা।