ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
সুদের লেনদেন পরিস্কার হারাম ও নাজায়েয। কেউ কখনো সুদের বিনিময়ে ঋণ নিয়ে নিলে অতিদ্রুত তার উচিৎ ঐ সুদের লেনদেন থেকে বেড়িয়ে আসা। সুদকে সুদ দ্বারা পরিশোধ করা ইসলামের কোনো নিয়মনীতি নেই। কেননা মন্দকে মন্দ দ্বারা দূর করা যায় না বরং মন্দকে ভালো দ্বারাই দূর করতে হয়।
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا يكْسب عبد مَال حرَام فتيصدق مِنْهُ فَيُقْبَلُ مِنْهُ وَلَا يُنْفِقُ مِنْهُ فَيُبَارَكُ لَهُ فِيهِ وَلَا يَتْرُكُهُ خَلْفَ ظَهْرِهِ إِلَّا كَانَ زَادَهُ إِلَى النَّارِ. إِنَّ اللَّهَ لَا يَمْحُو السَّيِّئَ بِالسَّيِّئِ وَلَكِنْ يَمْحُو السَّيِّئَ بِالْحَسَنِ إِنَّ الْخَبِيثَ لَا يَمْحُو الْخَبِيثَ» . رَوَاهُ أَحْمَدُ وَكَذَا فِي شرح السّنة
’আব্দুল্লাহ ইবনু মাস্’ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো বান্দা হারাম পথে উপার্জিত অর্থ-সম্পদ দান-সাদাকা করলে তা কবূল করা হবে না এবং (ঐ অর্থ-সম্পদ) নিজের কাজে ব্যবহার করলেও তাতে বরকত হবে না। আর ঐ অর্থ-সম্পদ তার উত্তরাধিকারীদের জন্য রেখে গেলে তা তার জন্য জাহান্নামের পুঁজি হবে। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা মন্দের দ্বারা মন্দ মিটিয়ে দেন না, তবে সৎকাজ দ্বারা মন্দকাজ নির্মূল করেন। কেননা অবশ্যই মন্দ মন্দকে মিটাতে পারে না। (মিশকাত-২৭৭১,আহমাদ ৩৬৭২, শারহুস্ সুন্নাহ্ ২৯৩০)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার সামর্থ্য থাকলে, আপনি নিজের কাছে উপস্থাত ভালো টাকা দ্বারা সেই মন্দকে দূর করবেন। যদি কোনো উপায় না থাকে, তাহলে প্রশ্নের বিবরণ মতে সুদের লেনদেন থেকে বেড়িয়ে আসার চেষ্টা করতে পারবেন। সুদি লেনদেনে জড়িত হওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে তাওবাহ ইস্তেগফার করবেন।