আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
120 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (15 points)
closed by
আসসালামু আলাইকুম।
শায়খ,
১. আমি তাফসীরে মারিফুল কুরআন পড়ছিলাম। সেখানে সূরা নাসরের তাফসীরে বলা হয়েছে যে, এই সূরাটি বিদায় হজের সময় তাসরিকের দিনগুলোর মাঝে মিনায় নাযিল হয়েছিল। আবার আরেকটি মতে এই সূরা মক্কা বিজয়ের আগে নাজিল হয়েছিল।
আমার প্রশ্ন হল, আমরা তো এই বর্ণনাগুলো সাহাবীদের থেকেই পেয়েছি। তাহলে বর্ণনা দুই রকম কেন.? এখানে কি বিষয়টা এমন নয় যে একটি বর্ণনায় সঠিক.?
তাফসীর বিষয়ে আমার দ্বিতীয় প্রশ্ন হল,
২. কোন একটি বিষয়ে একাধিক মত পাওয়া যায়, যেমন ফেরেশতাগণ যখন পিতা আদম আলাইহিস সালামকে সিজদা করলো। এই ব্যাপারে একজন আলিম বলেছিলেন, এই সিজদার একটি মত হল, আদম আলাইহিস সালামের শ্রেষ্ঠত্বের কারণে তাকে সম্মান প্রদর্শন করে ফেরেশতাগণ সিজদা করেছেন। আরেকটি মত হল, আমরা যেমন কাবার দিকে ফিরে সিজদা করে আল্লাহকে। ঠিক তেমনি কিবলা হিসেবে আদম আলাইহিস সালামকে আল্লাহতালা নিযুক্ত করেছিলেন, এবং ফেরেশতাগণ মূলত আল্লাহকে সিজদা করেছেন আদম আলাইহিস সালামের দিকে।

এই ক্ষেত্রে আমার প্রশ্ন হল, একই বিষয়ে দুই রকম মত কেন হয় মুফাসসিরগণের মাঝে.? এক্ষেত্রে কি দুটি মতই সঠিক.?


আমার দুইটি প্রশ্নের উত্তর বিস্তারিত জানালে আমার অন্তর প্রশান্ত হবে। আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা রইল।
closed

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
selected by
 
Best answer
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

ইজতিহাদ গত মতবিরোধ রাসুলুল্লাহ সাঃ এর যুগেও ছিলো।
,
আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত।

وَحَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَسْمَاءَ الضُّبَعِيُّ، حَدَّثَنَا جُوَيْرِيَةُ بْنُ أَسْمَاءَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ نَادَى فِينَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ انْصَرَفَ عَنِ الأَحْزَابِ " أَنْ لاَ يُصَلِّيَنَّ أَحَدٌ الظُّهْرَ إِلاَّ فِي بَنِي قُرَيْظَةَ " . فَتَخَوَّفَ نَاسٌ فَوْتَ الْوَقْتِ فَصَلُّوا دُونَ بَنِي قُرَيْظَةَ . وَقَالَ آخَرُونَ لاَ نُصَلِّي إِلاَّ حَيْثُ أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَإِنْ فَاتَنَا الْوَقْتُ قَالَ فَمَا عَنَّفَ وَاحِدًا مِنَ الْفَرِيقَيْنِ

তিনি বলেন, যখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আহযাবের (খন্দকের) যুদ্ধ থেকে প্রত্যাবর্তন করলেন, তখন তিনি আমাদের মাঝে ঘোষনা দিলেন যে, যতক্ষন না বনী কুরায়যার মহল্লায় গিয়ে পৌছবে কেউ যেন যুহরের সালাত আদায় না করে। তখন কিছু সংখ্যক লোক যুহরের সালাতের সময় চলে যাওয়ার ভয় করলেন। এবং তারা বনূ কুরায়যা গোত্রে পৌছার পর সালাত আদায় করলেন। আর অন্যরা বললেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে যে স্থানে সালাত আদায় করতে- বলেছেন সে স্থান ব্যতীত আমরা সালাত আদায় করব না, যদিও সময় চলে যায়। রাবী বলেন, এ ঘটনা শুনে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ দু’দলের কারো প্রতি রুঢ় কথা বলেন নি।(সহীহ মুসলিম-৪৪৫০)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
কুরআন কারীমের যেই বুঝ দ্বীনের হাকীকত এবং তার আহকাম জানার জন্য জরুরী ছিলো,তাহা রাসুলুল্লাহ সাঃ নিজের বানী এবং আমল দ্বারা দেখিয়ে দিয়ে গিয়েছেন।
কিন্তু একটি অংশ লোকদের চিন্তা ফিকির এর জন্য ছেড়ে দেয়া হয়েছে। যাতে করে মানুষ নিজে নিজে গবেষণা করে।

এই বিষয়ের মধ্যেই মূলত মতবিরোধ হয়। যাহা মানুষের চিন্তাভাবনার পার্থক্যের দরুন হতেই পারে,এটা স্বভাবগত বিষয়। 
এতে আশ্চর্যের কিছু নেই।

এক্ষেত্রে এটা বলার সুযোগ নেই যে একটিই সঠিক হবে,আর বাদ বাকী সবই ভূল।

বরং সবই সঠিক হতে পারে।

মূলত কুরআন হাদীসে স্পষ্ট কিছু না থাকার দরুন ইজতিহাদ করে এসব বিষয় নিয়ে মত উল্লেখ করার কারনে এসব মতবিরোধ হয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...