বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
বিশিষ্ট হানাফি ফিকহ বিশারদ আল্লামা ইবনে নুজাইম লিখেন
ﻭَﻓِﻲ اﻟْﻘُﻨْﻴَﺔِ ﻭَاﻟْﺒُﻐْﻴَﺔِ: ﻳَﺠُﻮﺯُ ﻟِﻠْﻤُﺤْﺘَﺎﺝِ اﻻِﺳْﺘِﻘْﺮَاﺽُ ﺑِﺎﻟﺮِّﺑْﺢِ (اﻧْﺘَﻬَﻰ)
নিঃস্ব মুখাপেক্ষী মানুষের জন্য সুদের বিনিময়ে ঋণ গ্রহণ জায়েয। (আল-আশবাহ ওয়ান-নাযায়ের-১/৭৯;বাহরুর রায়েক-৬/১৩৭;গ)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
14
(২)
অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল হয় না।
কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আ"ল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু। (সূরা নিসা(২৯)
এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ "
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না। (তালখিসুল হাবীর-১২৪৯) আরো জানুন-
https://www.ifatwa.info/3747
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যেহেতু আপনার নানা নানী ও মামারা তাদের অন্তরের সন্তুষ্টিতে আপনাদেরকে দিয়েছেন, তাই এতে কোনো সমস্যা হবে না। আপনার নানার মৃত্যুর পর নানার সম্পদকে শরীয়তের বিধানমত বন্টন করতে হবে। আপনার মায়ের যেই হিস্যা তাতে রয়েছে, সেগুলো আপনাদের জন্য তো হালাল। যেই জায়গা তারা আপনার বাবার চিকিৎসার জন্য দিচ্ছে, সেই জায়গা বিক্রি করেই আপনার বাবার চিকিৎসা করাবেন। সুদ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করবেন।
(৩) এই ডায়রিতে না লিখানোই উত্তম।
(৪) সিএনজি বা রিক্সা তুলনামূলক ব্যয়বহুল হলে,মহিলারা পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করতে পারবে তবে শর্ত হল, সম্পূর্ণ পর্দাকে রক্ষা করতে হবে।এবং বিপরীত লিঙ্গ থেকে নিজেকে সর্বদা নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে। সফর সমপরিমাণ দূরত্বের কোথাও গেলে মাহরামকে সাথে নিয়ে যেতে হবে।
(৫) ব্যবহার জায়েয হবে। তবে সরকারি নিয়মকে ফলো করা সমস্ত নাগরিকদের জন্য বাধ্যতামূলক যদি তাকে কুরআন সুন্নাহ বিরোধী কিছু না থাকে। সুতরাং বিল্ডিং কোডকে অবশ্যই ফলো করতে হবে।
(৬) তাকদীরে যা রয়েছে, সেটাই হবে। সুতরাং এমন হলে এমন হতো, এ জাতীয় কোনো কথা বলাই উচিৎ না। প্রশ্নে বর্ণিত কোনো কথা বলাই উচিত না।
(৭) পড়ানোর পূর্বে সময় এবং টাকা দু'টিই উল্লেখ করে চুক্তি করা জরুরী ছিলো। যাইহোক, এখন নতুনভাবে চুক্তি করে নেন।
(৮) প্রশ্নের বিবরণমতে গীবত হবে না।
(৯) এভাবে দু'আ করলে দুনিয়ার সাথে আখেরাতেও প্রতিদান পাওয়া যাবে।
(১০) এ সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন অথবা আমাদের হটলাইন নাম্বারে যোগাযোগ করুন-