ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
لَا بَأْسَ بِأَنْ يَكُونَ بَيْنَ الْمُسْلِمِ وَالذِّمِّيِّ مُعَامَلَةٌ إذَا كَانَ مِمَّا لَا بُدَّ مِنْهُ
মুসলমান ও অমুসলমানের মধ্যে মু'আমালা তথা ক্রয়-বিক্রয় ও লেনদেন সংগঠিত হওয়াতে কোনো সমস্যা নাই ,যদি এছাড়া অন্য কোনো রাস্তা না থাকে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩৪৮)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
94704
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বাংলাদেশের পণ্য হোক বা কাফির দেশের পণ্য হোক, পণ্যটি হালাল হলে, এবং আপনার জরুরত থাকলে, আপনি সেই পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবেন। এতে কোনো সমস্যা হবে না। হ্যা, মুসলমান মালিকের পণ্য মানসম্মত হলে সেটাই আপনি ক্রয় করবেন, এটাই স্বাভাবিক নিয়ম। বিশেষ করে ইসরাঈলের পণ্যকে বর্জন করার কথা উলামাগণ এজন্য বলেন, যে তারা এ সব পণ্য থেকে অর্জিত মুনাফার একাংশকে ইসরাইলের সামরিক খাতে ব্যয় করে। এদ্বারা তারা নিরিহ ফিলিস্তিনি মুসলিমদের উপর বুলেট নিক্ষেপ করে।
দারুল উলূম দেওবন্দ, ফাতাওয়া বিভাগ থেকে প্রকাশিত একটি ফাতাওয়ায় বলা হয় যে,
سوال:کیا سگریٹ، بیڑی، پان مسالہ، گٹکھا، چیونگ گم، سوفٹ ڈرنگس (کوکاکولا، پیپسی ، وغیرہ ) کی تجارت کرنا جائزہے؟
جواب نمبر: 153922
بسم الله الرحمن الرحيم
Fatwa: 1375-1324/H=1/1439
ان اشیاء کی تجارت کی اگرچہ گنجائش ہے مگر نہ کرنا بہتر ہے۔
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(ক) এমতাবস্থায় আপনার জন্য এই পণ্য গুলো বিক্রি করা নাজায়েজ হবে না। (কেননা এগুলা তো কোম্পানি থেকে কিনা হয়ে গেছে, এখন বিক্রি না করলে উল্টো আপনারই ক্ষতি হবে)
(খ) ভবিষ্যতে যাতে এসব পণ্য না তুলা হয়, সেজন্য বাবাকে বুঝাবেন। শত বুঝানোর পরও যদি বাবা তুলেন তাহলে আপনার জন্য তখন বিক্রি করা নাজায়েয হবে না।
- (২) বাবার ব্যবসার টাকা বা ঘরে আনা বিদেশি পণ্য(তাজা চা পাতা,প্যাপসোডেন্ট) ব্যবহার করা নাজায়েয হবে না।