আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
127 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (31 points)
edited by

লোন নিয়ে ব্যবসা করলে ব্যবসার মুনাফাও কি হারাম হবে। বর্তমানে বড় বড় ব্যবসা সবাই লোন নিয়ে ব্যবসা করে তাদের সম্পূর্ণ ব্যবসার মুনাফাই কি হারাম।  (ব্যাংক লোন পরিশোধ  করতেই হয়,  তার অাগ পর্যন্ত তাদের মুনাফা কি হারাম)
অার তারা ত সেই মুনাফা থেকে লোন পরিশোধ করে। সেক্ষেএে তাদের অায়ও কি সবটুকু হারাম

সেই প্রতিষ্ঠানে কোন হালাল কাজের চাকরি করে তার বিনিময়ে বেতন ও বোনাস (বোনাস এটি ত দুই ঈদে দেয়, এটি ত অার পারিশ্রমিক নয় কিন্তু এইটা ত সব জায়গায় ই দেয়) কি অামার জন্য হালাল হবে (বর্তমানে প্রায় সবাই এইভাবে ব্যবসা করে, অার এত বেছে চাকরি করতে গেলে দেখা যায় চাকরি পেলেও ভাল চাকরি পাওয়া যায় না, বেতনও কম হয়)

হুজুর অামরা বর্তমানে ছেলেমেয়ে একসাথে চাকরি করতে হয়। অার দেখা যায় ছেলেরাও দৃষ্টি অবনত রাখে না অারও পারলে মেয়েদের সাথে ইচ্ছা করে কথা বলে অার নানা ফেতনা সৃষ্টি করে,অনেক সময় যিনার খবর ও পাওয়া যায়। এখন এই পরিবেশে থাকতে থাকতে অামরাও অনেকটা ফেতনার সাথে যুক্ত। এই যে চাকরি করতে গিয়ে ফেতনা হয় ও ফেতনার সাথে যুক্ত হই তা ত হারাম। এইসবের ফলে কি অামারদের চাকরির বেতন ও কি হারাম হয়ে যায়

কাপড় চিপার সময় তিনটিটি অবস্থা হয়

কাপড় চিপার পানি কাপড়ে অাবার ঢুকে বা কাপড়ের উপর দিয়ে গড়িয়ে যায়। (সাধারণত পানি কাপড়ে ঢুকে না উপর দিয়ে গড়িয়ে যায় যা অাটকানো খুবই কষ্টসাধ্য এটাকে নাপাক ধরলে মোটামুটি ভাল সমস্যায় পড়ব)
(যদি ধোয়ার প্রএিয়া বাকি থাকে তবে অাবার ধুই মানে ২য় বার বা ৩ য় বার ধোয়ার প্রএিয়া বাকি থাকলে তা সম্পূর্ণ করি)


কাপড় অর্ধেক চিপার পর যে অর্ধেক অংশ চিপেছি তা বাম হাতের কবজি ও কনুই এর মাঝে অংশে রাখি তারপর অর্ধেক অংশ চিপি। ১ বার ২ বার ও ৩ য় বার একইভাবে চিপি। এখন হাতের কবজি ও কনুই এর মাঝে যে লাগলে বার বার  কিন্তু কবজি ও কনুই এর মাঝের অংশে ত পানি দিয়ে ধুই না প্রতিবার চিপার পর।(শার্ট, প্যান্ট এর মত কাপড় চিপার সময় এই রকম না করলে সমস্যা হয় না কিন্তু বড় কাপড় যেমন ক্ষেতা,চাদর চিপার সময় ভাল সমস্যা হয়)

কাপড় চিপার সময় হাতের বিভিন্ন জায়গায় লাগে যা অাটকানো খুবই খুবই কষ্টকর

এখন প্রশ্ন হলো এইভাবে (উপরে ক, খ ও গ ভাবে) কাপড় চিপার ফলে কি কাপড় কি পাক হবে।

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
শরীয়তের বিধান মতে সুদ গ্রহণ, সুদ প্রদান উভয়ই লানতপ্রাপ্ত গোনাহ। তাই এ ভিত্তিতে লোন নেওয়া,তা দিয়ে ব্যবসা করা,অন্যকে এ থেকে লোন দেওয়া জায়েজ নয়। হারাম। 

মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন  

الَّذِينَ يَأْكُلُونَ الرِّبَا لَا يَقُومُونَ إِلَّا كَمَا يَقُومُ الَّذِي يَتَخَبَّطُهُ الشَّيْطَانُ مِنَ الْمَسِّ ۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ قَالُوا إِنَّمَا الْبَيْعُ مِثْلُ الرِّبَا ۗ وَأَحَلَّ اللَّهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبَا ۚ فَمَنْ جَاءَهُ مَوْعِظَةٌ مِنْ رَبِّهِ فَانْتَهَىٰ فَلَهُ مَا سَلَفَ وَأَمْرُهُ إِلَى اللَّهِ ۖ وَمَنْ عَادَ فَأُولَٰئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ ۖ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ [٢:٢٧٥

যারা সুদ খায়, তারা কিয়ামতে দন্ডায়মান হবে, যেভাবে দন্ডায়মান হয় ঐ ব্যক্তি, যাকে শয়তান আসর করে মোহাবিষ্ট করে দেয়। তাদের এ অবস্থার কারণ এই যে, তারা বলেছেঃ ক্রয়-বিক্রয় ও তো সুদ নেয়ারই মত! অথচ আল্লাহ তা’আলা ক্রয়-বিক্রয় বৈধ করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। অতঃপর যার কাছে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, পূর্বে যা হয়ে গেছে, তা তার। তার ব্যাপার আল্লাহর উপর নির্ভরশীল। আর যারা পুনরায় সুদ নেয়, তারাই দোযখে যাবে। তারা সেখানে চিরকাল অবস্থান করবে। {সূরা বাকারা-২৭৫}

হাদীস শরীফে এসেছে  
عبد الله بن مسعود عن أبيه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لعن الله آكل الربا وموكله وشاهديه وكاتبه

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ এর পিতা থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-“যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়, তার সাক্ষী যে হয়, আর দলিল যে লিখে তাদের সকলেরই উপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯, মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদিস নং-৪৯৮১)
,
ব্যাংক লোন হারাম।কিন্তু ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে আসার পর সেই লোনকে পরিশোধ করার পর উক্ত লোন দিয়ে যা খরিদ বা তৈরী করা হয়েছিলো,সেটা হালালই থাকছে।যদিও লোন গ্রহণ করা হারাম ও অবৈধ ছিলো।

ব্যাংক লোন সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুন 

 ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে ব্যবসা করা জায়েজ নয়।

লোন গ্রহণ নাজায়েয ও হারাম। যদি লোনকে হালাল টাকা দ্বারা পরিশোধ করা হয়, তাহলে লোনের টাকা দ্বারা যা কিছুই করা হবে, তা জায়েয।পরবর্তীতে যত ইনকাম হবে, তার সবই জায়েয।
লোন গ্রহণের জন্য তাওবাহ করতে হবে।

আরো জানুনঃ 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
ক,
লোন নিয়ে ব্যবসা করলে ব্যবসার মুনাফা হারাম হবে কিনা,সেটি নির্ভর করবে লোন পরিশোধ করছে কোন টাকা দিয়ে,সেটির উপর। 

যদি হালাল টাকায় লোন শোধ করে,তাহলে উক্ত ব্যবসার মুনাফা হালাল থাকবে।
আর যদি হারাম টাকায় লোন শোধ করে,তাহলে উক্ত ব্যবসার মুনাফা হারাম হবে।

খ,
আপনার বেতন বোনাস হালাল হবে।

(০২)
আপনার কাজ যেহেতু হালাল,তাই চাকরির বেতন হারাম হবেনা।
তবে আপনি কোনো গুনাহ করলে সেটির ভাগীদার আপনি হবেন।

(০৩)
আপনি তিন বার কাপড় ধোয়ার ক্ষেত্রে প্রত্যেকবার চিপার ক্ষেত্রে যথাসম্ভব চেষ্টা করবেন,যাতে ফোটা ফোটা পানি না পড়ে।

যদি ঐ পানি আবারো সেই কাপড়ে প্রবেশ করে,তবুও যদি আপনি এই পরিমাণ নিংড়িয়ে নেন যে তাতে ফোটা ফোটা পড়বেনা।

তাহলে উপরোক্ত তিন ছুরতেই কাপড় পাক হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (31 points)
হুজুর অামি এটি জানতে চেয়েছিলাম লোন পরিশোধ করার অাগে কি যত মুনাফা পাবে সবই কি হারাম হবে না হালাল
করাণ তারা লোন পরিশোধ করার  অাগে যে মুনাফা পায় তা দ্বারা লোন পরিশোধ করে। এই কারণে তাদের অায় কি সবটুকু হারাম হয়ে যায়     

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...