আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
44 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
১) একদিন আমি এবং আমার স্বামীকে কথা কাটাকাটির মধ্যে বলেছিলাম থাকবো না তোমার সাথে ডিভোর্স পেপারে সাইন করে দাও, তখন আমার হাজবেন্ড বললো আমি পারবো না, তুমি দাও, তোমার বাপকে বলো গিয়ে, আমার টাকা নাই যে আমি দিবো, তখন আমি বলেছিলাম টাকা দেওয়া লাগবেন না, তুমি আনো ডিভোর্স পেপার আমি পারবো না। এমন কথায় কি তালাক হয়ে যাবে? আমাদের কারোর ই তালাকের নিয়ত ছিলো না, এমন কি এসব কথায় যে তালাক হয় তাও আমরা কেউ জানতাম না, এক্ষেত্রে কি তালাক হয়ে যাবে?

২)ঐ কথা গুলোর দ্বারা কি আমাকে তালাকের অধিকার দিয়ে দিয়েছে সে? তাকে পরে বলেছিলাম তুমি কি তাহলে তালাকের অধিকার আমাকে দিয়ে দিয়েছো? উত্তরে তিনি বললেন না কখনোই না, এগুলোতে তালাক হয় তাই তো আমি যানি না, আর তালাক দেওয়া তো পরের বিষয়, কোনো নিয়ত ই ছিলো না, তাহলে কি এক্ষেত্রে সে আমাকে তালাকের অধিকার দিয়েছে এটা বুঝাবে? মানে আমি কিছু বললেই এক্ষেত্রে তালাক হবে কি? যেহেতু আমি মেয়ে, একথার দ্বারা কি আমি তালাক দেওয়ার অধিকার পেয়ে গেলাম?

৩)অন্য দিন তিনি রাগ করে আমাকে বললেন আসলে ডিভর্স দেওয়া উচিত কিনা, তুমি পাঠাই দিও, সাইন দিয়ে দিবানি, এসব সংসার আমি করতে চাই না, জীবনে কিছু করতে পারলে বিয়ে করবানি কিন্তু এসব অপমানিত সংসার করার মানেই হয় না। এমন কথায় কি তালাক হবে? উনাকে পরে বললাম আমাদের সম্পর্ক কি আদেও আছে? তুমি যে এগুলো বললা, উনি বললো থাকবে না কেন, আমি তো ডিভোর্সের নিয়তে তোমাকে এগুলো বলি নি। আমি বুঝতেছি না এসব বলাতে আমাদের সম্পর্ক আছে কি নাই? কথা গুলো তিনি মুখে বলেন নাই, মেসেজে লিখেছিলেন।

৪)যদি ওয়াইফ কখনো বলে থাকবো না আমি একা থাকবো, আর স্বামী উত্তরে বলে যাও গা, তাহলে কি তালাক হয়ে যাবে? এক্ষেত্রেও যদি তালাকের নিয়ত না থাকে?

1 Answer

0 votes
by (714,320 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়। কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন। যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।
বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না ।
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে।
আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন https://courses.iom.edu.bd/courses/waswasa


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (1 point)
আমার প্রশ্নের উত্তর গুলো না দেওয়ার কারণ জানাবেন হুজুর। এক্ষেত্রে আমার হাজব্যান্ড এর সাথে সম্পর্ক আছে কি নাই? বুঝলাম না।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...